সুনামগঞ্জে ১টি নৌকা,২টি ঠেলাগাড়িসহ কয়লা আটক

    0
    260

    সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি: সুনামগঞ্জে পাচাঁরের সময় ১টি নৌকা ও ২টি ঠেলাগাড়িসহ ৫মে.টন চোরাই কয়লা আটক করা হয়েছে। কিন্তু একাধিক মামলার আসামীরা বিজিবি ও পুলিশের নামে প্রতিদিন লক্ষলক্ষ টাকা চাঁদা উত্তোলন করে ভারত থেকে ওপেন ইয়াবা,মদ,গাঁজা,হেরুইন,পাথর,গরু,ঘোড়া,কমলা,অস্ত্র ও কয়লা পাচাঁর করলেও তাদেরকে কখনোই গ্রেফতার করা হয়না বলে জানা গেছে।

    এব্যাপারে বিজিবি ও এলাকাবাসী জানায়,প্রতিদিনের মতো আজ ২৯.১১.১৮ইং বৃহস্পতিবার ভোর ৫টায় জেলার তাহিরপুর উপজেলার চাঁরাগাঁও সীমান্তের ১১৯৬নং পিলার সংলগ্ন বাঁশতলা এলাকা দিয়ে বিজিবির সোর্স পরিচয়ধারী মাদক ব্যবসায়ী আব্দুল আলী ভান্ডারী ১বস্তা কয়লা পাচাঁরের জন্য চাঁরাগাঁও বিজিবি ক্যাম্পের নামে ১০০টাকা,থানার নামে ৮০টাকা চাঁদা নিয়ে মোট ১৫মে.টন কয়লা ও ৭কার্টন মদ ভারত থেকে পাঁচার করে ঠেলাগাড়ি দিয়ে চুনখলার হাওরে নিয়ে নৌকা বোঝাই করার সময় চাঁরাগাঁও ক্যাম্প কমান্ডার আইয়ুব খান অভিযান চালিয়ে ১টি কাঠের বারকি নৌকা ও ২টি ঠেলাগাড়িসহ ৫মে.টন চোরাই কয়লা আটক করেন। আর বাকি মালামাল নিয়ে চোরাচালানী আব্দুল আলী ভান্ডারী ও তার সহযোগী পালিয়ে যায়।

    কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। অন্যদিকে বালিয়াঘাট সীমান্তের লালঘাট এলাকা দিয়ে মাদক,কয়লা ও চাঁদাবাজি মামলার জেলখাটা আসামী কালাম মিয়া,জানু মিয়া ও জিয়াউর রহমান জিয়া বালিয়াঘাট বিজিবি ক্যাম্প কমান্ডার দিলোয়ারের নামে ১৫০টাকা,থানার নামে ১২০টাকা ও কয়লা চোরাচালান মামলার আসামী আব্দুর রাজ্জাকের নামে ৫০টাকা চাঁদা নিয়ে চোরাচালানী এহসান মিয়া,খোকন মিয়া,রহমত আলী,মানিক মিয়া,কাসেম মিয়া,গফুর মিয়াগংকে দিয়ে ২০মে.টন কয়লা ও ৫০০পিছ ইয়াবা পাচাঁর করে চুনাখলা হাওরে ১টি স্ট্রিলবড়ি ইঞ্জিনের নৌকা বোঝাই করে বানিয়াগাঁও ও তেলিগাঁও গ্রামে নিয়ে মজুত করার পরও এব্যাপারে কোন পদক্ষেপ নেয়নি বালিয়াঘাট ক্যাম্পের বিজিবি।

    এছাড়া টেকেরঘাট সীমান্তের চুনাপাথর খনি প্রকল্প ও লাকমা দিয়ে অস্ত্র ও চাঁদাবাজি মামলার আসামী ইয়াবা ব্যবসায়ী ল্যাংড়া বাবুল ১ বস্তা কয়লা থেকে থানার নামে ৮০টাকা,টেকেরঘাট বিজিবি ক্যাম্পের নামে ১২০টাকা চাঁদা নিয়ে চোরাচালানী দূরবীনশাহ, বদিউজ্জামাল,আবুল মিয়া,মংলা মিয়াগংকে দিয়ে ১০মে.টন কয়লা ও ২০০পিছ ইয়াবা পাচাঁর করলেও তাদেরকে গ্রেফতার করাসহ অবৈধ মালামাল আটক করা হয়নি। এবং বীরেন্দ্রনগর সীমান্তের ১১৯৩পিলার সংলগ্ন বাগলী এলাকা দিয়ে বিজিবির সোর্স পরিচয়ধারী মস্তোফা মিয়া মস্তো,হযরত আলী ও মঞ্জুল মিয়াগং সম্প্রতি ২০০মে.টন কয়লা ও ২হাজার মে.টন চুনাপাথর পাঁচার করে ওপেন বিক্রি করার পরও এখন পর্যন্ত তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

    এব্যাপারে চাঁরাগাঁও বিজিবি ক্যাম্প কমান্ডার আইয়ুব খান বলেন,নৌকা ও ঠেলাগাড়িসহ পাচাঁরকৃত কয়লা আটক করা হয়েছে কিন্তু চেরাচালানীদেরকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। টেকেরঘাট কোম্পানী কমান্ডার সুবেদার আনিসুল হক বলেন,পাচাঁরকৃত মালামালসহ চোরাচালানীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।