সাতগাঁও ছনখলা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বেহাল দশা

    0
    310

    বিক্রমজিত বর্ধন,মৌলভীবাজার প্রতিনিধি: মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলার সাতগাঁও ছনখলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়টি ২০০৯ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকেই বেহাল দশা নিয়েই খুটিয়ে খুটিয়ে চলছে এই বিদ্যালয়টি। জানাযায় এ বিদ্যালয়ের বেশিরভাগ শিক্ষার্থী চা শ্রমিকদের সন্তান। চরম দারিদ্রতার কারণে এমনিতেই চা শ্রমিকের সন্তানরা শিক্ষা ক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়ছে তার মধ্যে এমন জরাজীর্ণ বিদ্যালয় এবং আসন সংকট,এমনকি মাটিতে বসে পড়াশুনা করতে হচ্ছে কোমলমতি এসব শিক্ষার্থীদের।
    প্রাথমিক পর্যায় থেকেই কোমলমতি এসব শিশুদের জন্য সুন্দর ও নিরাপদ পরিবেশ তৈরী হওয়াটা একান্তই জরুরি। আর কর্তৃপক্ষ সেটা করতে পারছেনা বলেই অনেক শিক্ষার্থী অকালে ঝরে পড়ছে। বিশেষ করে চা বাগান এলাকাগুলোতে যে সমস্ত বিদ্যালয়গুলো রয়েছে এসবের বেশিরভাগ বিদ্যালয়ের অবস্থাই চরম খারাপ। ঝরে পড়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে চা শ্রমিকের সন্তানদের সংখ্যাই বেশি। এসব সুবিধাবি ত শিক্ষার্থীদের ঝরে পরা রোধ করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উচিত দ্রুতই চা বাগান এলাকায় অবস্থিত সবকটি বিদ্যালয়ের ভবন সংকট সহ সকল সমস্যা নিরসন করে একটি সুন্দর পরিবেশ তৈরী করা।
    তবেই অবহেলিত কোমলমতি চা-শ্রমিকদের সন্তান শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়মুখী করা সম্ভব। তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্র সাব্বির সে জানায়,ঝড়ের দিন আসলে ঘর নড়াচড়া করে এবং বৃষ্টির পানিতে বই পত্র ভিজে নষ্ট হয়ে যায়! চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্র বিজয় জানায় টয়লেট আর পানির জন্য আমাদের খুব সমস্যা হয়! স্কুলের প্রধান শিক্ষক অনিতা দেব জানান,বিশেষ করে ঝড় তুফানে শিক্ষার্থীদের নিয়ে তারা বেশ বিপাকে পড়েন! তীব্র ঝড় শুরু হলে ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে সমস্ত শিক্ষক পার্শবর্তী বাড়িতে আশ্রয় নেন! তাই যতদ্রুত সম্ভব এই বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি কামনা করেছেন।

    শ্রীমঙ্গল উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ সাইফুল ইসলাম এই প্রতিনিধিকে বলেন, উপজেলা পর্যায়ে যে সকল বিদ্যালয়ে ভবন নেই সেইসব বিদ্যালয়গুলোর ভবন নির্মাণ কাজ দ্রুতই শুরু হবে। ইতোমধ্যে টেন্ডারও হয়ে গেছে এখন শুধু ভবন নির্মাণের অপেক্ষা।
    দেশ যখন উন্নয়নের মহাসড়কে দ্রুত গতিতে সর্ব ক্ষেত্রে এগিয়ে যাচ্ছে আর ঠিক এই মুহূর্তে এসে বাঁশ,ছন আর পুরাতন জং ধরা ঢেউটিন দিয়ে বেড়া দিয়ে নির্মিত ছোট ছোট তিনটি কক্ষে ব্রেে র অভাবে মাটিতে বসে পাঠদান করছেন কোমলমতি শিশুরা। এটা একেবারেই অমানবিক মনে হয়ে তাই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দ্রুতই বিদ্যালয়টিকে ভবনে রূপান্তরিত করবেন এমনটাই প্রত্যাশা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট বলেন এলাকাবাসি।