সুনামগঞ্জ সিভিল সার্জন’র দূর্নীতি তদন্তের দাবিতে মানবন্ধন

    0
    224

    সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি: সুনামগঞ্জে ২৫০শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসাপাতাল দ্রুত চালু ও সিভিল সার্জনের দূর্নীতি তদন্তের দাবীতে জেলা যুব ইউনিয়ন শনিবার(20 এপ্রিল)সাড়ে ১২টায় সদর হাসাপাতালের সামনের সড়কে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে। জেলা যুব ইউনিয়ন আয়োজিত মানববন্ধনে বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষজন অংশ নিয়ে অবিলম্বে হাওরাঞ্চলের সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্যসেবার দ্বার উন্মোচনের দাবি জানান। মানববন্ধনে অভিযোগ করে বক্তারা বলেন,সুবিদাবাদী গোষ্ঠীর কাছ থেকে সুবিদা পাওয়ায় সুনামগঞ্জ সিভিল সার্জন আশুতুষ দাস ২৫০শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতাল চালু করতে তৎপর নন।  থাকে সুনামগঞ্জ বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক করে প্রমোশন দেওয়া হলেও প্রায় দুই মাস চার্জ অন্য কাউকে না দিয়ে ঢাকায় গিয়ে তদবির করে সিভিল সার্জনের অতিরিক্ত দায়িত্ব নিয়ে এসেছেন। আরো বেশি সুবিদার জন্য ১৭ লাখ টাকা ঘুষ দিয়ে সিভিল সার্জনের অতিরিক্ত দায়িত্ব নিয়ে এসেছেন। ঘুষ, দুর্নীতি ও অনিয়মের আখড়ায় সিভিল সার্জন কার্যালয় পরিণত হয়েছে।

    তিনি ঘুষ বাণিজ্যের কারণেই তিনি প্রমোশন পাবার পরও ডিমোশন পোস্টের অতিরিক্ত দায়িত্ব নিয়েছেন। ডিমোশন চার্জ নেওয়ার জন্য সিভিল সার্জন যেভাবে তদবির করেছেন সেভাবে হাসপাতাল উদ্বোধনের তদবির করলে এক বছর আগেই হাসপাতালটি উদ্বোধন হয়ে যেতো বলে বক্তাদের অভিমত। বক্তারা অবিলম্বে হাসপাতাল চালু ও সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সকল দুর্নীতির দুদদকের তদন্ত দাবি করে বক্তারা আরো বলেন, সদর হাসপাতালে কোন চিকিৎসা পাননা রোগিরা। ইসিজি নেই। এক্সরে বন্ধ। মেজর প্যথলজিক্যাল টেস্ট হয়না। ভালো ডাক্তারদের থাকতে দেওয়া হয়না। একটি সিন্ডিকেট ঘুষবাণিজ্যের কারণে এটি করছে বলে মনে করেন বক্তারা। বক্তারা বলেন, এক বছর আগেই হাসপাতালের নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। যে কোন মুহুর্তেই চালুর উপযোগ্য বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়।

    জেলা যুব ইউনিয়নের সভাপতি আবু তাহেরের সভাপতিত্বে ও ছাত্র ইউনিয়ন জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক আসাদ মনির সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তব্য দেন,কমরেড রমেন্দ্র কুমার দে মিন্টু, বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ এডভোকেট পীর মতিউর রহমান, কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট এনাম আহমেদ, উদীচীর সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, জেলা কৃষক লীগের সদস্যসচিব বিন্দু তালুকদার, এডভোকেট প্রসেনজিজৎ দে, সাংবাদিক শামস শামীম, ছাত্র নেতা আসাদ মনি, মনির হোসেন দুর্জয় প্রমুখ। দ্রুত ২৫০ সয্যা হাসপাতাল চালু না করলে কঠোর আন্দোলনের হুমকি দেন বক্তারা।