সুনামগঞ্জ বিএনপির তৃনমূলদের জয়-পরাজয় না বিভক্তি

    0
    333

    সুনামগঞ্জ প্রতিনিধিঃ সুনামগঞ্জের দুই উপজেলার নবগঠিত কমিটি স্থগিত করায় আবারও আলোচনার এসেছেন নজির হোসেন। বিএনপির বহুল সমালোচিত সষ্কারপন্থি নেতা,সুনামগঞ্জ ১আসনের সাবেক এমপি নজির হোসেনের কারনে স্থগিতাদেশ দেশ হওয়ার অভিযোগ তুলেছে নেতাকর্মীরা। পাশা পাশি দলে বিভক্তির সাথে সুনামগঞ্জ-১আসনে নজির হোসেনের দাপট নাকি তৃনমূল নেতাকর্মীদের জয়-পরাজয় এই হিসাব করছেন বিএনপির ভোটার ও সমর্থকগন।

    সাবেক এই নেতার অতিথ কার্যক্রম যেমন ছিল দল ও এই আসনের জন্য আলোচিত তেমনি সম্প্রতি তিনি জেলা থেকে ঘোষিত তাহিরপুর ও জামালগঞ্জ উপজেলার নবগঠিত কমিটি কেন্দ্র থেকে স্থগিতাদেশ করিয়ে এনে দলে ও সুনামগঞ্জের ১আসনে নিজের অবস্থান কতটুকু তাই তুলে ধরেছেন এটাই মনে করছেন বিএনপির সমর্থিত নেতাকর্মীরা। কমিটি স্থগিতাদেশের পর থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে ও দুই উপজেলায় তুমুল উত্তাপ আর উত্তেজনা বিরাজ করছে নজির হোসেনের সমর্থক ও স্থগিত কমিটির নেতৃবৃন্ধের মধ্যে।

    জানাযায়,২০১৬সালে তাহিরপুর উপজেলায় সভাপতি নুরুল ইসলাম ও সাধরন সম্পাদক রুহুল আমিন ও জামালগঞ্জ উপজেলা সভাপতি নুরুল হক আফিন্দি ও সাধারন সম্পাক আব্দুল মালেককে নির্বাচিত করে জেলা বিএনপির আহবায়ক নাসির উদ্দিন চৌধুরী ও প্রথম সদস্য কলিম উদ্দিন আহমদ মিলন এই কমিটি অনুমোদন করে। এই চার জনই ছিল নজির হোসেনের সমর্থক। সম্প্রতি ১২আগষ্ট জেলা বিএনপির সভাপতি কলিম উদ্দিন আহমদ মিলন ও সাধারন সম্পাদক নুরুল ইসলাম নুরুলের স্বাক্ষরিত দলীয় পেডে তাহিরপুর উপজেলা সভাপতি নুরুল ইসলাম ও সাধরন সম্পাদক জুনাব আলী ও জামালগঞ্জ উপজেলা বিএনপি সভাপতি নুরুল হক আফিন্দী ও সাধারন সম্পাক শাহ মোঃ শাহজাহানকে নির্বাচিত করে নব গঠিত কমিটি অনুমোদন করেন। এই কমিটি অনুমোদনের পর নেতাকর্মীরা উজ্জিবিত হয়েছিল। শুধু মাত্র নজির হোসেন সমর্থিতরা ছিল নাখোশ।

    আরো জানা যায়,জুনাব আলী ও শাহজাহান জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ও তাহিরপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আনিসুল হকের সমর্থক বিধায় এই কমিটির বিরোদ্ধে বিএনপির বহুল সমালোচিত সষ্কারপন্থি নেতা নজির হোসেনের চক্রান্তে তার সমর্থিত নেতাকর্মীদের মাধ্যমে অভিযোগ তুলে ৭দিন পর গত ১৯আগষ্ট কেন্দ্র থেকে একটি স্থগিতাদেশ হয়েছে অভিযোগ তুলেছে তাহিরপুর ও জামালঞ্জ উপজেলার (নব গঠিত কমিটি),বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। তারই প্রতিবাদে সংষ্কারপন্থি নেতা সাবেক এমপি নজির হোসেনের বিরোদ্ধে ও দুই উপজেলাই বিএনপির কমিটির স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারের জন্য গত রবিবার ১০দিনের আল্টিমেটাম দিয়ে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা করে। এসময় নজির হোসেনকে তাহিরপুর ও জামালগঞ্জ উপজেলা অবাঞ্চিত ঘোষনা করেন নেতৃবৃন্ধ।

