আমারসিলেটটোয়েন্টিফোর.কম ০৪ সেপ্টেম্বর : সিলেটের স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা সোনার দোকান বন্ধ রেখে ধর্মঘট পালন করছেন গতকাল জিন্দাবাজারে ভয়াবহ ডাকাতির প্রতিবাদে আজ সকাল থেকে এ ধর্মঘট পালন করছেন ব্যবসায়ীরা। বৃহস্পতিবার পূর্ণদিবস ধর্মঘট চলবে। ডাকাতির সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের গ্রেফতার ও লুণ্ঠিত স্বর্ণালঙ্কার উদ্ধারের দাবিতে এ ধর্মঘট। এ দাবিতে তারা প্রশাসনকে ২৪ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিয়েছেন। ডাকাতির ঘটনায় মার্কেটের ব্যবসায়ীরা বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তা ও পুলিশকে দায়ী করছেন।
ব্যাবসায়ীরা জানায়, বিদ্যুৎ বিভাগ ও পুলিশের কারণে সন্ধ্যারাতে জিন্দাবাজারের মতো ব্যস্ততম এলাকায় ডাকাতি হয়েছে। ডাকাতির কিছুক্ষণ আগে বিদ্যুৎ চলে যায়। আর থানা থেকে মাত্র আধ কিলোমিটার দূরে জিন্দাবাজার পয়েন্টে আসতে পুলিশের সময় লেগেছে এক ঘণ্টা। রাত সাড়ে ৮টার দিকে কোতোয়ালি থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। তবে তারা মার্কেট থেকে ৫০০ গজ দূরেই গাড়ি রেখে রাত ৯টার দিকে ফিরে যায়।
জুয়েলার্স সমিতি সিলেটের সাধারণ সম্পাদক বাবুল আহমদ জানান, সন্ধ্যা রাতে স্বর্ণের মার্কেটে ডাকাতির ঘটনা সিলেটে নজিরবিহীন। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রশাসন ডাকাতদের গ্রেপ্তার ও লুণ্ঠিত স্বর্ণালঙ্কার উদ্ধারে ব্যর্থ হলে কঠোর কর্মসূচি দেয়া হবে।
গতকাল সন্ধ্যায় জিন্দাবাজারের নেহার মার্কেটে ডাকাতদল আগ্নেয়াস্ত্র থেকে বেশ কয়েক রাউন্ড ফাঁকাগুলি ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আতঙ্ক ছড়ায়। ফলে মার্কেটের লোকজন ও পথচারীরা আতঙ্কে পালাতে শুরু করেন। তারা তিনটি দোকানে ডাকাতি করে পালিয়ে যাওয়ার সময় গুলি ও ককটেল ফাটায়। এতে মার্কেটের নিরাপত্তারক্ষী বাদশা মিয়া নিহত হন। এ ঘটনায় আহত হন আরো ৪ জন। তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ডাকাতিকালে সহস্রাধিক ভরি সোনা ডাকাতদল লুট করেছে বলে মার্কেটের ব্যবসায়ীরা দাবি করেছেন। এছাড়া ব্যাপক ভাঙচুর ও করে ডাকাতরা।