সকল ঈদের সেরা ঈদ ঈদে-মিলাদুন্নবীঃআজ মু’মিনদের ঈদ

    0
    297

    আমারসিলেট24ডটকম,১৪জানুয়ারীঃ আজ ১২ রবিউল আউয়াল। বিশ্বমানবতার মুক্তির দিশারী রাহমাতুল্লিল আলামিন (সৃষ্টির কল্যাণ)তাজদারে মদীনা  সৃষ্টিকুল শিরমনি,প্রেরিতদের(?) সর্দার সর্বশ্রেষ্ঠ ও সর্বশেষ নবী হযরত মুহাম্মদ (দঃ) এর শুভজন্ম ও শুভ অন্তরাল দিবস।

    এ দিনটি মু’মিন(যারা বিশ্বাসী)যারা নিজের আত্নার চেয়েও প্রিয় নবী (দঃ) ভালবাসে ওই মুসলিম উম্মাহর কাছে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী(দঃ)(নবীর জন্মে খুশী) নামে পরিচিত। ঈদে-মিলাদুন্নবীর অর্থ নবীর জন্মে খুশী উৎযাপন।আজ থেকে  প্রায় সারে ১৪শ’  বছর পূর্বে ৫৭০ খৃস্টাব্দে এ দিনে সোবহে সাদেকের সময় মক্কা নগরীর সভ্রান্ত কুরাইশ বংশে হজরত আমেনার(রাঃ) কোলকে আলোকিত  করে এ পৃথিবীতে শুভাগমন করেন আমাদের জানের জান প্রিয় নবী দুজাহান।

    শুভাগমনের পূর্বেই তিনি পিতৃহারা হন। প্রিয় নবীর (দঃ)পিতার নাম ছিল হজরত আব্দুল্লাহ(রাঃ)।  প্রিয় নবী (দঃ) জন্মের অল্পকাল পরই বঞ্চিত হন মাতৃস্নেহ থেকে। অনেক দুঃখ, কষ্ট ও প্রতিকুলতার মধ্যদিয়ে চাচা আবু তালিবের আশ্রয়ে বড় হয়ে উঠেন। চল্লিশ বছর বয়সে উপনীত হওয়ার পর তিনি মহান রাববুল আলামীনের পক্ষ থেকে নবুওয়তের মহান দায়িত্ব পালন শুরু করেন। অসভ্য বর্বর ও পথহারা জাতিকে সত্যের সংবাদ দিতে তিনি তাদের কাছে তুলে ধরেন মহান রাববুল আলামীনের তাওহীদের(একত্তবাদ) বাণী।

    কিন্তু অসভ্য মূর্খ বর্বর জাতি তাঁর দাওয়াত গ্রহণ না করে রাসূলের (দঃ)উপর নির্যাতন শুরু করে, সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে বিভিন্নমুখী চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র করতে থাকে একের পর এক।

    আল্লাহর সাহায্যের ওপর ভরসা করে বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য জীবনবাজি রেখে সংগ্রাম চালিয়ে যান তিনি। ধীরে ধীরে সত্যান্বেষী মানুষ তাঁর ডাকে সাড়া  দিতে থাকে। অন্যদিকে কাফেরদের ষড়যন্ত্রও প্রবল আকার ধারণ করে। এমনকি এক পর্যায়ে তারা রাসূল (দঃ) কে হত্যার পরিকল্পনা গ্রহণ করে।

    রাসূল (দঃ) আল্লাহর নির্দেশে জন্মভূমি ত্যাগ করে মদীনায় হিজরত করেন। মদীনায় তিনি ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করে আল্লাহর আইন বাস্তবায়ন করেন এবং  “মদীনা সনদ” নামে একটি লিখিত সংবিধান প্রণয়ন করেন। মদীনা সনদ বিশ্বের প্রথম লিখিত সংবিধান নামে খ্যাত।

    এ সংবিধানে ইহুদী, খৃস্টান, মুসলমানসহ সকল ধর্মের অধিকার স্বীকৃত হয় যথার্থভাবে। এদিকে মক্কার কাফেরদের ষড়যন্ত্রের সাথে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয় মুসলমান লেবাসধারী মুনাফিকচক্র। এরা ইসলামের চরম ক্ষতি সাধনে লিপ্ত হয় মহানবী (দঃ)এর বিরুদ্ধে।

