সুনামগঞ্জে তাবলীগ জামাতের ইজতেমায় আখেরী মোনাজাত

    0
    231

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,১২ফেব্রুয়ারী,জাহাঙ্গীর আলম ভূঁইয়া,সুনামগঞ্জ প্রতিনিধিঃ সুনামগঞ্জে কাকরাইল মসজিদের ইমাম ও খতিবের হেদায়েতি বয়ান শেষে ১১টা ৫০ মিনিটে থেকে সাড়ে বারোটা পর্যন্ত আখেরী মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে তাবলীগ জামাতের ইজতেমা। জেলা ভিত্তিক এই ইজতেমা সুরমা নদীর উপড় আব্দুল জহুর সেতুর পাশেই কুতুবপুর মাঠে বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হওয়া ইজতেমা ময়দানে শনিবার শেষ দিন আখেরী মোনাজাতে যোগ দিতে ২০লক্ষাধিক মুসল্লিদের অংশ গ্রহনে ইজতেমায় ময়দান কানায় কানায় পূর্ন হয়। জায়গা সংকুলান না হওয়ায় আশ পাশের বাড়ি-ঘড়,রাস্তায়,নদীর পাড় সহ সর্বত্র মোনাজাতে অংশ নেন আগত মুসল্লিরা। বিভিন্ন জেলা থেকে আগত মুসল্লিদের সাথে সাথে বিদেশী মেহমানদের অংশ গ্রহনে ১৬লক্ষাধিক স্কায়ারফিটের বিশাল এলাকা জুড়ে দেশ-বিদেশী মুসল্লিদের আগমনে মুখরিত ছিল ইজতেমা ময়দানের চারদিক।

    ইজতেমায় মুসল্লিদের বসার প্যান্ডেলের উপরে আকাশি কালারের পোলিষ্টার কাপড় যেন নীল আকাশের রুপ ধারন করেছিল। আগত দেশী বিদেশী আলেমগনের মধ্য থেকে কোরআন ও হাদিসের আমল ও সওয়াবের উপর ধারাবাহিক বয়ান অনুষ্টিত হয়। তিন দিনের নছিহত বয়ানে বক্তব্য রাখেন,ফ্রান্স,ইতালি,কুয়েত,আমেরিকা,পাকিস্তান,যুক্তরাজ্য,ভারত,আরব আমিরাত সহ বিভিন্ন দেশের বিজ্ঞ আলেমগন। এই তাবলীগ জামায়াতে সালাত,জিকির সহ শীর্ষ আলেমদের মুখে ইমান,তাওহীদ,রিসালাত,আমল সহ গুরুত্বপূর্ন বিষয়ে আলোচনা হবে। জানাযায়,ইজতেমা ৯,১০,১১ই র্ফেরুয়ারী পর্যন্ত ৩দিন অনুষ্টিত হয়। এতে দেশ-বিদেশের প্রায় ২০লক্ষাধিক ধর্মপ্রান মুসল্লিদের আগম ঘঠে।

    বিদেশী মেহমানদের জন্য ময়দানের পাশেই তৈরী করা হয় আলাদা জায়গা। ইজতেমায় ২৭টি বিদেশী জামাত অংশ গ্রহন করেন। ইজতেমায় দাওয়াতি কাজে জামাতবন্ধী হবে ১২টি দেশের একাধিক জামাত জেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের মসজিদে মসজিদে দাওয়াতি কাজ করেন। ইজতেমা মাঠ কে উপজেলা অনুসারে রাখা হয়েছি ১১টি কিত্তায়। প্রতি কিত্তাকে একাধিক ভাগ করা হয়েছে। পুরো মাঠ জুড়ে প্রায় ৩২০০টি খুঁটিতে ভাগ করা হয়েছে। একেক খুঁিটতে প্রায় পাঁচশত লোক প্রতি জামাত খুঁটি অনুযায়ী অবস্থান করে। ইজতেমা পরিচালনা কমিটির সভাপতি মাওলানা আনোয়ার হোসাইন জানান,এখানে সবাই মহান আল্লাহর সন্তুষ্টির আশায় স্থানীয় এলাকাবাসী সহ আগত ধর্মপ্রান মুসল্লীরা বিশিষ্ট আলেমগনের গুরুত্বপূর্ন বয়ান মনযোগ দিয়ে শুনছেন। ইজতেমা শেষে ইসলামের দাওয়াতি কাজ বিশ্ববাসীর কাছে পৌছে দেওয়ার জন্য জামাতবদ্ধ হয়ে বেরিয়ে যাবেন।

    ইজতেমায় প্রায় কয়েক লক্ষাধিক মুসল্লির আগমন ঘটেছে। এই ইজতেমায় ১১টি উপজেলার ধর্মপ্রান মুসলমানগন নিজ নিজ উদ্যোগে সব ধরনের কাজ করছেন। সুনামগঞ্জ পুলিশ সুপার হারুর নর রশিদ জানান,ইজতেমায় সার্বক্ষনিক পাঁচ শতাধিক পুলিশ সদস্য বিচ্চক্ষনতার সাথে নিরাপত্তার কাজ করেছে। শুরু থেকে শেষ না হওয়া পর্যন্ত প্রয়োজনীয় পুলিশ সদস্য ইজতেমা মাঠে মোতায়েন ছিল। এছাড়াও সাদা পোশাকে গোয়েন্দ সংস্থা,র‌্যাব,বিজিবি সহ অসংখ্য আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা আগত ধর্মপ্রান মুসল্লিদের নিরাপত্তার কাজে নিয়োজিত ছিল। এর ফলে কোন প্রকার অপ্রিতিকর ঘটনা ছাড়াই ইজতেমা শুষ্ট ভাবে সম্পন্ন হয়েছে।