সাতছড়িতে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টিকে অপেক্ষা করেও পর্যটকদের ঢল  

    0
    377

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,২৩জুলাই,এস এম সুলতান খানঃ দিনভর থেমে থেমে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টির মধ্যেও চুনারুঘাটের সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে ঈদের ছুটিতে পর্যটকদের ঢল নেমেছিল। ঈদের দিন দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা হাজার হাজার বৃষ্টিস্নাত পর্যটকদের সামাল দিতে গিয়ে কর্তৃপক্ষসহ পার্কে নিয়োজিত পুলিশ ও ভলান্টিয়ার বাহিনীকে হিমশিম খেতে হয়েছে। ঈদের দিনে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি উপেক্ষা করেও উদ্যানে হাজার হাজার পর্যটকের মিলন মেলা বসেছিল। এদিকে রেমা কালেঙ্গা অভয়ারণ্যসহ উপজেলার চা বাগানগুলোতে ছিল ভ্রমন পিপাসু মানুষের প্রচন্ড ভীড়।

    ধারনা করা হচ্ছে, পর্যটন এলাকা হিসেবে পরিচিত চুনারুঘাটের চা বাগান, সীমান্ত, বিশাল পাহাড়, রেমা-কালেঙ্গা ও সাতছড়ির সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে ঈদে লক্ষাধিক মানুষের আগমন ঘটেছিল। ঈদের দিন শনিবার থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত  সকালে সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে গিয়ে দেখা যায়, চারদিকে লোকে লোকারণ্য। যেন মেলা বসেছে নারী পুরুষ আর শিশুদের। বিশেষ করে পরিবার পরিজন নিয়ে আসা পর্যটকদের হই হুল্লোড় আর চেচা-মেচিতে সাতছড়িতে অন্যরকম পরিবেশ বিরাজ করছে। কেউ এসেছেন পরিবার নিয়ে, আবার কেউ এসেছেন প্রিয়জনকে নিয়ে। দলবদ্ধভাবেও এসেছেন অসংখ্য ভ্রমন পিপাসুরা। বিবাড়ীয়া, নরসিংদী, নারায়নগঞ্জ, ভৈরব, কিশোরগঞ্জ, আশুগঞ্জ, সিলেট, মৌলভীবাজার, সুনামগঞ্জ ও হবিগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা পর্যটকদের ভীড়ে স্থানীয়রাও হারিয়ে গিয়েছিলেন। তবে এর মধ্যে ভিরম্ভনাও ছিল নানা রকম।

    এক সাথে বিপুল সংখ্যক মানুষকে সামাল দেওয়া অসম্ভব হয়ে পড়েছিল। এতে পর্যটকরা দুর্ভোগে পড়ে কষ্ট পেয়েছেন। এ ব্যাপারে উদ্যানের পর্যটন ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি আবুল কালাম আজাদ জানান, আমরা চেষ্টা করেছি পর্যটকদের পর্যাপ্ত সেবা দিতে। বিপুল সংখ্যক মানুষকে সামাল দেওয়াটা আসলে কঠিন ছিল। এর মধ্যেও ৬ দিনে সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে লক্ষাধিক টাকা রাজস্ব আদায় হয়েছে। বিশেষ করে চুনারুঘাট থানার ওসি অমুল্য কুমার চৌধুরী ও দারোগা আব্দুল্লাহ আল জাহিদের নেতৃত্বে পার্ক ও আশপাশে পুলিশের কড়া টহলের কারণে পর্যটকরা ছিলেন অত্যন্ত নিরাপদ। এতে ভ্রমন পিপাসুরা নিরাপদেই ঘূরে বেরিয়েছেন।

    এদিকে উপজেলার রেমা-কালেঙ্গা অভয়ারন্য ছাড়াও চা বাগানগুলোতে ছিল পর্যটকদের প্রচন্ড ভীড়। বৃষ্টির মধ্যেও চা বাগানের ভাজে ভাজে পর্যটকদের ভীড় ছিল দেখার মতো।