“সুজন”র বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্তঃডেপুটি স্পিকার

    0
    222

    আমারসিলেট24ডটকম,৩০ডিসেম্বরঃ জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার শওকত আলীর গত পাচ বছরে প্রায় সাড়ে চারশো শতাংশ সম্পদ বেড়েছে বলে সম্প্রতি বেসরকারি সংগঠন সুশাসনের জন্য নাগরিক “সুজন” যে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে, তাকে বিভ্রান্তিমূলক দাবি করে ডেপুটি স্পিকার সংগঠনটির বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
    জাতীয় সংসদ সচিবালয় থেকে পাঠানো ডেপুটি স্পিকারের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গত ২৭ ডিসেম্বর সুজনের সংবাদ সম্মেলনের বরাত দিয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, ডেপুটি স্পিকারের বার্ষিক আয় ৪৪৩৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
    এ বিষয়ে ডেপুটি স্পিকার শওকত আলী বলেন, “আয় বৃদ্ধির কারণ উল্লেখ না করে অসততার আশ্রয় নেয়া হয়েছে। ২০০৮ সালে আমার আয় ছিল ৪৪ হাজার ১০৬ টাকা । আমি তখন সংসদ সদস্য বা ডেপুটি স্পিকার ছিলাম না। ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর তারিখে অনুষ্ঠিত নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমি জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হই। ২০০৯ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত প্রায় পাঁচ বছর আমি ডেপুটি স্পিকার হিসেবে পারিতোষিক ও ভাতাদি গ্রহণ করেছি। সে অনুপাতে ২০১৩ সালে আমার বার্ষিক আয় আনুমানিক বিশ লাখ টাকা হতেই পারে। এতে বিস্মিত হওয়ার কিছুই নেই।“

    ডেপুটি স্পিকার বলেন, “আমার আয় যা বেড়েছে তা বৈধভাবেই বেড়েছে। উপর্যুক্ত পাঁচ বছরে সংবিধানের বিধান মেনেই আমি কোনো লাভজনক পদে ছিলাম না বা কোনো প্রতিষ্ঠান থেকে কোন মুনাফা বা আয় গ্রহণ করিনি। ডেপুটি স্পিকারের পারিতোষিক ও ভাতা ছাড়া আমি যেসব খাতে আয় করেছি, তা হচ্ছে সামরিক পেনশন, বিটিভির অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের জন্য সম্মানী এবং আমার নিজের বই লেখার জন্য রয়্যালটি।

    ডেপুটি স্পিকার আরও বলেন, “সংবাদে আমার  সম্পদ ২৩৮ শতাংশ বেড়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে-যা বিভ্রান্তিমূলক ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত। প্রকৃতপক্ষে ২০০৮ সালে প্রদত্ত সম্পদের তুলনায় ২০১৩ সালে সামান্যই বৃদ্ধি পেয়েছে। আর যা বেড়েছ তা হলো সংসদ-সদস্য হিসেবে প্রাপ্য শুল্কমুক্তভাবে আমদানিকৃত একটি গাড়ি, যার মূল্য ৫৬ লাখ ৭৯ হাজার টাকা” বলে জানান তিনি।