আমারসিলেট24ডটকম,১৪জানুয়ারীঃ নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে পালিত হচ্ছে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (দঃ) তথা ১২ রবিউল আউয়াল। বিশ্বমানবতার মুক্তির দিশারী রাহমাতুল্লিল আলামিন ও সর্বশ্রেষ্ঠ নবী হযরত মুহাম্মদ (দঃ) এর শুভাগমন দিবস চলছে আজ। এ দিনটি মুসলিম উম্মাহর কাছে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী(দঃ) নামে পরিচিত। মুসলিম সম্প্রদায়সহ শান্তিকামী প্রতিটি মানুষের কাছে তাই দিনটি অত্যন্ত তাৎপর্যবহ। বিশ্বের অপরাপর মুসলিম দেশগুলোর মতো বাংলাদেশেও দিনটি ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হচ্ছে। পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (দঃ) উপলক্ষে বৃহত্তর সিলেটের বিভিন্ন এলাকায় সুন্নি মুসলিম গন কাঁদে কাদ মিলিয়ে যুব বৃদ্বা ছোট বড় আশরাফ আতরাফের নেই কোন ভেদাভেদ।সবই একসাথে এক কাতারে মহানবীর (দঃ) শান প্রকাশে শীতের হিমেল হাওয়া উপেক্ষা করে নারায়ে রিছালত ইয়া রাসুলুল্লাহ (দঃ), আসসালাতু আসসালামু আলাইকা ইয়া রাসুলুল্লাহ শ্লোগান ও দরুদে নতুন এক সাম্যের পৃথিবী গড়েছে বলে চোখে পরে। ৫৭০ খৃস্টাব্দের এ দিনে সুবহে সাদেকের সময় মক্কা নগরীর সম্ভ্রান্ত কুরাইশ বংশে মহানবী (দঃ) জন্মগ্রহণ করেন। জন্মের আগেই তিনি পিতৃহারা হন এবং জন্মের অল্পকাল পরই বঞ্চিত হন মাতৃস্নেহ থেকে। অনেক দুঃখ, কষ্ট ও প্রতিকূলতার মধ্যদিয়ে চাচা আবু তালিবের আশ্রয়ে বড় হয়ে উঠেন। ৪০ বছর বয়সে উপনীত হওয়ার পর তিনি মহান রাব্বুল আলামীনের পক্ষ থেকে নবুওয়তের মহান দায়িত্ব প্রকাশে কাজ শুরু করেন।অসভ্য বর্বর ও পথহারা জাতিকে সত্যের দিশা দিতে তিনি তাদের কাছে তুলে ধরেন মহান রাব্বুল আলামীনের তাওহিদের বাণী।
কিন্তু জাতির একটি অংশ সে দাওয়াত গ্রহণ না করে তাঁর ওপর নির্যাতন শুরু করে, তারা ঐক্যবদ্ধ হয়ে বিভিন্নমুখী চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র করতে থাকে একের পর এক। আল্লাহর সাহায্যের ওপর ভরসা করে বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য জীবনবাজি রেখে সংগ্রাম চালিয়ে যান তিনি। ধীরে ধীরে সত্যান্বেষী মানুষ তাঁর সাথী হতে থাকে।যা কিয়ামত পর্যন্ত বহমান থাকবে।