সিলেটে ছাত্রদলের দু’পক্ষের গুলিবিনিময়ে নিহত-১ আহত-২

    0
    283

    সিলেট ডেস্কঃ  সিলেটে জাতীয়তাবাদী বিএনপির অংগ সংগঠন  ছাত্রদলের একপক্ষের হামলায় অপর পক্ষের এক নেতা নিহত হয়েছে এবং আহত হয়েছেন আরও দু’জন।শনিবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে সিলেট সিটি করপোরেশনের নবনির্বাচিত মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর বাসার সামনে মোড়ে এ ঘটনা ঘটে।

    রাত সাড়ে ১১টার দিকে সিলেট এম এ জি ওসমানী হাসপাতাল সুত্রে জানা যায়, ফয়জুর রহমান রাজু নামের একজন মারা গেছেন। বাকি দুজন ওয়ার্ডে ভর্তি রয়েছে।

    ছাত্রদল সূত্র জানায়, ফয়জুর রহমান রাজু (২৮) মহানগর ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক।

    পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী ব্যক্তিরা জানান, রাত সাড়ে নয়টার সময় আরিফুল হককে ফুল দিয়ে ছাত্রদলের একটি পক্ষ বাসা থেকে বের হয়ে কুমারপাড়ার মোড়ে দাঁড়ায়। এ সময় অতর্কিত ভাবে অপর পক্ষ তাদের ওপর হামলা চালায়। হামলাকারীরা তিনজনকে ধাওয়া দিয়ে ধরে এলোপাথাড়ি কোপাতে থাকে। পরে গুলি ছুড়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। আহত অবস্থায় তিনজন প্রায় ১০ মিনিট রাস্তায় পড়েছিলেন। খবর পেয়ে তাঁদের সঙ্গে থাকা কর্মী ও পুলিশ আহত তিনজনকে উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে।

    আহতদের মধ্যে ফয়জুর রহমানের অবস্থা ছিল গুরুতর। আহত অপর দুজন হলেন উজ্জ্বল (২৮) ও সালাহ লিটন (২৮)। হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় ফয়জুরের মৃত্যু হয়।

    মহানগর পুলিশের একটি সুত্র বলেন, ছাত্রদলের দুই পক্ষের মধ্যে পূর্ব বিরোধ থেকে এ ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ হামলাকারীদের গ্রেপ্তারে ঘটনাস্থলে আছে।

    ছাত্রদল সূত্র জানায়, গত ১৩ জুন রাতে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মামুনুর রশীদ মামুন ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আকরামুল হাসান স্বাক্ষরিত কমিটি কেন্দ্র থেকে ঘোষণা করা হয়। এতে ২৮ সদস্যবিশিষ্ট জেলা কমিটির আলতাফ হোসেন সুমন সভাপতি ও দেলোয়ার হোসেন দিনার সাধারণ সম্পাদক মনোনীত হয়েছেন। ২৯ সদস্যবিশিষ্ট নগর ছাত্রদলের কমিটিতে সুদীপ জ্যোতি এষ সভাপতি ও ফজলে রাব্বী আহসান সাধারণ সম্পাদক।
    এ কমিটি প্রত্যাখ্যান করে জেলা ও নগর ছাত্রদলের একটি পক্ষ মিছিল ও সভা করে। কমিটি প্রত্যাখ্যানকারীদের অভিযোগ ছিল, ঘোষিত কমিটির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ গুরুত্বপূর্ণ পদ পাওয়া কেউ-ই ছাত্র নন। এ নিয়ে দুই পক্ষকে সিটি নির্বাচন পর্যন্ত শান্ত থাকতে বলেছিল কেন্দ্র।
    হামলার শিকার হওয়া পক্ষের সঙ্গে থাকা নগর ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক আজিজুল হোসেন বলেন, ছাত্রদলের পদবঞ্চিত পক্ষটি নির্বাচনে আরিফুল হকের পক্ষে সক্রিয়ভাবে কাজ করছিল। এ ক্ষোভ থেকে হামলা হয়।
    সিলেট বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি মাহবুবুল হক চৌধুরী সাংবাদিকদের জানান, হামলায় আহত তিনজনই ছাত্রদলের বিদ্রোহী পক্ষের বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। হামলাকারীরা নতুন কমিটির পক্ষে।
    আরিফুল হক চৌধুরী স্বীকার করে বলেন, ‘আমাকে বিজয়ী ঘোষণার পর বিজয় মিছিল হয়। সেই মিছিল বাসায় গিয়ে শেষ হয়। সেখান থেকে আমি কেন্দ্রীয় নেতাদের বিদায় করতে একটি হোটেলে যাই। কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যানকে নিয়ে একটি আবাসিক হোটেলে মিটিংয়ে ছিলাম। এ সময় এ ঘটনাটি ঘটেছে।