“সন্ত্রাসীদের তালিকাতে মৃত ব্যক্তি বলে কোন কোন সময় জীবিত সন্ত্রাসীদেরকে বাঁচানোর পরিকল্পিত চেষ্টা করা হয় যা সমাজের জন্য কল্যাণ কর নয়”
আমার সিলেট 24 ডটকম,২১অক্টোবরঃ দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সন্ত্রাসীদের নতুন তালিকা তৈরি করছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। গোয়েন্দা সংস্থা ছাড়াও থানা ও জেলা পর্যায়ের পুলিশও এ ব্যাপারে কাজ করছে। আমলনামার ভিত্তিতে সন্ত্রাসীদের সিরিয়াল নির্ধারিত হবে। পুলিশ সদর দপ্তর বলছে, এটি চলমান প্রক্রিয়ার অংশ। এর আগে চারদলীয় জোট সরকারের সময় শীর্ষ একুশ সন্ত্রাসীর তালিকা তৈরি করে তাদের ধরতে পুরস্কার ঘোষণা করা হয়। অবশ্য ইতিমধ্যেই তাদের কেউ ক্রসফায়ারে নিহত হয়েছেন, কেউ বিদেশে পালিয়ে আছেন, কেউ আবার কারাগারে। দু-একজনের নামে এখনও সন্ত্রাসী বা চাঁদাবাজী চলে এমন অভিযোগও রয়েছে।সংশ্লিষ্টরা জানান, সরকার বদলের সাথে সন্ত্রাস ও সন্ত্রাসীদের ধরনেরও পরিবর্তন হয়। এছাড়া অস্ত্রধারী ও পেশাদার সন্ত্রাসী ছাড়াও বিবেচনায় আনা হতে পারে, টেণ্ডারবাজ, দখলবাজ ও নেপথ্যে থাকা অনেকের নামও।
জানা যায়, গত ২০১০ সালে ১৫ মার্চ সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন ৪১ শীর্ষ সন্ত্রাসীর তালিকা ঘোষণা করেন। ওই তালিকায় মৃত ব্যক্তি ছাড়াও স্থান হয় ছিঁছকে অপরাধীদের। সমালোচনার মুখে চাপা পড়ে যায় সেই তালিকা। এদিকে পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তারা বলছেন, এবার ঘোষণা ছাড়াই তারা নতুন তালিকার কাজ করছেন। এ রকম তালিকা তৈরির ক্ষেত্রে বরাবরই অভিযোগ ওঠে, সরকারি দলের ক্যাডারদের বাদ দেয়ার। তবে পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তা মনে করেন, রাজনৈতিক পরিচয় নয়, পুলিশের কাছে বিবেচিত বিষয় সন্ত্রাসীদের আমলনামা।উল্লেখ্য,নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, সন্ত্রাসীদের তালিকাতে মৃত ব্যক্তি বলে কোন কোন সময় জীবিত সন্ত্রাসীদেরকে বাঁচানোর পরিকল্পিত চেষ্টা করা হয় যা সমাজের জন্য কল্যাণ কর নয়।