সুনামগঞ্জের হাওর রক্ষায় ৯১৪পিআইসি গঠন হয়নি,উৎবেগ

    0
    255

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,২৮নভেম্বর,সুনামগঞ্জ প্রতিনিধিঃ    সুনামগঞ্জের এবারও এক ফসলী বোরো ধান উৎপাদন সমৃদ্ধ হাওর গুলো রক্ষায় পিআইসি গঠন করার কথা থাকলেও এখনো কমিটি গঠন করা শেষ হয় নি। জেলার তাহিরপুর,জামালগঞ্জ,ধর্মপাশা,বিশ্বম্ভরপুর,দিরাই,শাল্লা,ছাতক,দোয়ারা বাজার সহ ১১টি উপজেলার ৩৬টি বৃহত্তর হাওর ১৭টি উপ-প্রকল্পসহ মোট ৫৩টি হাওরের ৯১৪পিআইসি গঠন হয় নি। ফলে লাখ লাখ কৃষক উৎবেগ,উৎকণ্ঠা আর আতœংকের মধ্যে সময় পার করছে। এবার পিআইসি গঠনের দায়িত্ব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের নেতৃতাধীন কমিটির। কিন্তু প্রকল্প কমিটির গঠনের মেয়াদ ৩০নভেম্বর শেষের পথে এর পরও কমিটি গঠন হয় নি।

    পাউবো সূত্রে জানা যায়,পাউবোর সুনামগঞ্জ (পরিচালনা ও রক্ষানাবেক্ষণ) বিভাগ-১ এর অধীনে উন্নয়ন প্রকল্পে ১৪০টি ও অনুন্নয়ন রাজস্ব খাতের ৩৭২টি। বিভাগ-২এর অধীনে উন্নয়ন খাতের ২৩১ ও অনুন্নয়ন খাতে ২২০টি সহ মোট ৯১৪পিআইসি গঠন করার কথা। উন্নয়ন খাতে পিআইসি হবে সুনামগঞ্জ পওর ১এর অধিনে সদর উপজেলায় ৩টি,অনুন্নয়ন বাজেটে ৪৭টি। বিশ্বম্ভরপুর উন্নয়নে ১১টি,অনুন্নয়নে ২২টি। তাহিরপুরে উন্নয়নে ৩৩টি,অনুন্নয়নে ৭৫টি। জামালগঞ্জে উন্নয়নে ২১টি,অনুন্নয়নে ১০৬টি। ধর্মপাশায় উন্নয়নে ৭২টি,অনুন্নয়নে ৭৭টিসহ মোট ৪৬৭টি। সুনামগঞ্জ পওর বিভাগ ২-এর অধীনে পিআইসি হবে দিরাইয়ে উন্নয়নে ৪০টি,অনুন্নয়নে ৭০টি। শাল্লায় উন্নয়নে ৮৪টি,অনুন্নয়নে ৫২টি। দক্ষিন সুনামগঞ্জে উন্নয়নে ৩২টি,অনুন্নয়নে ২৭টি।

    জগন্নাথপুরে উন্নয়নে ৩৪টি,অনুন্নয়নে ৪৮টি। ছাতকে উন্নয়নে ৯টি,অনুন্নয়নে ৩টি ও দোয়ারা বাজারে উন্নয়নে ৩২টি,অনুন্নয়নে ২০টি সহ মোট ৪৪৭টি পিআইসির মাধ্যমে এবার হাওর রক্ষা বাঁধ নির্মান করা হবে। আরো জানাযায়,পূর্বে চেয়ারম্যান,ইউপি সদস্যগন পিআইসির সভাপতি হতেন। ৫সদস্যের পিআইসিতে স্থানীয় সংদস সদস্য মনোনীত ৩জন,উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মনোনীত ১জন।

    অনেক ক্ষেত্রে সদস্য মনোনয়নের বিলম্বের কারনে পিআইসি গঠন ও বাধেঁর কাজ শুরু হতে দেরি হতো। এবার নতুন নীতিমালা অনুযায়ী হাওর পাড়ের কৃষকদের দিয়েই পিআইসি গঠন করা হবে। এবার পিআইসির সদস্য সংখ্যা হবে ৫ থেকে ৭ সদস্য বিশিষ্ট। কমিটিতে একজন সভাপতি,১জন সদস্য সচিব ও অন্যরা সদস্য হবেন। বাধেঁর কাছের জমির প্রকৃত মালিকদের সমন্বয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার পিআইসি গঠন করবেন। প্রয়োজনে ভূমি অফিস,কৃষি অফিস ও স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের সাথে উপজেলা নির্বাহী অফিসার পরামর্শ করবেন। নতুন নীতিমালা অনুযায়ী কোন ব্যক্তি একাধিক পিআইসির সভাপতি ও সদস্য হতে পারবে না। তবে বিশেষ ক্ষেত্রে সদস্য হতে পারবেন। রফিকুল ইসলাম,সাদেক আলী সহ হাওরবাসী ও কৃষকগন বলেন,এবারও সময় নষ্ট করে কমিটি গঠন করা হয় তাহলে আমাদের দুঃখের শেষ থাকবে না।

    গত বছর ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছি এবার হতে চাই না। ৩০তারিখের মধ্যেই পিআইসি গঠন করে বাধঁ রক্ষায় প্রয়োজনীয় প্রদক্ষের দাবী জানাই। সুনামগঞ্জ পাউবোর বিভাগ পওর ১এর নির্বাহী প্রকৌশলী আবু বক্কর সিদ্দিকি ভূঁইয়া ও পওর বিভাগ ২এর নিবার্হী প্রকৌশলী মোঃ সাহিনুজ্জামান বলেন,নতুন নীতি মালা অনুযায়ী ৩০নভেম্বরের মধ্যে সকল পিআইসি গঠন করার কথা। খুব শীর্ঘই পিআইসি গঠনের তালিকা পেয়ে যাব। তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পূনেন্দ্র দেব জানান,পিআইসি গটন করা এখনো হয় নি।

    দ্রুত মিটিংয় করে সবার সাথে বসে পিআইসি গঠন করা সহ সকল কাজ সমাধানে সর্বোচ্ছ চেষ্টা করছি। তাহিরপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান কামরুল বলেন,এবার হাওর রক্ষা বাঁধের জন্য পিআইসি গঠন সহ সব কাজ সময় মত করতে যা করা প্রয়োজনীয় আমি পদক্ষেপ নিচ্ছি।