সারারাত ঘুমাননি প্রধানমন্ত্রী:অগ্নিকাণ্ডে উদ্ধার কাজে তদারকি

    0
    214

    ভাষা দিবসের শহীদদের স্মরণে শোক ও ফুলেল শুভেচ্ছা জানাতে যখন প্রস্তুত নিচ্ছিল দেশবাসী তখনই চকবাজরের ঘটে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড। বুধবার রাত ১০টা ১০ মিনিটে রাজধানীর চকবাজার এলাকার নন্দকুমার দত্ত সড়কের চুড়িহাট্টা শাহী মসজিদের পেছনের একটি ভবনে আগুন লাগে।

    পুরান ঢাকার চকবাজারের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের খবর শোনামাত্র প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজ উদ্যোগে খোঁজখবর নেয়া শুরু করেন। এ সময় তাকে খুব চিন্তিত ও বিমর্ষ দেখা যায়। সারারাত ঘুমাতে পারেননি। নিজেই উদ্ধার অভিযান পরোক্ষভাবে তদারকি করেন।

    বৃহস্পতিবার দুপুর পৌনে ১টার দিকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র সাঈদ চকবাজারের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার সর্বশেষ পরিস্থিতি নিয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ের সময় এসব তথ্য জানান।

    প্রেস ব্রিফিংয়ে মেয়র খোকন বলেন, দুর্ঘটনার পর থেকে সার্বক্ষণিক অগ্নিকাণ্ডের খোঁজখবর রাখছেন প্রধানমন্ত্রী। সারারাত তার তত্ত্বাবধানে আমরা উদ্ধার কাজ পরিচালনা করেছি।

    মেয়র সাঈদ খোকন আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী এ ঘটনায় নিহত ও আহত সবার পুনর্বাসনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন।

    এর আগে চকবাজারে ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটনার শ্বাসরুদ্ধকর উদ্ধার অভিযানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়। বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা ২২ মিনিটে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন ও ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধার অভিযান তদারকি দলের প্রধান মেজর শাকিল নওয়াজ আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।

    উদ্ধার অভিযান সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে জানিয়ে মিজানুর রহমান বলেন, দুপুর ১২টা ২২ মিনিটে ১৫ ঘণ্টার উদ্ধার অভিযান শেষ হয়েছে। নিহতের সংখ্যা বাড়তে পারে। কারণ যাদের দগ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে, তাদের মধ্যে অনেকের অবস্থাই গুরুতর। তাদের অনেকের শরীরের অনেকটাই পুড়ে গেছে। আহত ৪১ জনের মধ্যে ৩২ জন ঢাকা মেডিকেলসহ বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। বাকি ৯ জন ঢামেকের বার্ন ইউনিটে ভর্তি। তাদের অবস্থাও সংকটাপন্ন।

    প্রসঙ্গত, রাজধানীর চকবাজার এলাকার নন্দকুমার দত্ত সড়কের চুড়িহাট্টা শাহী মসজিদের পেছনের একটি ভবনে বুধবার রাত ১০টা ১০ মিনিটে আগুন লাগে। রাত সাড়ে ৩টার দিকে আগুনের ভয়াবহতা কিছুটা কমলেও আবারও বেড়ে যায়। ফায়ার সার্ভিসের ৩৭টি ইউনিট একযোগে কাজ করে বুধবার দিবাগত রাত সোয়া ৩টায় আগুন কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।

    এ ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে এ পর্যন্ত ৭০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে ধারণা করছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা।