সুনামগঞ্জে পাহাড়ি ঢলে সড়ক ভাঙ্গনে চলাচলে দূর্ভোগ

    0
    202

    সুনামগঞ্জ প্রতিনিধিঃ সুনামগঞ্জের কয়েকটি উপজেলার প্রধান সড়কের বিভিন্ন অংশ সম্প্রতি টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলের তুরে ভেঙ্গে পড়েছে। প্রধান সড়ক ছাড়াও উপজেলার অভ্যন্তরিন সড়ক গুলো ভাঙ্গনের ফলে যানবাহন চলাচল কোন স্থানে বন্ধ রয়েছে। আবার চলাচল করতে গিয়ে চরম দূর্ভোগে পরেছে।
    সুনামগঞ্জ স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল অধিদফতর সূত্রে জানাযায়,সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা,তাহিরপুর,ধর্মপাশা,বিশ্বম্ভরপুর,জামালগঞ্জ,দোয়ারাবাজার উপজেলার ২০কিলোমিটারে বেশী সড়ক,২৫টি ব্রিজ ও কালভার্টের সংযোগ সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে এসব উপজেলার লাখ লাখ মানুষ দুর্ভোগে পড়েছেন।
    সম্প্রতি সীমান্তের ওপার থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও ভারী বর্ষণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে তাহিরপুর উপজেলায়। তাহিরপুর-সুনামগঞ্জ ও তাহিরপুর-বাদাঘাট,আনোয়ারপুর-ফতেহপুর সড়কের বিভিন্ন অংশে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। সীমান্ত সড়ক ও তাহিরপুর-সুনামগঞ্জ সড়কের আনোয়ারপুর সেতুর এক কিলোমিটার সংযোগ সড়ক ভেঙ্গে যাওয়ায় ধর্মপাশা-তাহিরপুর,বিশ্বম্ভরপুর,মধ্যনগর,কলমাকান্দা রুটে চলাচলকারী হাজার হাজার মানুষ দুর্ভোগে পড়েছেন। এউপজেলার উত্তর বড়দল ইউনিয়নের বারিক টিলা থেকে মধ্যনগড় থানার মহেশখলা পর্যন্ত সীমান্ত সড়কের ১২টি জায়গায় পাহাড়ী ঢলের কারণে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। ফলে এসব সড়ক দিয়ে কোনও যানবাহন চলাচল করতে পারছে না। মানুষ পায়ে হেঁটে,নৌকায় চড়ে বিভিন্ন জায়গায় যাতায়াত করছেন।
    এছাড়া বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা দূর্ঘাপুরে ১০০মিটার এলাকার পাহাড়ী ঢলের পানিতে ডুবে যায় ফলে জেলা সদরের সাথে যোগাযোগ বন্ধ থাকে। দোয়ারাবাজার-বাংলাবাজার,হালুয়ারঘাট-নারায়নতলা সড়কসহ পাঁচটি উপজেলার ১২টি সড়কে যানবাহন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
    তাহিরপুর উপজেলার দক্ষিনকুল গ্রামের সাইফুল মিয়া,জাকেরিন বলেন,যাদুকাটা নদী দিয়ে আসা পাহাড়ি ঢলের পানিতে আনোয়ারপুর ব্রিজের সংযোগ সড়কের এক কিলোমিটার অংশ ভেঙ্গে যাওয়া এই সকটি দিয়ে যানবাহন চলাচল করতে পারছে না। সুনামগঞ্জ-তাহিরপুর সড়ক দিয়ে তিনটি উপজেলার লোকজন বিভিন্ন জায়গায় যাতায়াত করে। সড়ক ভেঙ্গে যাওয়ায় হাজার হাজার মানুষ দুর্ভোগে পড়েছেন।
    চাঁনপুর গ্রামের নজরুল ইসলাম,লাকমা গ্রামের আল আমিন জানান,বারেকটিলা বংশীকুন্ডা সড়কের বেলাহ অবস্থা বিরাজ করছে। স্থানে স্থাণে ভাঙ্গনের কারনে চলাচল করা একারেই দূর্ভোগ পোহাচ্ছি আমরা। তিছুই করার নেই জরুরী প্রয়োজনে উপজেলা ও জেলা সদরে যেতে হচ্ছে খুবেই কষ্ট করে পায়ে হেটে ও নৌকা দিয়ে।
    তাহিরপুর উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন জানান,ভেঙ্গে যাওয়া সড়ক দ্রুত সংস্কার করা খুবেই প্রয়োজন না হলে জেলা শহরের সাথে সরাসরি সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে সর্বস্থরের জনসাধারন। এখন চলাচলে চরম দূর্ভোগে আছে। এছাড়া উপজেলার তিনটি শুল্ক স্টেশনের শ্রমিক ও ব্যবসায়ীদের চলাচল বিঘিœত হবে।

    তাহিরপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যার করুনা সিন্ধু চৌধুরী বাবুল জানান,সম্প্রতি কয়েকদিনের টানা বর্ষণ আর পাহাড়ী ঢলে আমার উপজেলার বিভিন্ন সড়ক বেশী ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। আমি এলাকার পরিদশনে গিয়ে দেখেছি মানুষ কত কষ্ট করছে। সড়ক পথে ভাঙ্গন মেরামত করা না হলে শিক্ষার্থীসহ সর্বস্থরের জনসাধারন খুবেই কষ্টের মাঝে থাকবে। গুরুত্বপূর্ন আনোয়ারপুর ব্রীজজের সংযোগ সড়ক ভেঙ্গে যাওয়ায় জেলা শহরের সাথে এখন যানবাহন চলে চরম দূভোর্গে আছে সবাই। আমি আমার উপজেলার ক্ষতিগ্রস্থ সড়ক গুলোর তালিকা তৈরী করছি। জনসাধারনের দূর্ভোগ লাগবে আমি আমার পরিষদের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টায় আছি।

    সুনামগঞ্জ স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল অধিদফতরের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ ইকবাল আহমদ বলেন,সম্প্রতি পাহাড়ি ঢলে জেলার বিভিন্ন উপজেলার ক্ষতিগ্রস্ত সড়কগুলো দ্রুতই সংস্কার করে যানবাহন চলাচলের উপযোগী করা হবে।