মোট-৮৮-আ’লীগ-৫৫ বিএনপি-২৩ জামাত-৫ অন্যান্য-৫

    0
    214

    আমারসিলেট24ডটকম,২৪মার্চঃ সারা দেশে চতুর্থ ধাপের ৯১টি  উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিপুল ব্যবধানে এগিয়ে রয়েছেন  সরকার দলীয় আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীরা ।বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে কিছু স্থানে ভোট বর্জন করেছেন বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত প্রার্থীরা। সর্বশেষ ৯১ উপজেলার মধ্যে ৮৮ উপজেলার বেসরকারিভাবে ঘোষিত ফলে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী ৫৫টিতে, বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী ২৩টিতে এবং জামায়াত সমর্থিত প্রার্থী ৫টিতে ও অন্যরা ৫টিতে বিজয়ী হয়েছেন। পটুয়াখালীর দুমকি, মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া ও কক্সবাজারের কুতুবদিয়া উপজেলার স্থগিত রয়েছে বলে জানা গেছে।

    আওয়ামী লীগ সমর্থিত বিজয়ী যারা

    সিলেট সদরে আশফাক আহমেদ, শ্রীমঙ্গলে রণবীর কুমার দেব,কমলগঞ্জে  প্রফেসার রফিকুল রহমান, হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে আলমগীর চৌধুরী, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে মনিরুজ্জামান সরকার,খুলনার দাকোপে আবুল হোসেন ও বটিয়াঘাটায় আশরাফুল আলম খান,  তেরখাদায় শরফুদ্দিন বিশ্বাস বাচ্চু, ফুলতলায় এসএম আকরাম, রূপসায় কামাল উদ্দিন, সাতক্ষীরার কলারোয়ায় ফিরোজ আহমেদ স্বপন, পাবনার ফরিদপুরে খলিলুর রহমান, চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে আবদুল লতিফ কমল, কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে ফিরোজ আল মামুন, কিশোরগঞ্জের মিঠামইনে আবদুস শহিদ, ইটনায় মোঃ কামরুল ইসলাম চৌধুরী, কটিয়াদীতে আবদুল ওহাব আইন উদ্দিন, ভোলার মনপুরায় সেলিনা আক্তার ও তজুমুদ্দিনে ওয়াহিদউদ্দীন জসিম, ফেনীর ফুলগাজীতে একরামুল হক ও সোনাগাজীতে জেডএম কামরুল আনাম। ঝালকাঠির কাঁঠালিয়ায় ফারুক সিকদার, নলছিটিতে ইউনুছ লস্কর, রাজাপুর মনিরুজ্জামান মনির ও সদরে সুলতান হোসেন, চট্টগ্রামের  বোয়ালখালীতে আতাউল হক, রাউজানে এহসানুল হায়দার চৌধুরী, আনোয়ারায় তৌহিদুল হক, রাংগুনিয়ায় মোঃ আলী শাহ, ফটিছড়িতে  তৌহিদুল আলম, দিনাজপুরের বোচাগঞ্জে ফরহাদ হাসান, টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে মোজহারুল ইসলাম, মধুপুরে সারোয়ার আলম খান, ভুয়াপুরে আবদুল হালিম, পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় আশরাফুর রহমান, সদরে মুজিবুর রহমান, যশোরের সদর উপজেলায় শাহীন চাকলাদার,  কেশবপুরে এইচএম আমির হোসেন, কুমিল্লার মেঘনায় মোঃ আবদুস সালাম, পটুয়াখালী সদরে তারিকুজ্জামান মনি, আগৈলঝাড়ায় গোলাম মোর্তুজা খান ও উজিরপুরে হাফিজুর রহমান, পাবনার ঈশ্বরদীতে মোখলেসুর রহমান বাবু, পটুয়াখালী সদরে অ্যাডভোকেট তারিকুজ্জামান মনি, বাউফলে মুজিবর মুন্সি, গলাচিপায় মোঃ সামসুজ্জামান লিকন, ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে ফারুক আহমেদ, বাগেরহাটের মোল্লারহাটে শাহীনুর রহমান ও চিতলমারীতে মোল্লা মুজিবুর রহমান, রাজশাহীর বাগমারায় জাকিরুল ইসলাম সান্টু বরিশালের বানারীপাড়ায় গোলাম ফারুক।

