আমারসিলেট24ডটকম,০১জুনঃ অতি সম্প্রতি আইন মন্ত্রীর বক্তব্যে বাংলাদেশের মানুষ হতাশ হয়েছে। বর্তমান সরকারের আইনমন্ত্রী যখন ৭১-এর পরাজিত জামাত-শিবিরের রাজনীতি ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বিলম্ব ও তাদের সংগঠন যুদ্ধাপরাধী জামাতের রাজনীতি নিষিদ্ধের ব্যাপারে দায় এড়িয়ে কথা বলেন তার মধ্যদিয়ে সরকারের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার মধ্য দিয়ে প্রমাণিত ও পরিলক্ষিত হয় যে জামাতের বিরুদ্ধে দেশের মানুষের আকাক্সক্ষা প্রতিফলিত হবে না। বাংলাদেশ যুব মৈত্রীর সভাপতি মোস্তফা আলমগীর রতন ও সাধারণ সম্পাদক সাব্বাহ আলী খান কলিন্স এক বিবৃতিতে বলেন, যে দেশের মানুষ ১৪ দলের প্রতি যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ও জামাতের রাজনীতি নিষিদ্ধের লক্ষ্যে বর্তমান সরকারকে সমর্থন দিয়েছিলো। প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন সময় জামাত-শিবিরের মুক্তিযুদ্ধবিরোধী কর্মকাণ্ড ও তাদের সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান ও বক্তব্য বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রচারিত হয়েছে। কিন্তু হঠাৎ আইনমন্ত্রীর এই নমনীয় সুর মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের মানুষকে যেমন বিভ্রান্ত করছে ঠিক তেমনিভাবে বিরোধী পক্ষকে শক্তি জোগাতে সহায়তা জোগাবে।
সরকার যদি কোন কারণে তার জামাতের বিরুদ্ধে এজেন্ডা থেকে ফিরে আসে দেশের মানুষ সরকারের বিরুদ্ধে তাদের অনাস্থা প্রকাশ করবে। তাই সরকারের উচিত সকল যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ও মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে অবস্থানকারী জামাত-শিবিরের বিরুদ্ধে তার প্রশাসনিক ও আইনী লড়াই-এর মাধ্যমে জনআকাক্সক্ষার প্রতিফলন ঘটানো। অন্যথায় এই অপশক্তি সুযোগ পেলে আবারো তাদের বিসাক্ত ছোবল হানবে মুক্তিযুদ্ধ ও গণতন্ত্রের পক্ষের মানুষের উপর। যা কোনভাবেই দেশের ভবিষ্যতের জন্য ভাল হবে না এবং গণতন্ত্র হুমকির মুখে পড়বে।