সুনামগঞ্জ জেলায় ট্রলার ডুবির ঘটনায় উদ্ধার অভিযান শেষ

    0
    227

    আমারসিলেট24ডটকম,০৫ফেব্রুয়ারীঃ  আজ বুধবার সকাল পৌনে ১০টার দিকে উদ্ধার অভিযানের সমাপ্তি ঘোষণা করে ফায়ার সার্ভিস ও বিআইডব্লিউটিএ।সিলেট ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার জাবেদ হোসেন মোঃ তারেক এর সূত্রে জানা গেছে , ১১টি লাশ উদ্ধারের পর শেষ হয়েছে সুনামগঞ্জ জেলার দোয়ারায় ট্রলার ডুবির ঘটনার উদ্ধার অভিযান।সর্বশেষ মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত মৃত দেহ পাওয়া গেছে ঘটনাস্থলের আশপাশে। অতিরিক্ত আরো তল্লাশির জন্য মঙ্গলবার রাতে বিআইডাব্লিটি’র প্রতিনিধি দল যোগ দেয় ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের সাথে। আজ বুধবার সকাল ৮টা থেকে বিআইডাব্লিউটিএ’র দুজন ও ফায়ার সার্ভিসের দুজন ডুবুরী লাশের সন্ধানে পানিতে নামেন।

    সকাল ৯টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত তারা সেখানে তল্লাশী চালান।কিন্তু, নতুন কোন লাশের সন্ধান না পাওয়ায় সংস্থা দুটির পক্ষ থেকে  উদ্ধার অভিযান স্থগিত ঘোষণা করা হয়।
    আরো কোন যাত্রী নিখোঁজ থাকার বিষয়ে তাদের কাছে কোন অভিযোগ নেই বলেও জানা যায়।
    উদ্ধার অভিযানে বিআইডাব্লিউটিএ’র পরিচালক মোহাম্মদ হোসেন ও সহকারী পরিচালক সাদিকুল ইসলাম অংশ এতে নেন।
    মঙ্গলবার বেলা দেড়টায় উদ্ধার অভিযান সাময়িক স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছিল।
    ঘটনার বিবরণে জানা যায়,গত সোমবার বিকেল শতাধিক যাত্রী নিয়ে একটি ট্রলার নৌকা সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ভোলাগঞ্জ পাথর কোয়ারি থেকে কিশোরগঞ্জ জেলার মিঠামইন,ও নেত্রকোনার খালিয়াজুরি উপজেলায় যাচ্ছিল।পরে রাত পৌনে ৯টায় দোয়ারাবাজারের প্রতাপপুর গ্রামের পার্শ্ববর্তী সুরমা নদীতে পৌঁছলে কেরোসিনের চুলাতে রান্না করার সময় নৌকার ইঞ্জিনে আগুন লেগে যায়। এক পর্যায়ে আগুন পুরো নৌকায় ছড়িয়ে পড়ে। এ অবস্থায় যাত্রীরা হুড়োহুড়ি শুরু করলে নৌকাটি ডুবে যায়। নৌকাতে থাকা প্রায় ৫০/৬০ জন যাত্রী সাঁতার কেটে তীরে উঠতে সক্ষম হলেও বাকিরা উঠতে পারে নি। খবর পেয়ে স্থানীয় লোকজন, পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে উদ্ধার কার্যক্রম শুর্ব করে। ঘটনার পর পরই স্থানীয় লোকজন ও পুলিশ এক মহিলা সহ তিনজনের লাশ উদ্ধার করে। পরে ফায়ার সাভিসের কর্মীরা ঘটনাস্তলে পৌছে রাতে আরো ৩ জনের লাশ উদ্ধার করে। আর মঙ্গলবার সকালে আরো ৫টি লাশ উদ্ধার করা হয়। তবে, পুড়ে কয়লা হয়ে যাওয়ায় রোকেয়া বেগম নামের এক মহিলা ছাড়া আর কোন লাশ সনাক্ত করা যায়নি বলে জানা যায়। উদ্ধার হওয়া লাশের ডিএনএ পরীৰার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার। প্রাথমিকভাবে লাশগুলো আলাদা কবরে বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন করা হবে বলে একটি সুত্র থেকে জানা গেছে।