সারী ও বড়গাং নদীর বারকী শ্রমিকদের প্রতিবাদ সভা

    0
    240

    “বড়গাং নদী পানি শূন্য ,২০ হাজার বারকী শ্রমিক কর্মহীন,সরকার হারাচ্ছে রাজস্ব,রির্সোট ব্যবসা চাঙ্গা রাখতে মামলা দায়ের”

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,১৮নভেম্বর,রেজওয়ান করিম সাব্বির, জৈন্তাপুর (সিলেট) প্রতিনিধিঃসিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলা সর্ববৃহত বালু মহাল সারী ও বড়গাং নদী। দুটি নদীর উৎসকে কেন্দ্র করে উপজেলার সর্ববৃহত বালু মহালের সৃষ্টি। স্বাধীনতার পরবর্তী হতে হাজার হাজার শ্রমিক বালু উত্তোলন করে সারী ও বড়গাং নদী জীবিকা নির্বাহ করে আসছে। সরকার ২টি বালু মহাল হতে কোটি টাকার রাজস্ব আদায় করেছে। সম্প্রতি এক রির্সোট মালিক নিজের ব্যবসা চাঙ্গা করতে এবং শ্রমিকদের কর্মহীন করতে বালু উত্তোলন বন্দ করতে উচ্চ আদালতে মামলা করে। ফলে কর্মহীন হয়ে অনাহারে অর্ধাহারে জীবন যাপন করেছ প্রায় ২০হাজারের অধিক বারকী শ্রমিক ও তার পরিবার। অপরদিকে বালু ভরাট পানি শূন্য হয়েছে বড়গাং নদী, জীব বৈচিত্র ধ্বংসের মূখে পড়েছে। জীবন বাঁচাতে প্রতিবাদ মুখি হয়েছে শ্রমকি পরিবার গুলো।
    গত ১৬ নভেম্বর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টায় সারী নদীর উৎস মূখ লালখাল রির্সোট সেন্টারের সম্মুখে বৃহত্তর সারী নৌকা মালিক সমিতির ডাকে প্রতিবাদ সমাবেশ করে বারকী শ্রমিক সংগঠন গুলো। নিজপাট ইউনিয়ন পরিষদের ৬নং ওয়ার্ডের সদস্য আব্দুল মজিদের সভাপতিত্বে এবং আব্দুর রকিবের পরিচালনায় শ্রমিকদের প্রতিবাদ সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন জৈন্তাপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ সভাপতি কামাল আহমদ। বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন জৈন্তাপুর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান বশির উদ্দিন, ইউপি চেয়ারম্যান শাহ আলম চৌধুরী তোফায়েল, জৈন্তাপুর উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক আনোয়ার হোসেন, সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুস শুক্কুর, শামীম আহমদ, বালতি শ্রমিক সমিতির সভাপতি আমির আলী, সাধারণ সম্পাদক নজির আহমদ, নৌকা মালিক সমাবায় সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ আলী, সাধারণ সম্পাদক মোঃ আব্দুল্লাহ প্রমুখ।
    প্রধান অতিথির বক্তব্য উপজেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ সভাপতি কামাল আহমদ বলেন- একজন ব্যক্তি গত কয়েক বৎসর হতে লালখাল এলাকায় রির্সোট নির্মাণ করে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন। কিন্তু এখানকার সাধারণ মানুষ স্বাধীনতার পর হতে সারী ও বড়গাং বালু মহালে বালু উত্তোলন করে পরিবার পরিজন নিয়ে জীবিকা অর্জন করে আসছে। তিনি রির্সোট করার পর নিজের ব্যবসা চাঙ্গা করতে মাহামান্য উচ্চ আদালতে বালু উত্তোলন না করার জন্য একটি মামলা দায়ের করে। ফলে এই অ লের অন্তত ২০হাজারের অধিক শ্রমিক কর্মহীন হয়ে পড়েছে। অপরদিকে বালু ভরাট হয়ে বড় নয়াগাং নদী পানি শূন্য হয়ে পড়ে নদীর জৈব্য বৈচিত্র ধ্বংস হয়ে বিরান ভূমিতে পরিনত হচ্ছে। বালু না সরানোর ফলে আকস্মীক পাহাড়ী ঢলে কয়েক হাজার ফসলী জমি ধু-ধু বালু হয়ে উঠেছে। অপরদিকে বালু মহাল হতে সরকার হারাচ্ছে কোটি কোটি টাকার রাজস্ব। এই প্রতিবাদ সমাবেশ থেকে সরকারের উচ্চ মহলের কাছে দাবী জানাচ্ছি অভিলম্বে মামালা প্রত্যহার করে নিয়ে শ্রমিক ও পরিবেশ রক্ষার জোর দাবী জানান। অন্যতায় শ্রমিক ও এলাকাবাসী কঠোর আন্দোলন গড়ে তুলবে।