সিলেটে এক রাস্তা কেটে মাটি যাচ্ছে অন্য রাস্তার প্রকল্পে

    0
    247

    রেজওয়ান করিম সাব্বির,জৈন্তাপুর (সিলেট) প্রতিনিধি: সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার দরবস্ত ইউনিয়নের ডেমা এলাকায় সিলেট-তামাবিল মহাসড়কের রাস্তার পাশের মাটি কেটে নিয়ে গ্রামীণ রাস্তার উন্নয়ন কাজ করছেন প্রভাবশালী আওয়ামীলীগ নেতা ইউপি সদস্য। সড়ক ও জনপথ কর্মকর্তা বলেন তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
    সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় উত্তর-পূর্ব সিলেটের একমাত্র মহাসড়ক সিলেট-তামাবিল হাইওয়ে। দরবস্ত ইউনিয়নের ডেমা গ্রামের গ্রামীণ সড়কটির সংযোগ স্থল সিলেট তামাবিল মহাসড়ক। উপজেলার কর্মসৃজন প্রকল্পের আওতায় কাজ করছেন দরবস্ত ইউপির ৮নং ওয়ার্ড সদস্য ও জৈন্তাপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের ত্রান ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক জালাল উদ্দিন মেম্বার। তিনি কর্মসৃজন প্রকল্পের শ্রমিক নিয়োগ না করে এস্কেভেটর মেশিন দিয়ে জন গুরুত্বপূর্ণ সিলেট-তামাবিল মহাসড়কের রাস্তার পাশ কেটে নিয়ে ডেমা গ্রামীণ রাস্তার মাটি ভরাট করেন। স্থানীয় এলাকাবাসী জানান একটি প্রকল্পের কাজের জন্য মাটি যোগান থাকা সত্ত্বেও ইউপি সদস্য গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার মাটি কেটে নিয়ে রাস্তার ক্ষতি সাধন করেছেন। এলাকাবাসী জানান দ্রুত তদন্ত পূর্বক জনগুরুত্বপূর্ণ রাস্তার ক্ষতি সাধনকারীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী তুলেন। একজন প্রভাবশালীর এরকম জঘণ্য কাজ করার কারনে তার দেখাদেখি অন্যরাও এরকম ঘৃনিত কাজ করার সাহস পাবে এবং জনবান্ধব উন্নয়নশীল আওয়ামী সরকারের উন্নয়ন কাজে বাঁধাগ্রস্ত হবে।
    সিলেট তামাবিল মহাসড়কের সাবএসিষ্ট্যান্ড ইঞ্জিনিয়ার মাসুম আহমদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, মাটি কর্তনের বিষয়টি তিনি শুনেছেন। এরিয়াটি আমার নয়, আমি বিষয়টি জানার পর পর দায়িত্বরত সাবএসিষ্ট্যান্ড ইঞ্জিনিয়ার সুমন সাহেবকে অবহিত করেছি। প্রতিবেদক সুমন সাহেবের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, স্থানীয় এলাকাবাসী আমাকে ছবি তুলে পাটায় এবং মোবাইল ফোনে মাটি কাটার বিষয় অবহিত করে স্থানীয় ইউপি সদস্য জালাল উদ্দিন এস্কেভেটরের মাধ্যমে রাতের অন্ধকারে সিলেট-তামাবিল সড়কের মাটি কর্তন করে নিয়েছেন। আমি ঘটনাস্থলে অফিসার পাঠিয়েছি বিষয় তদন্তের জন্য এবং কাজ বন্ধ রাখার জন্য। তিনি আরও বলেন তদন্তে সিলেট-তামাবিল মহাসড়ক কেটে মাটি নেওয়ার বিষয়টি প্রমানিত হলে কর্তনকারীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
    দরবস্ত ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বাহারুল আলম বাহারের সাথে আলাপকালে তিনি জানান, বিষয়টি আমার জানা নেই, আমি ইউপি সদস্যের সাথে আলাপকরে ব্যবস্থা গ্রহন করব। অভিযুক্ত আওয়ামীলীগ নেতা ও ইউপি সদস্য জালাল উদ্দিন মেম্বারের বলেন মাটি কর্তনের বিষয়টি তিনি স্বীকার করে বলেন এখানে পুরাতন গর্ত ছিল আমি কিছু মাটি কেটে নিয়েছি মাত্র।
    জৈন্তাপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও জৈন্তাপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল আহমদ বলেন, বিষয়টি আমার জানানেই আমি খোঁজ খবর নিয়ে দেখছি।