সীমান্তবর্তী কানাইঘাটবাসীর দীর্ঘ দিনের স্বপ্ন পূরণ

    0
    228

    “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কাল সুরমা নদীর উপর নির্মিত সেতুর উদ্বোধন করবেন”

    আমারসিলেট 24ডটকম , সেপ্টেম্বর বদরুল ইসলাম :  সিলেটের সীমান্তবর্তী কানাইঘাট ও পার্শ্ববর্তী উপজেলাগুলোর প্রায় ১২ লক্ষাধিক মানুষের শত বছরের লালিত স্বপ্নায়িত কানাইঘাট সদরে সুরমা নদীর উপর সেঁতুর নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে বছরখানেক আগে। সকল জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে আগামীকাল সেতুটির উদ্বোধন করবেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী ও আ’লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা। সেতুটি ২৯৩.৯২ মিটার দৈর্ঘ্য ও ৯মিটার প্রস্থ এ সেঁতু নির্মানের জন্য ২০০৫ অর্থবছরে দরপত্র আহ্বান করা হয়। সেঁতু নির্মাণ ব্যয় ২৪কোটি ২৪লক্ষ ৭৯হাজার ৩শত ১৮টাকা ১৭ পয়সা ধার্য্য করে ২০০৫ সালের ২০ফেব্র“য়ারী নির্মাণ কাজের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করা হয়। সেঁতু সম্পন্ন হওয়ার মেয়াদ ২০০৯ সালের ৮ফেব্র“য়ারী পর্যন্ত নির্ধারিত থাকলেও ঠিকাদারী প্রতিষ্টান দফায় দফায় মেয়াদ বাড়িয়ে ২০১২ সালের প্রথম দিকে নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করেন। নির্মাণ কাজ শেষ থেকেই শোনা যাচ্ছিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে সেঁতুটি উদ্বোধন করা হবে। তখন উদ্বোধনী উৎসবে প্রধানমন্ত্রীর আগমন নিয়ে এলাকায় আনন্দের বাঁধ ভাঙা জোয়ার নেমে এসেছিল। নতুন করে স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছিল কানাইঘাটবাসী। এটা ছিল কোন স্বাধীনতার পর কোন প্রথম প্রধানমন্ত্রীর সফর। এ সফর ছিল তাদের শত বছরের লালিত স্বপ্ন। তারা দিব্যি বলে বেড়াচ্ছিল “আমরা আর কোন ক্ষেত্রে পিছিয়ে নেই, সীমন্তবর্তী এলাকা কানাইঘাটকে আর কেউ বঞ্চিত, অবহেলিত, পিছিয়ে পড়া জনপদ বলতে পারবে না”। কানাইঘাট-জকিগঞ্জসহ পার্শ্ববর্তী উপজেলাগুলোর সংযোগ নির্মিত এ সেতু অত্র এলাকার সার্বিক উন্নয়নসহ বৃহত্তর সিলেটের যোগাযোগ ব্যবস্থাকে আরো একধাপ এগিয়ে নিয়ে যাবে বলে ধারনা করছিলেন সচেতন মহল। তবে প্রধানমন্ত্রী ঠিকই উদ্বোধন করছেন সেই কাংখিত সেতুটি পার্শ্ববর্তী উপজেলা গোলাপগঞ্জের এমসি একাডেমি মাঠ থেকে। এর ফলে এলাকার মানুষের কিছুটা আশার প্রতিফলন ঘটলেও প্রধানমন্ত্রীর ছোঁয়া পাওয়া থেকে বঞ্চিত রয়ে গেল এ অঞ্চলের মানুষ। তারপরও সচেতনমহল মনে করছেন প্রধানমন্ত্রীর এ সেতু উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে সরকারের বাকি সময়ের মধ্যে অনেক উন্নয়ন সাধিত হবে। এ সেতুটি গত চারদলীয় জোট সরকারের তৎকালীন অর্থমন্ত্রী মরহুম এম. সাইফুর রহমানের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ২০০৫ সালে ২০ ফ্রেবুয়ারী তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক সচিব আবুল হারিছ চৌধুরী ও স্থানীয় সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ মাওলানা ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী সেতুটির ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেছিলেন। তখন এলাকাবাসীর দাবী ছিল সেতুটির সাথে সাথে শাহবাগ-কানাইঘাট-দরবস্ত রাস্তা ও শাহবাগ-গাছবাড়ী-সিলেট রাস্তাটি প্রশস্তকরণ। কিন্তু সেতুটি নির্মাণ হলেও রাস্তাগুলো প্রশস্থকরণের আলোর মুখ দেখেনি দীর্ঘ আট বছরেও। প্রধানমন্ত্রী এ সেতুটি উদ্বোধনের মাধ্যমে এ অঞ্চলের মানুষের আশা খুব দ্রুত সময়ে রাস্তাগুলো প্রশস্থকরণ ও সংস্কারকাজ সম্পন্ন হবে।