সাভারে উদ্ধারকাজ পরিদর্শন করলেন প্রধানমন্ত্রী

    0
    398

    সাভার, ২৯ এপ্রিল : সাভারে ধসে পড়া রানা প্লাজার ধ্বংসস্তূপে উদ্ধার তৎপরতা ঘুরে দেখলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ সোমবার সকাল ৯টার পর প্রধানমন্ত্রী সাভার বাসস্ট্যান্ড এলাকায় পৌঁছান যেখানে রানা প্লাজার ধ্বংসস্তূপে ষষ্ঠ দিনের উদ্ধার অভিযান চলছে। সেনাবাহিনীর নবম পদাতিক ডিভিশনের অধিনায়ক মেজর জেনারেল চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দী প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে উদ্ধার অভিযানের দায়িত্বে থাকা সেনা ও ফায়ার ব্রিগেড কর্মকর্তাদের পরিচয় করিয়ে দেন।

    সাভারে উদ্ধারকাজ পরিদর্শন করলেন প্রধানমন্ত্রী
    সাভারে উদ্ধারকাজ পরিদর্শন করলেন প্রধানমন্ত্রী

    ভবনের ধ্বংসস্তূপের সামনে সড়কে দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবীর নানকের কাছ থেকে উদ্ধার তৎপরতার সর্বশেষ পরিস্থিত সম্পর্কে খোঁজ খবর নেন। এ সময় তিনি উদ্ধার অভিযানের বিভিন্ন সময়ে তোলা আলোকচিত্র দেখেন। ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে প্রধানমন্ত্রী সাভার সিএমএইচে যান। ভবন ধসে আহত ১০৭ জনের চিকিৎসা চলছে সেখানে। প্রধানমন্ত্রী আহতদের চিকিৎসার খোঁজ খবর নেন এবং প্রত্যেককে ১০ হাজার করে টাকা দেন। 
    এর আগে তিনি সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যান। যেখানে ভবন ধসে আহত ২১৪ জনের চিকিৎসা চলছে। শেখ হাসিনা হাসপাতালের বিভিন্ন কক্ষে ঘুরে ঘুরে আহতদের সঙ্গে কথা বলেন এবং তাদের সান্ত্বনা দেন। সেখানেও আহতদের প্রত্যেককে তিনি ১০ হাজার টাকা করে দেন এবং চিকিৎসকদের কাছ থেকে সর্বশেষ অবস্থা সম্পর্কে জানতে চান। আহতদের চিকিৎসায় সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন প্রধানমন্ত্রী। এ সময় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী আ ফ ম রুহুল হক, স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু ও তিন বাহিনীর প্রধানরা।
    এদিকে প্রধানমন্ত্রীর পরিদর্শন উপলক্ষে সকাল থেকেই রানা প্লাজার আশেপাশে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। র‌্যাবের ডগ স্কোয়াড দিয়েও এলাকাটি তল্লাশি চালানো হয়। প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে সাভারে ধসে পড়া ভবনটির আশপাশে কঠোর নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলা হয়। পরিদর্শনস্থলে নিয়ে আসা হয় র‌্যাবের ডগ স্কোয়াড। মোতায়েন করা হয় স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স ও প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্ট। ধসে পড়া ভবনের চারদিকে জোরদার করা হয় আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রহরা।
    গত বুধবার সকালে নয় তলা ভবনটি ধসে পড়ার পর নিহতের সংখ্যা পৌনে চারশ’তে পৌঁছেছে। রবিবার মধ্যরাত থেকে ভারী সরঞ্জামের মাধ্যমে ধ্বংসস্তূপ সরানো শুরু হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে কার্যত শেষ হয়েছে জীবিতদের সন্ধান।