সুনামগঞ্জে মিথ্যা মামলা দিয়ে ৩ সাংবাদিককে হয়রানীর চেষ্টা

    0
    235

    সুনামগঞ্জ প্রতিনিধিঃ সুনামগঞ্জে চোরাচালানের সংবাদ প্রকাশের জের ধরে ৩ সাংবাদিককে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করার চেষ্টা করছে চোরাচালানী সিণ্ডিকেট এমন দাবী করেছেন হয়রানীর স্বীকার তিন সাংবাদিক। গত ৬ মাস পূর্বে জেলার তাহিরপুর উপজেলার বীরেন্দ্রনগর সীমান্তের বাগলী শুল্কস্টেশন সংলগ্ন এলাকা দিয়ে বিজিবির সোর্স পরিচয়ধারী চোরাচালান সিন্ডিকেডের নেতা রংগাছড়া গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে মোস্তাফা মিয়া মস্তো,মৃত আব্দুল মান্নানের ছেলে আলী হোসেন,বীরেন্দ্রনগর গ্রামের মৃত কুরবান আলী ছেলে মনিরুজ্জামান মনির,ইমান আলীর ছেলে আকবর হোসেন ও মৃত আব্দুল কাদিরের ছেলে খালেক মোশারফ বিজিবি,পুলিশ,র‌্যাব ও সাংবাদিকদের নাম ভাংঙ্গিয়ে মোটা অংকের চাঁদা নিয়ে সরকারের লক্ষলক্ষ টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে দীর্ঘদিন যাবত অবৈধ ভাবে ভারত থেকে বিপুল পরিমান কয়লা ও চুনাপাথর পাচাঁর করে ইঞ্জিনের নৌকা বোঝাই করে নেত্রকোনা জেলার কমলাকান্দা,কিশোরগঞ্জ,ছাতক,তাহিরপুরের আনোয়ারপুরসহ বিভিন্ন স্থানে পাঠায়।

    আর এই চোরাচালান নিয়ে জাতীয় ও সিলেট বিভাগীয় দৈনিক ও আনলাইনসহ সুনামগঞ্জ থেকে প্রকাশিত বিভিন্ন দৈনিক ও অনলাইন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়। তারই জের ধরে সংশ্লিস্ট প্রশাসন তৎপর হলে বাগলী সীমান্তের চোরাচালান বন্ধ হয়ে যায় এবং উপরের উল্লেখিত চোরাকারবারীরা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে গিয়ে গত ২৪.০৬.১৯ইং তারিখে চোরাকারবারী আকবর হোসেনকে বাদী করে দৈনিক সংবাদ ও দৈনিক সিলেটর দিনকাল পত্রিকার তাহিরপুর উপজেলা প্রতিনিধি কামাল হোসেন রাফি,দৈনিক ঢাকা টাইমস ও দৈনিক বিজয়ের কন্ঠ পত্রিকার সুনামগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি জাহাঙ্গীর আলম ভূঁইয়া ও তার বড়ভাই ক্রাইম ওয়াচ,দৈনিক আলোতিক সকালের সাংবাদিক ও চলচ্চিত্রের সহকারী পরিচালক,মডেল মোজাম্মেল আলম ভূঁইয়া (মশাল) এর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ এনে সুনামগঞ্জ আমল গ্রহণকারী জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১টি মামলা দায়ের করে চোরাকারবারীরা নিজেরাই সাক্ষি হয়। অথচ ৩ সাংবাদিকদের মধ্যে কাউকেই চিনেন না চোরাচালানীরা।

    এব্যাপারে চোরাচালানী খালেক মোশারফ বলেন,আমাদের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশের কারণে আমাদেরই সদস্য আকবরকে বাদী করে ৩ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি মামলা দায়ের করেছি। মামলার বাদী আকবর হোসেন বলেন,আমি সাংবাদিকদেরকে চিনিনা যা করেছি সমিতির নির্দেশে করেছি। সাংবাদিক,চলচ্চিত্র সহকারী পরিচালক ও মডেল মোজাম্মেল আলম ভূঁইয়া (মশাল) বলেন,মামলায় যে তারিখ ও সময় উল্লেখ করা হয়েছে সেই সময় আমি ঢাকা ছিলাম তার প্রমান আমার কাছে আছে এই মামলাটিও সম্পূর্ণ মিথ্যা।

    তাহিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতিকুর রহমান বলেন,৩ সাংবাদিককে আমি ভাল ভাবে চিনি অতএব আমি কোন মিথ্যার আশ্রয় নেব না।