সিলেটে থানা থেকে জিডি গায়েব:দীর্ঘ ৬ মাসেও প্রতিকার পাননি ফরিয়াদী

    2
    270

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,এপ্রিল,মইন উদ্দিনঃ সিলেটে জানমালের নিরাপত্তা চেয়ে জিডি করে ৬ মাসেও প্রতিকার পাননি এক ব্যক্তি। টাকার বিনিময়ে থানার ভলিয়ম থেকে লাপাত্তা হয়ে গেছে তার এই জিডি। প্রতিকার চেয়ে পুলিশের দ্বারে দ্বারে ঘুরলে তাকে উল্টো দেয়া হচ্ছে নানা হুমকি। জিডি গায়েবের চাঞ্চল্যকর এ ঘটনা এসএমপির কতোয়ালী মডেল থানায়। ফলে জিডি করে চরম বিপাকে পড়েছেন ভুক্তভোগি ওই ব্যক্তি। জানা গেছে, সিলেটের দক্ষিণ সুরমা থানার ইসলামনগর বলদী গ্রামের মরহুম সোনাফর আলীর ছেলে মোঃ মইন উদ্দিন। এসএমপির মোগলাবাজার থানাধীন পানি গাঁওয়ের মৃত আব্দুল হান্নানের ছেলে আব্দুর রহিমের কাছে তার পাওনা রয়েছে মোটা অংকের টাকা। পাওনা টাকা অস্বীকার করে আব্দুর রহিম নগরীর বন্দবাজার এলাকায় মইন উদ্দিনকে পেয়ে প্রাণে মারার হুমকি দেয়। এ ঘটনায় পাওনাদার মইন উদ্দিন বাদী হয়ে গত বছরের ১৪ অক্টোবর কতোয়ালী মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী (জিডি নং- ৬২৮) করেন। থানার তৎসময়ের ডিউটি অফিসার এএসআই রিয়াজ এ জিডি এন্ট্রি করেন বলে নিজ স্বাক্ষরে নম্বর সম্বলিত কপি প্রদান করেন। পরবর্তীতে বেধে যায় গোল। থানার একজন অফিসার বিবাদী আব্দুর রহিমের বাড়িতে গিয়ে তাকে খোজে না পেয়ে দেখা করার জন্য বলে আসেন। খবর পেয়ে বিবাদী আব্দুর রহিম তদন্তকারী কর্মকর্তার সাতে দেখা করেন। এরপর থেকেই লাপাত্তা হয়ে যায় বাদী মোঃ মইন উদ্দিনের এই জিডি। মইন উদ্দিন অনেকবার খোজ নিয়ে জানতে পারেন, তাকে ওই তারিখের ৬২৮ নম্বর জিডির যে কপি দেয়া হয়েছে তা থানার খাতায় উঠানো হয়নি। এমনকি ওই নম্বরে অন্য কারোর জিডিও থানার তদন্ত  খাতায়  নেই। মইন উদ্দিন জানান, কতোয়ালী থানার সাধারণ  ডায়েরীর তদন্ত খাতায় ২০১৪ সালের  অক্টোবর  মাসের ৬২৭ ও ৬২৯ নম্বর জিডি থাকলেও  তার করা  ৬২৮ নম্বর  জিডি না উঠিয়ে তা গায়েব করা হযেছে।  বিবাদীর  কাছ থেকে  মোটা অংকের  টাকা পেয়ে থানা পুলিশ  জিডিটি  গায়েব করে ফেলেছে বলে  অভিযোগ করেন তিনি।

    অভিযোগের  ব্যাপারে থানার তৎসময়ের ডিউটি  অফিসার এএস আই রিয়াজের সাথে যোগাযোগ করা  হলে  তিনি মইন উদ্দিনের  জিডি করার সত্যতা স্বীকার করে জানান মুল কপি  মিসফাইল  হয়ে যাওয়ায়  প্রশিকিউশনের  জন্য আদালতে  প্রেরণ ও তদন্ত করা সম্ভব হয়নি।  তিনি  এ বিষয়ে  নতুন করে আরেকটি  জিডি করতে মইন উদ্দিনকে পরামর্শ  দিয়েছেন বলে  জানান।