সালমান এফ রহমানের কারণে কত লাখ মানুষ সর্বস্বান্ত ?

    0
    143

    আমার সিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,১১মার্চ,ডেস্ক নিউজঃ  বিশ্বের শীর্ষ ধনী ব্যক্তিদের তালিকায় স্থান পাওয়া ব্যবসায়ী সালমান এফ রহমানের বিষয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেছেন, “আপনারা শুনেছেন, তিনি বাংলাদেশের সবচেয়ে বিত্তবান ব্যক্তি হয়েছেন। সেই লোকের জন্য শেয়ারবাজারে কত লাখ মানুষ সর্বস্বান্ত হয়েছে, তার কোনো হিসাব নেই।”

    শুক্রবার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের সেমিনার হলে শ্রমজীবী সংঘের তৃতীয় সম্মেলন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তেল-গ্যাস-বিদ্যুৎ-বন্দর ও খনিজসম্পদ রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্যসচিব আনু মুহাম্মদ এসব কথা বলেন।

    বৃহস্পতিবার চীনের গবেষণা প্রতিষ্ঠান হুরুন গ্লোবাল বিশ্বের শীর্ষ ধনী ব্যক্তিদের একটি তালিকা প্রকাশ করে। সেখানে একমাত্র বাংলাদেশি হিসেবে ব্যবসায়ী সালমান এফ রহমানের নাম আসে।

    সালমান এফ রহমানের ধনী হওয়ার বিষয়ে আনু মুহাম্মদ বলেন, “শেয়ারবাজারে এক-একটা কোম্পানি করে। প্রতারণার জন্য সেখানে আরো কিছু লোককে নিয়োগ করে। মাসে মাসে তাদের বেতন দেয়। তারা ওইখানে কৃত্রিম চাহিদা তৈরি করে। তারপর প্রচুর শেয়ার বিক্রি হয়। বিক্রি হওয়ার পর শেয়ারের টাকা নিয়ে একটা পর্যায়ে গায়েব করে দেয়।”

    “এমনকি কিছুদিন আগে তিনি (সালমান এফ রহমান) জিএমজি এয়ারলাইনস খুলেছিলেন। শেয়ারের মাধ্যমে হাজার কোটি মেরে দিয়ে সেখান থেকে সরে পড়লেন। জিএমজি এয়ারলাইনস এখন আর নেই,”-বলেন আনু মুহাম্মদ।

    শ্রমজীবী সংঘের সম্মেলন উদ্বোধন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী।

    তিনি গাইবান্ধায় সাঁওতালপল্লিতে পুলিশের জড়িত থাকার কথা উল্লেখ করে বলেন, “যারা মানুষকে নিরাপত্তা দেবে, তারাই মানুষকে উচ্ছেদ করছে। মানুষের বাঁচার অধিকার কেড়ে নিচ্ছে। এটিই হচ্ছে রাষ্ট্রের চরিত্র।”

    সম্মেলন প্রস্তুত কমিটির আহ্বায়ক মোদাচ্ছের হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন শ্রমজীবী সংঘের সভাপতি আবদুল আলী, সহসভাপতি মজিবুর রহমান, সমাজতান্ত্রিক লীগের সাধারণ সম্পাদক সরোয়ার মোর্শেদ, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের আহ্বায়ক হামিদুল হক প্রমুখ।

    তবে হুরুন গ্লোবালের ওই প্রতিবেদনের সঙ্গে পুরোপুরি একমত নন সালমান এফ রহমান। বৃহস্পতিবারই জনসংযোগ প্রতিষ্ঠান ইমপ্যাক্ট পিআর সালমান এফ রহমানের পক্ষে  এ ব্যাপারে একটি ব্যাখ্যা দিয়েছে।

    এতে সালমান এফ রহমান বলেছেন, “চীনা প্রতিষ্ঠান হুরুন গ্লোবাল বলেছে, আমার সম্পদের পরিমাণ ১৩০ কোটি ডলার। প্রতিষ্ঠানটি কীভাবে এ সম্পদের হিসাব করেছে, তা আমার জানা নেই। সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদন অনুযায়ী বেক্সিমকো গ্রুপের নিট সম্পদের পরিমাণ এর কাছাকাছি হতে পারে। আমার ব্যক্তিগত সম্পদের পরিমাণ এটা নয়।”