সাংবিধানিক ধারাও গণতন্ত্রের পক্ষে রায় জনগণেরঃশেখ হাসিনা

    0
    224

    আমারসিলেট24ডটকম,০৬জানুয়ারীঃ  বিএনপি জামায়াত জোটের অব্যাহত সংহিংসতা এবং দেশব্যাপী নৃশংস তান্ডবের পরও স্বতস্ফুর্তভাবে ১০ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহন করায় দেশবাসীকে ধন্যবাদ জানিয়েছে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এ নির্বাচনে বিজয় হয়েছে গণতন্ত্রের। আজ সোমবার বিকেলে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে নির্বাচনোত্তর এক সংক্ষিপ্ত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। আজ বিকেল ৩টা ৩৫ মিনিটে এ সংবাদ সম্মেলন শুরু করে ৩টা ৪২ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্য শেষ করেন। জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টানা দ্বিতীয় দফা বিজয়ের পর সরকার, দল ও জনগণের পক্ষ থেকে সবাইকে অভিনন্দন ও ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি।

    আজ সোমবার বিকালে গণভবনের মাঠে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। এর আগে বিকাল ৪টায় গণভবনের একটি সম্মেলন কক্ষে বিদেশি গণমাধ্যমের সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর গণভবনের মাঠে খোলা জায়গায় শুরু হয় বাংলাদেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকদের নিয়ে সংবাদ সম্মেলন। সংবাদ সম্মেলন প্রধানমন্ত্রী বলেন, সন্ত্রাস জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স অব্যহত রাখা হবে। স্বাধীনতা বিরোধী শক্তিকে এই দেশে মাথা চারা দিয়ে উঠতে দেওয়া হবে না। নির্বাচনে জনগন সন্ত্রাস, নৈরাজ্য ও নাশকতার বিরুদ্ধে শান্তি, সাংবিধানিক ধারা ও গণতন্ত্রের পক্ষে রায় দিয়েছে। বিজয় হয়েছে  গণতন্ত্রের। পরাজয় হয়েছে গণতন্ত্র ও স্বাধীনতাবিরোধী শক্তির। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিরোধী দলের পক্ষ থেকে ভোট দিতে নিষেধ করা হয়। কিন্তু ভোটাররা বোমাবাজির মধ্যেও সাহসের উপর ভর দিয়ে ভোট দিয়েছেন। অশুভ শক্তিকে দূর করেছেন।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, গতকাল বহুল আলোচিত জাতীয় সংসদ নির্বাচন হয়েছে।সহিংসতা, বোমাবাজি প্রত্যাখ্যান করে জনগণ ভোট দেয়ায় দলের পক্ষ থেকে আন্তরিক অভিনন্দন জানাচ্ছি। এতো বোমাবাজির মধ্যেও সাহস নিয়ে তারা ভোট দিয়েছেন। এ নির্বাচনে বিজয় হয়েছে গণতন্ত্রের। পরাজয় হয়েছে স্বাধীনতা বিরোধীদের। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, কিছু ভোট কেন্দ্রে জামায়াত বিএনপি হামলা করেছে। এছাড়া নির্বাচন ভালোই হয়েছে। যেভাবে লাদেন স্টাইলে ভোট না দেওয়ার জন্য নিষেদ করা হয়েছিল তা সফল হয়নি। এই নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে আমি তা বিশ্বাস করি না।

    গতকালের ১০ম নির্বাচনে যে ১৪৭টি আসনে ভোট হয়েছে, তার মধ্যে ১০৪টিতে জয়ের ফলে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ১৫৩ জনকে নিয়ে দলটির মোট আসন দাঁড়াচ্ছে ২৩১টিতে, যা সরকার গঠনের ন্যূনতম আসনের চেয়ে ৮২টি বেশি।
    সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টাদের মধ্যে রয়েছেন আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত, এইচটি ইমাম, গওহর রিজভী, ইউসুফ হোসেন হুমায়ূন। সভাপতিমণ্ডলীর সদস্যদের মধ্যে রয়েছে ওবায়দুল কাদের, লতিফ সিদ্দিকী, ইঞ্জিনিয়ার মোশারফ হোসেন, সতীশ চন্দ্র। মহাজোট নেতাদের মধ্যে রয়েছে হাসানুল হক ইনু। এছাড়া ডা. দীপু মনি, সাহারা খাতুন, ড. হাছান মাহমুদ, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম প্রমুখ।