সিলেট-তামাবিল মহাসড়কে শুরুতেই সিসি ঢালাইয়ে ফাঁটল !

    0
    246

    সংশ্লিষ্ট বিভাগের কাজের তদারকি নিয়ে জনমনে প্রশ্নবিদ্ধ ?

    রেজওয়ান করিম সাব্বির,জৈন্তাপুর (সিলেট) প্রতিনিধিঃ সিলেট-তামাবিল মহাসড়কের কাজের গুনগত মান নিয়ে শুরুতেই দেখা দিয়েছে নানা প্রশ্ন ? ৪ ইঞ্জি সিসি ঢালাইয়ের ৪৮ ঘন্টার মাথায় দেখা দিয়েছে ফাঁটল। সচেতন মহলের দাবী সংশ্লিষ্ট টিকাদারী প্রতিষ্ঠান নয় ছয়ের চেষ্ঠা চালাচ্ছে। টিকাদারী প্রতিষ্ঠানের দাবী সিমেন্ট বেশি হওয়ায় এমন ফাঁটল। সংশ্লিষ্ট বিভাগ বলছে পানি সঠিক ব্যবহারের না করাতেই ফাঁটলের সৃষ্টি।
    বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ ও পর্যটন খ্যাত সিলেট-তামাবিল মহাসড়কটি জৈন্তাপুর হইতে জাফলং পর্যন্ত প্রায় ১৮ কিলোমিটার রাস্তা চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ায় বৈদেশিক ও কর্মসংস্থান মন্ত্রনালয়ের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী সিলেট-৪ আসনের স্থানীয় সংসদ সদস্য ইমরান আহমদের ঐকান্ত্রিক প্রচেষ্ঠায় ১৬০ কোটি টাকা ব্যয়ে উন্নয়ন প্রকল্প অনুমোদন হয়। ইতোমধ্যে টেন্ডারের মাধ্যমে কাজপায় টিকাদারী প্রতিষ্ঠান সি.এস.বি.এস।

    বিগত ৪মাস থেকে প্রতিষ্ঠানটি মহা সড়কটির সড়কের বিভিন্ন স্থানে কাজ শুরু করে। প্রতিষ্ঠানটি নানা ভাবে কাজ করলে চলাচলের সুবিধার কারনে সচেতন মহল কোন কাজ নিয়ে কোন প্রশ্ন তুলেনি। সম্প্রতি সি.এস.বি.এস নামক টিকাদারী প্রতিষ্ঠান মহাসড়কের জৈন্তাপুর উপজেলার মোরগার পুল (ব্রিজ) হতে ইমরান আহমদ মহিলা ডিগ্রি কলেজ পর্যন্ত রাস্তার একটি অংশের প্রায় ৪০ মিটার ৪ইঞ্জি সিসি ঢালাইয়ের কাজ শুরু করে।

    ঢালাই কাজের ৪৮ ঘন্টার মধ্যে সিসি ঢালাই ফাঁটল দেখা দেওয়ায় জনমনে সৃষ্টি হয়েছে নানান প্রশ্ন? সচেতন মহল জানায় টিকাদারী প্রতিষ্ঠান নয়-ছয়ের মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কের সিসি ঢালাই কাজ শুরু করেছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দ্রুত ব্যবস্থা না নিয়ে ১৬০ কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্প গচ্ছা যাবে।
    রাস্তার সিসি ঢালাইল ফাঁটলের সংবাদ পেয়ে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় ৪দিন পূর্বে টিকাদারী প্রতিষ্ঠান মহাসড়কের একপাশ্বে প্রায় ৪০মিটার ৪ইঞ্জি সিসি ঢালাই করে।

    স্থানীয়রা জানান রাস্তার সিসি ঢালাইয়ের বিভিন্ন স্থানে দেখা দিয়েছে ফাঁটল। টিকাদারী প্রতিষ্ঠান এসব ফাঁটলের বড় বড় অংশ সমুহে সিমেন্ট বালু দিয়ে মুছার চেষ্টা চালাচ্ছে। ফাঁটল দেখা দেওয়ার পর পর জন চোঁখের আড়াল করতে দ্রুত আর.সি.সি ঢালাই কাজের জন্য লোহার পিঞ্জিরা বাঁধার কাজ শুরু করেছে প্রতিষ্ঠানটি। ফাঁটলের দৃশ্য ধারন করতে গেলে টিকাদারী প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী শফিকুল প্রথমে প্রতিবেদককে ছবি তুলতে বাঁধার সৃষ্টি করে। প্রতিবেদক এলাকাবাসীর সহযোগিতা চাইতে গেলে তিনি সরে পড়ে।

    এবিষয়ে জানতে প্রজেক্ট ম্যানেজার আনোয়ার হোসেনের সাথে মোবাইল ফোনে আলাপকালে ফাঁটলের সত্যতা স্বীকার করে তিনি প্রতিবেদককে জানান- সিসি ঢালাইটি মূলত আরসিসি ঢালাইয়ের নিচ অংশটি শক্ত রাখার জন্য করা হচ্ছে। ফাঁটল হলেও আরসিসি ঢালাই কাজের কোন সমস্যা হবে না বলে তিনি জানান।
    এবিষয়ে জানতে সড়ক ও জনপথের সাব এসিষ্ট্যান্ড ইঞ্জিনিয়ার মাসুম আহমদের সাথে আলাপকালে তিনি প্রতিবেদককে জানান- এরকম ফাঁটল হয়ত বেশি সিমেন্ট দেওয়ার ফলে হতে পারে বলে ধারনা করছেন। তবে বিষয়টি তিনি সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহন করবেন।
    এবিষয়ে সওজের সিলেট জোনের প্রকৌশলী রস্তুম খান প্রতিবেদককে জানান- সিমেন্ট বেশি হওয়ার কোন সুযোগ নেই। যেহেতু সম্পূর্ণ আধুনিক পদ্ধতীতে মান নিয়ন্ত্রন করে সিসি ঢালাই মসলা তৈরী করা হয়।

    তিনি আরও বলেন ঢালাই ছাড়ার ৪ঘন্টা পর পানি প্রয়োগ করার কথা, কিন্তু টিকাদারী প্রতিষ্ঠান সটিক সময়ে পানি না দেওয়ায় এই ফাটল দেখা দিয়েছে। বিষয়টি আমি কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি। তিনি এলাকার সচেতন মহলের উদ্যেশে বলেন- আপনার এলাকার কাজ সটিক ভাবে হচ্ছে কিনা তা পর্যবেক্ষন করার আহবান করেন।