সুনামগঞ্জে ৮ মে টন চোরাই কয়লাসহ নৌকা আটক

    0
    251

    সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি: সুনামগঞ্জে রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে ভারত থেকে পাচাঁরের সময় পৃথক অভিযান চালিয়ে ৮মে.টন চোরাই কয়লাসহ ১টি ইঞ্জিনের নৌকা আটক করেছে বিজিবি। কিন্তু অবৈধ কয়লা ও নৌকার মালিকসহ সোর্সদেরকে গ্রেফতার করতে পারেনি। আটককৃত নৌকাসহ চোরাই কয়লার মূল্য প্রায় ৬লক্ষ টাকা।

    এব্যাপারে বিজিবি ও এলাকাবাসী জানায়,প্রতিদিনের মতো গতকাল ০৭.০৩.১৯ইং বৃহস্পতিবার রাত ১২টায় জেলার তাহিরপুর উপজেলার বালিয়াঘাট সীমান্তের লাকমা,লালঘাট ও টেকেরঘাট সীমান্তের চুনাপাথর খনি প্রকল্পের পুলিশ ফাঁসি এলাকা দিয়ে দুধেরআউটা গ্রামের সোর্স পরিচয়ধারী ইয়াবা ব্যবসায়ী ও চাঁদাবাজি মামলা নং-জিআর ১৬৩/০৭এর জেলখাটা আসামী জিয়াউর রহমান জিয়া ও সহযোগী লাকমা গ্রামের অস্ত্র ও চাঁদাবাজি মামলার আসামী ইয়াবা ব্যবসায়ী ল্যাংড়া বাবুল,লালঘাট গ্রামের কয়লা পাচাঁর মামলার আসামী জানু মিয়া রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে ভারত থেকে বিপুল পরিমান কয়লা,মদ ও ইয়াবাসহ অস্ত্র তৈরি মালামাল পাচাঁর করে জনতা উচ্চ বিদ্যালয়ের পিচনে অবস্থিত পাটলাই নদীতে নিয়ে,চোরাই কয়লা ব্যবসায়ী শ্রীপুর গ্রামের নেকবর আলীর ও দুধের আউটা গ্রামের ইয়াবা ব্যবসায়ী মনির মিয়ার কাছে বিক্রি করে এবং তাদের নিজের ইঞ্জিনের নৌকায় কয়লা বোঝাই করার সময় বালিয়াঘাট ক্যাম্প কমান্ডার হাবিলদার হুমায়ুন অভিযান চালিয়ে ৫মে.টন চোরাই কয়লা বোঝাই ১টি ইঞ্জিনের নৌকা আটক করে। এসময় ইয়াবা ও মদ নিয়ে সোর্স জিয়া ও মনির পালিয়ে যায়।
    এখবর পেয়ে টেকেরঘাট ক্যাম্পের বিজিবি পৃথক অভিযান চালিয়ে চুনাপাথর খনি প্রকল্প এলাকা থেকে আরো ৩মে.টন চোরাই কয়লা জব্দ করে। কিন্তু ল্যাংড়া বাবুলকে গ্রেফতার করেনি। কারণ পাচাঁরকৃত ১বস্তা কয়লা থেকে ১৫০টাকা,১কার্টন মদ থেকে ৫শ টাকা ও ইয়াবা পাচাঁরের জন্য সাপ্তাহিক ২০হাজার টাকা চাঁদা বিজিবি,পুলিশ,র‌্যাব ও সাংবাদিকদের নাম ভাংগিয়ে উত্তোলন করে সোর্স জিয়াউর রহমান জিয়া,ল্যাংড়া বাবুল ও আব্দুর রাজ্জাক।

    বড়ছড়া শুল্কষ্টেশনের কয়লা ব্যবসায়ী আশরাফ উদ্দিন,মাহিনুর মিয়া,রজব আলী,সাহাব উদ্দিন,দুলাল মিয়াসহ আরো অনেকেই বলেন,সোর্স কালাম মিয়াকে ইয়াবাসহ গ্রেফতার করে জেলহাজতে পাঠানোসহ সোর্স আব্দুল আলী ভান্ডারীর বাড়ি থেকে মদের চালান আটক করে বিজিবি থানায় মামলা দায়ের করছে কিন্তু তাদের গডফাদার আব্দুর রাজ্জাক ও জিয়াউর রহমান জিয়াসহ ল্যাংড়া বাবুলকে গ্রেফতার না করার কারণে সীমান্ত চোরাচালান ও চাঁদাবাজি বন্ধ হচ্ছে না,লক্ষলক্ষ টাকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সরকার।
    সুনামগঞ্জ ২৮ব্যাটালিয়নের বিজিবি অধিনায়ক মাকসুদুল আলম বলেন,সীমান্ত চোরাচালান ও চাঁদাবাজি বন্ধ করার জন্য আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।