    এই বিষয়ে দুটি উপজেলা তৃনমূল নেতাকর্মীগন বলেন,কমিটি গঠন করা হয় নিয়ম মাফিক। কমিটি গঠনে প্রশ্ন না তুলে দলের স্বার্থেই কাজ করার দায়িত্ব ছিল সবার। কমিটি গঠন নিয়ে নজির হোসেনসহ তার সমর্থকরা সহ অন্যান্যরা বেগম জিয়াকে কিভাবে মুক্ত করা যায়,দলের স্বার্থে আগামী সংসদ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীকে বিজয় নিশ্চিত করার জন্য কাজ না করে কমিটি নিয়ে বাকতিন্ডতায় জড়িয়েছে এখন। আর নবগঠিত কমিটির সবাই মনে ক্ষোব নিয়ে সময়ের অপেক্ষায় আছে পরবর্তি সিদ্ধান্তের। যে কোন সময় অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা বিরাজ করছে দুই উপজেলায়। কমিটি স্থগিত করায় শুধুই তাহিরপুরে ৪টি গ্রুপেই(নজির হোসেন,কামরুজ্জামান কামরুল,আনিসুল হক,ডাঃ রফিকুল চৌধুরী)নয় সুনামগঞ্জ ১আসনের তাহিরপুর,জামালগঞ্জ,ধর্মপাশা (মধ্যনগড় থানা) উপজেলার বিভক্ত তৃনমূল নেতা কর্মীরাও প্রশ্ন তুলেছে। এখন পৃথক পৃথক ভাবে বিভিন্ন কর্মসূচি হচ্ছে।

    এবিষয়ে এমপি নজির হোসেন বলেন,কমিটি অনুমোদন দিয়েছে জেলা কমিটি আবার স্থগিত করেছে আমার এখানে কি করার আছে। স্থগিতের বিষয়ে আমার কোন ইশারা বা ঈগিত ও কোন সহযোগীতা নেই। নির্বাচনের আগে কমিটি ভেঙ্গে নতুন কমিটি না দেওয়ার জন্য আমি জেলা কমিটিকে বলেছিলাম। সবাইকে নিয়ে বসে কমিটি গঠন করা হলে এমন হত না। কমিটি যুক্তি সংগত ভাবে করা হয় নি। পূর্বের কমিটি ছিল কাউন্সিলের মাধ্যমে নির্বাচিত। হঠাৎ করে কমিটি দেওয়ায় এই পরিবেশ তৈরী করা হয়েছে।

    আনিসুল হক বলেন,সুসংগঠিত দল বিএনপিকে ধংশ করার জন্যই জেলা নেতৃবৃন্ধের ঘোষিত কমিটি স্থগিতাদেশ করিয়েছেন নজির হোসেন সাহেব। উনার অতিথ কর্মকান্ডও ছিল বির্তকিত তা সবাই জানে। বেগম জিয়ার মুক্তির ও নিরেপেক্ষ নির্বাচনের দাবীর আন্দোলন কঠোর ভাবে সামনের দিকে এগিয়ে নেওয়া যায় দলের স্বার্থে কমিটি গঠন করার জন্য একাধিক বার দলীয় কার্য্যালয়ে বসা হয়েছিল। আলাদা ভাবেও বসা হয়েছিল। তখন ত তিনি (নজির হোসেন)সহ সবাই জেলা কমিটির উপর দায়িত্ব দিয়েছিলেন যে সিদ্ধান্ত দেওয়া হবে তাই মানবে। এখন কেন এই জামেলা করে দলে বিশৃংখলা তৈরী করছেন। সবার উচিত ছিল ঐক্যবদ্ধ ভাবে এখন দলীয় কাজ গুলো করা ।