সীমান্ত দিয়ে ৮৫মে.টন চুনাপাথর পাচাঁর:আটক ২মে.টন

    0
    382

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,১৫ডিসেম্বর,সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি:    সুনামগঞ্জের তাহিরপুর সীমান্তে সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে ভারত থেকে অবৈধভাবে পাঁচারের সময় ২মে.টন চুনাপাথর আটক করেছে বিজিবি। কিন্তু অন্যদিকে ৮টি ইঞ্জিনের নৌকায় বোঝাই করে ৮৫মে.টন চুনাপাথর পাচাঁর করে নিয়ে গেছে চোরাচালানীরা।
    এব্যাপারে বিজিবি ও এলাকাবাসী জানায়,আজ ১৫.১২.১৭ইং শুক্রবার ভোর ৪টা থেকে টেকেরঘাট বিজিবি ক্যাম্পের বড়ছড়া-পাহাড়তলী ও রজনী লাইন এলাকা দিয়ে উপজেলার উত্তরশ্রীপুর ইউনিয়নের দুধেরআউটা গ্রামের চাঁদাবাজি মামলা নং-জিআর ১৬৩/০৭ইং এর জেলখাটা আসামী চিহ্নিত চোরাচালানী ও ইয়াবা ব্যবসায়ী জিয়াউর রহমান জিয়া,তার একান্ত সহযোগী রজনী লাইন গ্রামের বিজিবির সোর্স পরিচয়ধারী ফিরোজ মিয়া গং টেকেরঘাট বিজিবি ক্যাম্পের হাবিলদার সিদ্দিকের সহযোগীতায় ভারত থেকে প্রায় ৫০০মে.টন চুনাপাথর পাচাঁর করে এলাকার বিভিন্নস্থানে মজুদ করে। এরপর সকাল ৬টায় পাচাঁরকৃত চুনাপাথরের মধ্যে ৬০মে.টন চুনাপাথর ২০টি ট্রলি যোগে টেকেরঘাট বিজিবি ক্যাম্পের সামনে অবস্থিত শহীদ মিনারের পশ্চিমপাশের নদীতে নিয়ে ওপেন ৪টি ইঞ্জিনের নৌকায় বোঝাই করে নিয়ে যায়। এরপর সকাল ১০টায় আবারোও চুনাপাথর দিয়ে ৪ ইঞ্জিনের নৌকা বোঝাই করার সময় বিজিবি অভিযান চালিয়ে ২মে.টন চুনাপাথর আটক করলেও ২৫মে.টন চুনাপাথর বোঝাই ৪টি ইঞ্জিনের নৌকা আটক করেনি বিজিবি। দুই বারে পাচাঁরকৃত ৮৫মে.টন চুনাপাথরের মূল্য ২লক্ষ ৫৫হাজার টাকা।
    এব্যাপারে টেকেরঘাট ও বড়ছড়া শুল্কষ্টেশনের ব্যবসায়ী আতিক হাসান,আশরাফ আহমেদ,নজির হোসেন,কামাল মিয়া,দিলু মিয়াসহ আরো অনেকেই বলেন,পাচাঁরকৃত ১ ট্রলি চুনাপাথর থেকে টেকেরঘাট বিজিবি ক্যাম্পের নামে হাবিলদার সিদ্দিক ও তার সোর্স ফিরোজ মিয়া নিচ্ছে ২০০টাকা,বালিয়াঘাট বিজিবি ক্যাম্পের নামে জিয়াউর রহমান জিয়া,ইদ্রিস আলী,আব্দুল হাকিম ভান্ডারী নিচ্ছে ১০০টাকা ও ঢাকা,বিভাগ,জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে কর্মরত সাংবাদিক ও সম্পাদকদের নাম ভাংগিয়ে আব্দুর রাজ্জাক নিচ্ছে ১০০টাকা। এছাড়া টেকেরঘাট ও বালিয়াঘাট বিজিবি ক্যাম্পের লাকমাছড়া,টেকেরঘাট,বড়ছড়া,বুরুঙ্গাছড়া, রজনীলাইন এলাকা দিয়ে ভারত থেকে বল্ডারপাথর,মরাপাথর,নুড়ি ও সিংগেল পাথর পাচাঁরের জন্য ১ ট্রলি পাথর থেকে ৩৫০টাকা চাঁদা নিচ্ছে উপরের উল্লেখির চোরাচালানীরা। তারা সরকারের লক্ষলক্ষ টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে চোরাচালান ও চাঁদাবাজি করে রাতারাতি হয়েছে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ। নিজনিজ এলাকায় নির্মাণ করেছে বিলাস বহুলবাড়ি,ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান,কিনেছে দামী মোটর সাইকেল,জায়গা-জমি,একাধিক ব্যাংক একাউন্ট ও বীমা। তাদের মাধ্যমেই সীমান্তের চোরাই কয়লা ও চুনাপাথরের ঘাটগুলো লিজ দেওয়া হয়। কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ভাবে জোড়ালো কোন পদক্ষেপ না নেওয়ায় সীমান্ত চোরাচালান বন্ধ করা সম্ভব হচ্ছেনা।
    এব্যাপারে টেকেরঘাট বিজিবি ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার সুবেদার রাশেদ খান বলেন,আমাদের কোন সোর্স নেই,কেউ বিজিবির নামে চাঁদাবাজি করলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়াসহ সীমান্ত চোরাচালান বন্ধের জন্য দিনরাত কাজ করেছি।
    সুনামগঞ্জ ২৮ব্যাটালিয়নের বিজিবি অধিনায়ক নাসির উদ্দিন বলেন,সীমান্ত চোরাচালান প্রতিরোধের চেষ্টা করছি,আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।