আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,২১মার্চ,সুনামগঞ্জ প্রতিনিধিঃ সুনামগঞ্জের সদ্য ঘোষিত কমিটি ও সম্প্রতি এই কমিটির নামের তালিকা নিয়ে চলছে জেলা জুড়েই তুমুল আলোচনা-সমালোচনার ঝড়। এক দিকে কমিটিতে একেই পরিবারের একাধিক সদস্য পদ পাওয়ায় ও ত্যাগী নেতাদের বি ত করায় এখন পুরো জেলা জুড়েই আলোচনার কেন্দ্র বিন্দুতে পরিনত হয়েছে। এছাড়াও আরো বেশী আলোচনা-সমালোচনা এবং বিতর্কের জন্ম দিয়েছে সুনামগঞ্জ সাবেক জনপ্রিয় পৌর মেয়র মরহুম আয়ুব বখত জগলুল কে সহ সভাপতি করা ও তার নামের পাশে জীবিত থাকাকালীন দলীয় নেতৃর স্বাক্ষরে ব্যাকেট দিয়ে মরহুম লেখা নিয়ে। এই বিষযটি চায়ের ষ্টলের চায়ের টেবিল থেকে শুরু করে সরকারী বেসরকারী এমনকি আ,লীগ ছাড়াও অন্যান্য দল ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে এনিয়ে তুমুল পক্ষে বিপক্ষে কমেন্ট দিচ্ছে। মুখে মুখে রটেছে চটেছে আ,রীগ নেতৃবৃন্ধ। আবার কেউ কেউ এই কমিটিকে বাপবেটার কমিটি বলেও অবহিত করেছেন।
২০১৬সালে ২৫ ফেব্রুয়ারী সুনামগঞ্জ জেলা আ,লীগের সম্মেলনের মাধ্যমে সভাপতি ও সাধারন সম্পাদকের নাম ঘোষনা করা হয়। এর পর দু বছর পর ৭৫সদস্য জেলা আ,লীগের কমিটি অনুমোদনের পর সরব হয়ে উঠেছে তৃনমূল নেতাকর্মীরা ও পদ বি তরা। অন্য দিকে জেলা আ,লীগের অনুমদিত কমিটিতে দেখা যায়,গত ১৫মার্চ জেলা আ,লীগের পূনাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটিতে ৭নং সহ সভাপতি জনপ্রিয় পৌর মেয়র মরহুম আয়ুব বখত জগলুল এর নাম লেখা রয়েছে এছাড়াও তার নামের পাশে ব্যাকেট দিয়ে লেখা রয়েছে মরহুম শব্দটি। আর অন্য দিকে ২পৃষ্টায় আ,লীগের সভাপতির কমিটি অনুমোদনের স্বাক্ষর দিয়েছেন ২০১৭সালের ২২ডিসেম্বর। আর জনপ্রিয় পৌর মেয়র আয়ুব বখত জগলুল মারা গেছেন ২০১৮সালের ১লা ফেব্রুয়ারী। তাহলে জনপ্রিয় পৌর মেয়র আয়ুব বখত জগলুল মরহুম হলেন কি ভাবে।
এই বিষয়টি স্থানীয় নেতাকর্মীরা বলছেন,এই কমিটিতে শেখ হাসিনার বিশ্বস্থ ও দূসময়ে যারা দলে ছিল তাদেরকে বঞ্চিত করে সুবিধা ভোগীদের রাখা হয়েছে। জনপ্রিয় পৌর মেয়র আয়ুব বখত জগলুলের নামের পাশে জীবিত থাকা অবস্থায় মরহুম লেখা থাকলে ত দলের সভানেতৃ শেখ হাসিনা স্বাক্ষর করার কথা না। ছাত্র ইউনিয়ন,জাসদ,বাসদ ও বাকশালের সাবেক ছাত্র নেতাদের গুরুত্বপূর্ন পদে রাখা হয়েছে।
কিন্তু অন্যান্য ত্যাগী নেতাদের মূল্যায়ন করা হয় নি। এই কমিটি আসলে শেখ হাসিনার অনুমদিত কমিটি কিনা আমাদের সন্দেহ রয়েছে অনেক নেতা কর্মীর। যদিও এই বিষয়টি নিয়ে সাভাবিক ভাবেই উড়িয়ে দিয়েছেন এবং মেয়র জগলুল কে সম্মান জানাতেই তার নাম রাখা হয়েছে দাবি করেন জেলা আ,লীগের সাধারন সম্পাদক ব্যারিষ্টার এনামুল কবির ইমন।
তিনি আরো জানান,সুনামগঞ্জ পৌর মেয়র আয়ুব বখত জগলুল মারা যাবার পূর্বেই দলের সভাপতি কমিটি অনুমোদন দিয়েছেন। আর দলের সাধারন সম্পাদক ১৫মার্চ স্বাক্ষর করে কমিটি ঘোষনা করেছেন। পৌর মেয়র আয়ুব বখত জগলু কে সম্মান জানিয়েই সহ-সভাপতি রাখা হয়েছে। জেলা আ,লীগের সভাপতি মতিউর রহমান জানান,এই বিষয়ে দলের সাধারন সম্পাদক (ওবায়দুল কাদের) ভাল বলতে পারবেন।