সিলেট-৪ আ’লীগের ঘাটি দখল নিতে মরিয়া বিএনপি

    0
    405

    সুবিধা জনক অবস্থানে জাতীয় পাটি

    রেজওয়ান করিম সাব্বির,জৈন্তাপুর (সিলেট) প্রতিনিধি: প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি এবং খনিজ সম্পদ পাথরের সম্রাজ্য সিলেট-৪ আসন। সীমন্তঘোরা এই জনপদ (জৈন্তাপুর, গোয়াইনঘাট ও কোম্পানীগঞ্জ) তিন উপজেলা নিয়ে গঠিত সংসদীয় আসন ২৩২-সিলেট-৪। আসনটিতে ৫বার নৌকা প্রতিকে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামীলীগের প্রার্থী ইমরান আহমদ। এই কারনে খনিজ সম্পদে ভরপুর আসনটি আওয়ামীলীগ শক্ত ঘাটি হিসাবে বিবেচিত হয়ে আসছে। আর এই আসনে বিএনপি সর্বশেষ ২০০১ সালে নির্বাচনে ইমরান আহমদ এমপিকে পরাজিত করে সংসদ সদস্য নির্বচিত হন দিলদার হোসেন সেলিম। প্রয়াত অর্থমন্ত্রী এম.সাইফুর রহমান ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্র“য়ারীর ও ১২ জুন অনুষ্ঠিত পৃথক দুটি নির্বাচনে জয়ী হন। এ সময় এম সাইফুর রহমান তার জন্মভূমি মৌলভীবাজার সদর আসনেও জয়ী হওয়ায় সিলেট-৪ আসনটি থাকে ছেড়ে দিতে হয়। ফলে উপ-নির্বাচনে আওয়ামীলীগের ঘাটিতে ইমরান আহমদ পূনরায় নির্বাচিত হয়ে আসনটি পুনরুদ্ধার করতে সক্ষম হন। ২০০৮ সালে আওয়ামীলীগের ইমরান আহমদ আসনটি বিএনপির কাছে থেকে উদ্ধারের পর ১০ম সংসদ নির্বাচনে দলের বিদ্রোহী প্রার্থী ফারুক আহমদ কে পরাজিত করে সংসদ নির্বাচিত ইমরান আহমদ।
    আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের ঘাটির দখল নিতে মরিয়া হয়ে তৎপরতা চালাচ্ছে বিএনপি তথা ২৩ দলীয় ঐক্য ফ্রন্টের প্রার্থী দিলদার হোসেন সেলিম। ইমরান আহমদের সাথে ভোট যুদ্ধে বিজয় ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছেন দিলদার হোসেন সেলিম তথা তৃর্ণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীরা সহ জাতীয় ঐক্য ফ্রন্টের নেতারা। ইতোমধ্যে তৃর্ণমূল নেতাকর্মীদের চাঙ্গা করতে প্রচারনার শুরুতেই ঐক্য ফ্রন্ট্রের শীর্ষ নেতাদের আগমন ঘটান র্নিবাচনী মাঠে। ফলে বিএনপি শিবিরে অনেকটা চাঙ্গা ফিরে পেল। তারা ধানের শীর্ষের সমর্থনে কাক ডাকা ভোর হতে নির্বাচনি প্রচার, প্রচারনা, উঠান বৈঠক, ভোটারের বাড়ীতে বাড়ীতে দেখা সাক্ষাত এবং কুশল বিনিময় সহ সর্বাত্মক চেষ্টায় নেমে পড়েছে দলটির তৃর্ণমূল পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ সহ দলটির নির্বাচনি ওয়ার্কিং দল।
    অপরদিকে মহাজোট হতে জাতীয় পাটি সিলেট-৪ আসনটি ছাড় না দিয়ে প্রার্থী দেওয়ায় কিছুটা বেকায়দায় রয়েছে আওয়ামীলীগ। বিগত ৫ বৎসর হতে জাতীয় পাটির কেন্দ্রিয় নির্দেশে তাদের প্রেসিডিয়াম সদস্য সিলেট জেলা জাতীয় পাটির প্রধান সমন্বয়ক তাজ উদ্দিন আহমেদ তাজ রহমান মাঠ পর্যায়ে দলকে সুসংগঠিত করে এ পর্যন্ত পৌছেন। তিনি তার কর্মীরা নিয়ে আসনটির প্রত্যেকটি পাড়া মহল্লায় এবং ওয়ার্ড পর্যায়ে লাঙ্গল মার্কা তথা পল্লী বন্ধু হোসাইন মোহাম্মদ এরশাদের দল জাতীয় পাটিকে নির্বাচিত করেতে কাজ করে যাচ্ছেন। এদাকশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তাদের ভূমিকা অনেকটা আশা ব্যঞ্জক হয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় মাহাজোট হতে প্রার্থীতা প্রত্যাহার না করে নির্বাচনে লাঙ্গল প্রর্তীক নিয়ে সক্রিয় অংশ গ্রহন করেছেন জাতীয় পাটির প্রেসিডিয়াম সদস্য তাজ উদ্দিন আহমেদ তাজ রহমান।
    জাতীয় পাটির সক্রিয় অংশ গ্রহনের ফলে অনেকটা নির্বাচনি হিসাব নিকাশ পাল্টে যায় আওয়ামীলীগের মধ্যে এই সুযোগকে কাজে লাগীয়ে খনিজ সম্পদের ভরপুর ও পাথর সম্রাজে খ্যাত আসটি ফিরে পেতে ঐক্য ফ্রন্টের প্রার্থী দিলদার হোসেন সেলিম মাঠ কাজ করে যাচ্ছেন। এ আসনের সাধারন ভোটরা দিন দিন ধানের শীষের সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে।
    সাধারন ভোটাররা মনে করে খনিজ সম্পদে ভরপুর এবং সীমান্ত ঘেষা পাথর সম্রাজ্যের দখল, লুঠতরাজ, পরিবেশ ধ্বংসের হাত থেকে বাঁচাতে আসনটির সংসদ সদস্য পরিবর্তন হওয়া দরকার বলে মনে করছে। তারা সৎ যোগ্য পরিশ্রমিক, জনবান্ধব প্রার্থী নির্বাচনে তাদের মহামূল্যবান ভোট কাজে লাগাবে। তবে সিলেট-৪ আসনে মূলত ভোট যুদ্ধ হবে আওয়ামীলীগের (নৌকা) ও বিএনপির (ধানের শীষের) মধ্যে।