    বিএনপির বিজয়ী যারা

    সিলেটের কানাইঘাটে আশিক  চৌধুরী,সুনামগঞ্জের শাল্লায় গণেন্দ্র চন্দ্র সরকার,মৌলভীবাজার সদরে মিজানুর রহমান,শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে একেএম মুকলেসুর রহমান, ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডুতে আবদুল মজিদ, সুনামগঞ্জের ধর্মপাশায় মোতালিব খান, নাটোরের বড়াইগ্রামে একরামুল আলম, দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে খুরশিদ আলম, সিরাজগঞ্জের চৌহালীতে আবদুল্লাহ আল মামুন, চাঁদপুরের শাহরাস্তিতে দেলোয়ার হোসেন, নেত্রকোনার মদনে এমএ হারেছ, বরগুনার বেতাগীর  শাহজাহান কবির ও কক্সবাজারের রামুতে আহমেদুল হক চৌধুরী, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় ইঞ্জিনিয়ার মোসলেম উদ্দিন, ঢাকার ধামরাইয়ে তমিজ উদ্দীন, টাঙ্গাইলের নাগরপুরে আবদুস সালাম দুলাল, ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে জিয়াউল ইসলাম জিয়া, নড়াইল সদরে মোঃ মনিরুল ইসলাম, রাজশাহীর তানোরে ইমরান আলী মোল্লা, বগুড়ার গাবতলীতে মোর্শেদ মিল্টন, কুমিল্লার বরুড়ায় আবদুল খালেক চৌধুরী, নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে অ্যাডভোকেট আবদুর রহিম।

    জামায়াতের বিজয়ী যারা

    বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়িতে তোফায়েল আহমেদ, জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে মোস্তাফিজুর রহমান ও পিরোজপুরের জিয়ানগরে মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ছেলে মাসুদ সাঈদী, চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে জহিরুল ইসলাম ও সাতকানিয়ায় জসিমউদ্দিন।

    এছাড়া পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়ায় জাতীয় পার্টি (জেপি) আতিকুল ইসলাম, কিশোরগঞ্জের তাড়াইলে জাতীয় পার্টির বিদ্রোহী প্রার্থী কামাল উদ্দীন ভুঁইয়া, ভৈরবে বিএনপির সংস্কারপন্থী নেতা গিয়াস উদ্দিন, রাজশাহীর পুঠিয়ায় বিএনপির বিদ্রোহী আনোয়ার হোসেন জুম্মা, পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আবু বকর সিদ্দিক ও রাঙ্গামাটির জুড়াছড়িতে জেএসএস প্রার্থী উদয় জয় চাকমা, হবিগঞ্জ সদরে স্বতন্ত্র সৈয়দ আহমদুল হক, লাখাইয়ে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী অ্যাডভোকেট মুশফিউল আলম আজাদ ও আজমেরিগঞ্জে আতর আলী মিয়া এবং গাজীপুরের কালিয়াকৈরে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী রেজাউল করিম রাসেল বিজয়ী হয়েছেন।

    রোববার চতুর্থ উপজেলা নির্বাচনের চতুর্থ ধাপে নির্বাচনী সহিংসতায় মারা গেছেন চারজন। কেন্দ্র দখল, জাল ভোট, হামলাসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ এনে নয়টি উপজেলায় বিএনপি ও জামায়াত-সমর্থিত প্রার্থীরা ভোট বর্জন করেছেন। ভোট বর্জন করেছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীও।

    এদিন দেশের ৪৩টি জেলার  ৯১টি উপজেলায় ভোট নেয়া হয়। সকাল আটটায় মোট পাঁচ হাজার ৮৮২টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। বিরতিহীনভাবে তা চলে বিকেল চারটা পর্যন্ত।  সহিংসতা ও অনিয়মের অভিযোগে ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে ৩৩টি কেন্দ্রে ।

    এবার ভোটার ছিলেন এক কোটি ৩৮ লাখ ৫৯ হাজার ২৭৮ জন।  এর মধ্যে পুরুষ ভোটার  ৬৯ লাখ সাত হাজার ৯৫৬ ও নারী ভোটার ৬৯ লাখ ৫১ হাজার ৩১২ জন।

    চতুর্থ ধাপের নির্বাচনে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা চেয়ারম্যান পদে মোট এক হাজার ১৮৬ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৩৮৯ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে  ৪৮৫ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী ছিলেন ৩১২ জন।