সামাজিক বনায়নের নামে লাউয়াছড়ার শতাধিক গাছ কেটে

    0
    230

    আমার সিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,০১মার্চ,এস,কে দাশ সুমনঃ   একটি দেশের ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার খাদ্য চাহিদা ঔষধ শিল্পের কাঁচামাল,আসবাবপত্র,ফল,ফুল, মানুষের জীবনমান উন্নয়নের জন্য প্রকৃতি অপরিহার্য।
    তাছাড়া বনাঞ্চল জীববৈচিত্র ও প্রাণীকূলকে প্রাকৃতির দূর্যোগ ঝড় জলোচ্ছ্বাস থেকেও রক্ষা করে।দেশের কাঙ্খিত জিডিপি অর্জন জলবায়ু পরিবর্তন পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা ও পর্যটন শিল্পের বিকাশের জন্য একটি দেশের মোট ২৫ শতাংশ বনভূমি থাকার প্রয়োজন কিন্ত পরিতাপের বিষয় আমাদের দেশে তা অর্ধেকের ও কম।

    জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে প্রতিবছর বাংলাদেশের ক্ষতি হচ্ছে জিডিপি’র এক শতাংশ।গ্রীন হাউস প্রতিক্রিয়ার কারণে জলবায়ু পরিবর্তন হচ্ছে প্রতিনিয়ত।এর ফলে বাংলাদেশ ক্ষতিগ্রস্ত হবে মাত্রাতিরিক্ত বিশ ত্রিশ বছরের মধ্যে বাংলাদেশের প্রায় এক তৃতীয়াংশ জায়গা সমুদ্রে ডুবে যাবে, বাংলাদেশের জলবায়ু যে পরিবর্তন হচ্ছে তা শুধু ঋতু বদলের দিকে দৃষ্টিপাত করলে কিঞ্চিত বুঝতে পারবেন বর্ষাকালে গ্রীষ্মকাল আর গ্রীষ্মকালে বৃষ্টিপাত এসব দৃশ্যাবলী এখন আর কাউকে নির্দিষ্ট করে দেখিয়ে দেয়ার প্রয়োজন পড়ে না জলবায়ু পরিবর্তনের বর্তমান ধারা অব্যাহত থাকলে ২০৫০ সাল নাগাদ এদেশের তাপমাত্রা বর্তমানের চেয়ে পাঁচ থেকে সাত ডিগ্রি বৃদ্ধি পাবে।

    লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান বাংলাদেশের ঐতিহ্যের অংশ লাউয়াছড়া দেশের পর্যটন শিল্পকে যেমন প্রসিদ্ধ করছে তেমনি জীববৈচিত্র ও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় রাখছে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা।

    লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের ১২৫০ হেক্টর জমির মধ্যে রাজকান্দী ফরেস্ট বিভাগ বাগমারা কেম্পের সাথে রেললাইনের পাশে সামাজিক বনায়নের নামে তড়িঘড়ি করে শতাধিক মূল্যবান বৃক্ষ কেটে উজাড় করে।

    আজ লাউয়াছড়া বন ও জীববৈচিত্র রক্ষা আন্দোলন কমিটির পক্ষে প্রভাষক জলি পাল, কাজি শামসুল হক, জাবেদ ভূইয়া, তালাস শ্রীমঙ্গলের সম্পাদক সাজন আহমেদ রানা বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধি এস কে দাশ সুমন সহ অন্যান্য বেক্তিবর্গ বাগমারা কেম্পের সন্নিকটে রেললাইনের দু পাশ সরেজমিনে ঘুরে তদন্ত করে দেখতে পাওয়া যায় সামাজিক বনায়নের নামে শতাধিক বৃক্ষ কেটে উজাড় করা হয়েছে।

    এ ব্যাপারে সহকারী বন সংরক্ষক তবিবুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান “রাজকান্দী ফরেস্টের সামাজিক বনায়নের শতাধিক গাছ কাটার নির্দেশ আছে আমরা কিছু কেটেছি ক্রমান্বয়ে বাকি গাছগুলো কাটা হবে।” লেখক মানবাধিকার কর্মী।