সিলেট-৪ আসনে ৫প্রার্থীর মনোনয়ন,৩প্রার্থী উল্লেখযোগ্য

    0
    257

    রেজওয়ান করিম সাব্বির,জৈন্তাপুর সিলেট প্রতিনিধিঃ আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিলেট-৪ আসনে ১১তম নির্বাচনে উৎসব মুখর পরিবেশে মনোনয়ন দাখিল করেছেন ৬জন প্রার্থী। এরমধ্যে রয়েছেন আ.লীগ থেকে বর্তমান সংসদ সদস্য জেলা আ.লীগের সহ সভাপতি ইমরান আহমদ, বিএনপি থেকে সাবেক সংসদ ও কেন্দ্রিয় বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক দিলদার হোসেন সেলিম ও বিএনপির কেন্দ্রিয় নির্বাহী কমিটির সহ সেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক ও সেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রিয় সহ সভাপতি এ্যাডভোকেট সামাসুজ্জামান জামান, জাতীয় পাটি থেকে রয়েছেন কেন্দ্রিয় প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সিলেট বিভাগীয় সমন্বয়কারী এ.টি.ইউ তাজ রহমান, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম থেকে জেলা জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের সহ সভাপতি মাওলানা আতাউর রহমান এবং ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ থেকে জিল্লুর রহমান। মাঠ পর্যায়ে ৩প্রার্থীর জনসমর্থন রয়েছে উল্লেখযোগ্য। সিলেট-৪ আসনে মোট ভোটার সংখ্যা- ৩ লাখ ৮১ হাজার ৪ শত ৫ জন।
    নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত মনোনয়ন দাখিলের শেষে দিনে ২৩২-সিলেট-৪ আসনে ৬জন প্রার্থী মনোনয়ন দাখিল করেছেন বলে বিভিন্ন সূত্রে নিশ্চিত করেছে। তারা হলেন- আওয়ামী লীগ (নৌকা প্রতিক) ৫বারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য ইমরান আহমদ, বিএনপি যৌথ প্রার্থী (ধানেরর্শীষ প্রতিক) সাবেক সংসদ সদস্য দিলদার হোসেন সেলিম ও সামসুজ্জামান জামান, জাতীয় পাটির (লাঙ্গল প্রতিক) এ.টি.ইউ তাজ রহমান এবং জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ (খেজুরগাছ প্রতিক) মাওলানা আতাউর রহমান এবং ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ (হাতপাখা প্রতিক) জিল্লুর রহমান।
    সিলেটের আলোচিত খনিজ সম্পদ ভরপুর ২৩২-সিলেট-৪ আসনে ৬জন প্রার্থী মনোনয়ন দাখিল করলেও মাঠ পর্যায়ে ভোটরদের জরিপে ৩জন প্রার্থী সর্বোচ্ছ এগিয়ে রয়েছে। বিগত বৎসর গুলোতে নানা উন্নয়ন কর্মকান্ডের জন্য এবং আওয়ামীলীগের ঘাটি হিসাবে সিলেট-৪ আসন পরিচিত থাকায় শক্ত অবস্থানে রয়েছেন নৌকা প্রতিকের প্রার্থী ইমরান আহমদ। এছাড়া ৫বারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য থাকার কারনে এলাকার উন্নয়ন কর্মকান্ডের তার ভূমিকা ভাল থাকায় সাধারন ভোটারদের মধ্যে তিন উন্নয়নের প্রতিক হিসাবে অবস্থান তৈরী করে নিয়েছেন। বর্তমানে দলীয় কোন্দল না থাকায় নেতা কর্মীদের নিয়ে ভোটারদের কাছে চষে বেড়াছেন।
    পিছিয়ে নেই ধানের র্শীষ প্রতিকের প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য দিলদার হোসেন সেলিম। ৯ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতিকের প্রার্থীর নিকট পরাজিত হলেও হাল ছাড়েননি তিনি। বন্যা, সীমান্ত সমস্যা, নেতাকর্মীদের উপর হামলা মামলা, নির্যাতন নিপিড়ন কাঁদে নিয়ে নেতাকর্মীদের সুসংঘটিত করে বিচ্ছিন্ন ভাবে দলীয় কার্যক্রম চালিয়ে যান। ৮ম সংসদ সদস্য হিসাবে নির্বাচিত হওয়ায় তিনি আসনটির সাধারন ভোটারদের কাছে বেশ পরিচিতি রয়েছে। দল অন্য প্রার্থী রাখায় এ আসনে কিছুটা বেকায়দায় রয়েছেন দলের কাছে। বিএনপির অপরপ্রার্থী সামসুজ্জামান জামান এ আসনে শুধুমাত্র দলীয় নেতাকর্মীর মধ্যে গ্রহনযোগ্যতা থাকলেও মাঠ পর্যায়ে ভোটারদের কাছে এ প্রার্থীর তেমন কোন অবস্থান তৈরী করে নিতে পারেননি। সিলেট-৪ আসনে ৩টি উপজেলা বিএনপির দায়িত্বপ্রাপ্তরা সামসুজ্জামনকে মেনে নিতেও নারাজ।
    জাতীয় পাটির প্রেসিডিয়াম সদস্য এ.টি.ইউ তাজ রহমান শুধুমাত্র নিজ দলের নেতাকর্মী কাছে পরিচিত। দলের মনোনয়ন পাওয়ায় তিনি দলের নেতৃবৃন্দের সাথে অবস্থান করলেও সাধারন ভোটারদের সাথে পরিচিত না থাকায় ভাল অবস্থান তৈরী করতে পারবেন না বলে সাধারণ ভোটারদের মনে করে। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নমিনেশন দিলেও অজ্ঞাত কারনে তা বাতিল হয়ে যায়। ফলে নেতা কর্মীরা হতাসাগ্রস্থ হয়ে পড়ে। যার প্রভাব স্থানীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে বিরাজ করছে।
    সিলেট-৪ আসন বিশেষ করে কৌওমী মাদ্রাসা অধ্যুষিত থাকায় এ আসনে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের একটি অবস্থান রয়েছে। তারা বিগত কয়েকটি নির্বাচনে অংশ গ্রহন করে উল্লেখযোগ্য ভোট পেয়ে বিজয়ী প্রার্থীদের সাথে নিকটতম অবস্থান করে নেয়। ফলে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের প্রার্থী মাওলানা আতাউর রহমান ভোটারদের কাছে বেশ পরিচিতি একজন সুবক্তা হিসাবে। তাছাড়া সিলেট-৪ আসনটি জমিয়তের ভোট ব্যাংক হিসাবে ভোটারের কাছে পরিচিত।
    ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর মনোনিত প্রার্থী জিল্লুর রহমান এ আসনের ভোটারদের মধ্যে কোন পরিচিতি নেই। শুধৃু দলের মনোনীত প্রার্থী হিসাবে দলের কাছে তিনি পরিচিত। বিগত দিনে জিল্লুর রহমানের দল কিংবা ব্যক্তির উল্লেখযোগ্য কোন সাংঘঠনিক কার্যক্রমে পালন করতে দেখা যায়নি।