সুনামগঞ্জে ক্রসফায়ারের হুমকি ! ওসি বললেন বানোয়াট

    0
    215

    সুনামগঞ্জ প্রতিনিধিঃ ক্রসফায়ারের হুমকি বিষয়ে অস্বীকার করে তাহিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোঃ আতিকুর রহমান বলেন,আমার বিরুদ্ধে ক্রসফায়ারের হুমকি অভিযোগ মিথ্যা বানোয়াট আর পরিকল্পিত। অসত্য উদ্দেশ্যে হাসিল করতেই এই অভিযোগ। আমি কোন সময়ই কাউকে হুমকি ত দুরের কথা কোন দিন আমার জানা মতে কারো সাথেই খারাপ ব্যবহার করেনি। ঐ লোকটিকে ত আমি চিনিই না। আমি আমার কাজ রেখে কেন তাকে ক্রসফায়ারের হুমকি দিব। আমার কাজ আইনশৃংখলা রক্ষা করে জনগনের নিরাপত্তাসহ আইনের বাস্থবায়ন করা। তিনি একদিন ফোন দিয়েছিল তার পর কথা হয়। আর আমি চাকরি করতে এসে কেন কাউকে হুমকি দিতে যাব। সব চেয়ে বড় কথা হল আমি থাকে ক্রসফায়ারে হুমকি দেয় নি মিথ্যা বানোয়াট ও ভিত্তিহীন।

    এদিকে সুনামগঞ্জ-১ (ধর্মপাশা,তাহিরপুর ও জামালগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন রতনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) অভিযোগ করায় পুলিশের হয়রানির শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন তাহিরপুর উপজেলা বাস্তুহারা লীগের সাধারণ সম্পাদক (২০০৯সালে গঠিত কমিটি) মিজানুর রহমান। তিনি তাহিরপুর উপজেলার উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের লাকমা নতুনপাড়া গ্রামের বাসিন্দা ইসমাইল মিয়ার ছেলে।
    মিজানুর রহমান বলেন,আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। সে কারণে এলাকা ছেড়ে চলে গেছি। মিজানুর রহমান আরো জানান,এমপির বিরুদ্ধে প্রথম দফায় অভিযোগ করার পর আমার বাসায় পুলিশ গিয়ে হুমকি দিয়েছে।
    গত মঙ্গলবার ২৯অক্টোবর আমি তাকে (ওসি) সাবেক জানিয়েছিলাম স্থানীয় এক আ’লীগ নেতার মাধ্যমে বৌলাই নদীতে ড্রেজিং করার মাটি রসুলপুর,চিসকা এলাকায় গর্ত ভরাট করার নামে চাঁদাবাজি হচ্ছে।

    পুলিশ কেন নদীতে চাঁদাবাজি করে এবং তাহিরপুরের নদী খননের মাটি সিন্ডিকেটের সঙ্গে মিলে প্রতি শতাংশ ১৫শত টাকা বিক্রি করছে। একথা বলার পর ওসি আমাকে বলেছেন,তুই বেশি বাইড়া গেছত। তরে ক্রসফায়ার দিয়া মাইরা ফালামু। সাথে সাথে এই বিষয়টি এসপি সাহেবকে বলছি। এছাড়া লিখিত ভাবে পুলিশের নিরাপত্তা সেলকে জানানোর উদ্যোগ নিচ্ছেন বলেও জানান তিনি।
    অন্যদিকে,তাহিরপুর থানার ওসি একজন ব্যক্তিকে ক্রসফয়ারের হুমকি দিয়েছেন এমন খবর শুধু পত্রিকায় দেখেছি। আর অভিযোগকারীর মনগড়া কথা এর কোন প্রমান নেই বলে জানান,সুনামগঞ্জ পুলিশ সুপার (এসপি) মোঃ মিজানুর রহমান।
    তিনি বলেন,এক দিন ফোন করে ওসি ও আমাকে নদীতে চাঁদাবাজির বিষয়ে কথা বলেছিলেন মিজানুর রহমান নামে এক ব্যক্তি। আমি চাদাঁবাজদের বিভিন্ন সময় আটক করেছি। আমার কাছে কোন অনিয়মের স্থান নেই। ক্রসফায়ারের হুমকির বিষয়টি আমি ওসির কাছে জানতে চাইলে তিনি জানিয়েছেন তিনি ওই ব্যক্তিকে চিনেন না। এরকম কোন ঘটনাই ঘটেনি।

    আগামীতে যারা এ এলাকা থেকে সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচন করতে চান তারাই এ ষড়যন্ত্র করছেন। ষড়যন্ত্রকারীদের সঙ্গে নির্বাচনি এলাকার জনগণের সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই। দুদকে দায়ের করা এসব অভিযোগের কোনও সতত্যা নেই। দুদকে যে কেউ যে কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ দিতে পারে। তদন্তে প্রমাণিত হবে কে দোষী আর কে নির্দোষ। এগুলো ভিত্তিহীন অভিযোগ বলে জানান,সংসদ সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ অস্বীকার করে আরো বলেন,আমি কৃষকের সন্তান এলাকার জনগণ আমাকে ভোট দিয়ে তিনবার এমপি নির্বাচিত করেছে। একটি কুচক্রী মহল তা সহ্য করতে না পেরে আমার নামে দুদকে মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করে আমার মানহানীর চেষ্টা করছে।

    জানা যায়,দেশ ব্যাপী আলোচিত ক্যাসিনোকাণ্ডের পর পর উপজেলা ২০০৫ সালে গঠিত কমিটি বাস্তুহারা লীগের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান গত ৩ ও ১৩ অক্টোবরে তাহিরপুর,জামালগঞ্জ ও ধর্মপাশা নিয়ে গঠিত সুনামগঞ্জ-১আসনের সংসদ সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন রতনের বিরুদ্ধে দুদকে লিখিত অভিযোগ করেন।

    এর আগে যুবলীগের নেতা পরিচয় দেওয়া ঠিকাদার জি কে শামীম গ্রেপ্তারের পর দেশ ব্যাপী আলোচিত ক্যাসিনো কাণ্ডে সংসদ সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেনের নাম আসায় তাঁর বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে দুদক। তাঁর বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগের তদন্ত ও সম্পদের বিষয়ে অনুসন্ধান করছে।