বৃষ্টি উপেক্ষা হাজারো মুসল্লির অংশ গ্রহনে রাজধানীর জাতীয় ঈদগাহসহ সারা দেশের ঈদগাহে ঈদুল ফিতরের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে এতে নিজ নিজ বসবাসকারী এলাকায় গুরুত্ব পূর্ণ ব্যক্তিবর্গ জামাতে অংশ নেন। কোথাও কোন অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
আজ বুধবার সকাল সাড়ে ৮টায় বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে ঈদের জামাত শুরু হয় এ নামাজে ইমামতি করেন পেশ ইমাম হাফেজ মিজানুর রহমান।
ঈদের প্রধান এই জামাতে নামাজ আদায় করেন প্রেসিডেন্ট আলহাজ্জ মো. আবদুল হামিদ, প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, মন্ত্রিসভার সদস্য, তিন বাহিনীর প্রধান, সংসদ সদস্য, রাজনীতিবিদ, সামরিক-বেসামরিক কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।
দীর্ঘ এক মাস সিয়াম সাধনার পর আজ সকাল থেকে বৃষ্টি উপেক্ষা করেই ঈদের নামাজে নানা বয়সী মুসল্লিদের ঢল নামে। সকাল ৭টা থেকেই ঈদের প্রধান এই জামাত জাতীয় ঈদগাহ কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়। আল্লাহু আকবার তাকবির ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে উঠে ঈদগাহ ময়দান।
জাতীয় ঈদগাহে আলাদা ব্যবস্থা থাকায় নারী মুসল্লিরাও ঈদের জামাতে অংশগ্রহণ করেন। সারিবদ্ধভাবে মুসল্লিরা ঈদগাহে প্রবেশ করেন।
নামাজ শেষে মোনাজাতে দেশ ও জাতি তথা মুসলিম উম্মাহর কল্যাণ কামনা করে দোয়া করেন।এসময় আমিন আমিন ধ্বনিতে কান্নায় ভেঙে পড়ে মহান আল্লাহর কাছে জীবনের সকল গোনাহ মাফ চেয়ে ফরিয়াদ করেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানেরা। নামাজ শেষে ধনী-গরিব নির্বিশেষে কোলাকুলি ও মুসাফাহ করেন মুসলমানেরা।
এদিকে ঈদ জামায়াতকে কেন্দ্র করে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানসহ দেশের গুরুত্ব পুর্ণ শহর ও আশপাশ এলাকায় নেওয়া হয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা। জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে নেওয়া হয় তিন স্তর বিশিষ্ট কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। এতে স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স (এসএসএফ) দায়িত্তে ছিলো।
এছাড়া র্যাব ও ঢাকা মহানগর পুলিশের বাড়তি নিরাপত্তা ছিলো আশপাশসহ জেলা শহর গুলোতে। ফলে মুসল্লিরা নিরাপদে নামাজ আদায় করেন। তবে মুষলধারে বৃষ্টি হওয়ায় কিছু এলাকায় নামাজ আদায় করতে অসুবিধায় পড়তে হয় মুসুল্লিদের।