    মুহাম্মদ (দঃ)-এর নেতৃত্বে ওহুদ যুদ্ধে এক হাজার মুসলিম সৈন্য রওয়ানা করলে পথিমধ্যে মুনাফিক সর্দার আবদুল্লাহ ইবনে উবাইর নেতৃত্বের ৩শ’ জন সরে পড়ে এবং ওহুদ যুদ্ধে বিপর্যয় ঘটানোর অপচেষ্টা চালায়। এ যুদ্ধে মুসলমানরা বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুখিন হয় একটি ভুলের কারণে। এতে অনেক সাহাবা(রাঃ) শহীদ হন।

    স্বয়ং রাসূল (দঃ)এর দন্ত মোবারক শহীদ হয়। ২৩ বছর শ্রম সাধনায় অবশেষে রাসূলে পাক (দঃ) দ্বীন প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে বিজয় অর্জন করেন। মক্কা বিজয়ের মাধ্যমে তা পূর্ণতা লাভ করে। অতঃপর বিদায় হজ্বের ভাষণে তিনি আল্লাহর বাণী শুনিয়েছেন  বিশ্বের মানবজাতিকে।

    আজ থেকে তোমাদের জন্য তোমাদের দ্বীন তথা জীবন ব্যবস্থাকে পরিপূর্ণ করে দেয়া হলো। তোমাদের জন্য দ্বীন তথা জীবন ব্যবস্থা হিসেবে একমাত্র ইসলামকে মনোনীত করা হয়েছে।

    রাসূলের (দঃ) রেখে যাওয়া সেই শান্তি প্রতিষ্ঠার আদর্শ থেকে মুসলমানরা রাসুল বিমুখ হওয়ায় বর্তমান বিশ্বে অশান্তির আগুন দাউ দাউ করে জ্বলছে। ইসলাম বিরোধীদের হাতে আজ বিশ্বের সর্বত্র লাখো লাখো মুসলমান নিহত হচ্ছে।অপরদিকে ইসলামের লেবাসে  নামধারীরা

    মুসলিম সমাজের ভিতরে ক্যান্সার  হিসেবে কাজ করছে। যে কারনে অন্যায়, অবিচার আর বর্বরতার সীমা ছাড়িয়ে গেছে। তাই অশান্ত এই পৃথিবীতে শান্তি প্রতিষ্ঠায় মুহাম্মদ (দঃ)এর মহান আদর্শ প্রতিষ্ঠার বিকল্প নেই। বর্তমানে যারা রাসূলের (দঃ) রেখে যাওয়া আদর্শ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে পৃথিবীতে শান্তি প্রতিষ্ঠার আন্দোলন করে যাচ্ছেন তাদের পথ কুসুমাস্তীর্ণ নয়। কাফের ও ইসলামের লেবাসধারী মুনাফিকদের ষড়যন্ত্র এখনো চলছে। কাফেরদের পাশাপাশি ধর্মের লেবাসধারীরাও ইসলামকে কলঙ্কিত করতে চায় শয়তানের প্ররোচনায়।

    কাফের, মুশরিক ও মুনাফিকদের কোন ষড়যন্ত্রই রাসূলের (দঃ) অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করতে পারেনি, আজও পারবে না, কেননা আল্লাহ বলেছেন, সত্য সমাগত, মিথ্যা বিতাড়িত। আর নিশ্চয়ই মিথ্যা বিলুপ্তির জন্য(আল-কুরআন)।সুতরাং সত্যের সংগ্রামে সাফল্য অনিবার্য।

    আজ ১২ই রবিউল আউয়াল আরবি গণনায় ৩য় মাস। এ মাসের এ দিন কে কেন্দ্র করে সাড়া বৎসর নবী করীম (দঃ) এর প্রেমিক উম্মতেরা  জন্মোৎসব তথা ঈদে-মিলাদুন্নবী বা মিলাদ শরিফ উদযাপন করে থাকে।   বিশ্ব মুসলিমগণ  বিভিন্নভাবে এই উপলক্ষকে উদযাপন করে থাকে
    মু’মিন গন এ উপলক্ষে জমায়েত হয়ে  প্রিয় নবীর প্রতি সালাতু-সালাম পেশ করে থাকেন । নবীজীর জন্মের ঘটনা আলোচনাসহ নবীর শানে বিভিন্ন শ্লোগান এবং প্রিয় নবীর দুশমন দের সতর্ক করে বক্তৃতা ও ধর্মীয় না’ত পরিবেশন করে থাকে।এ দিনে মুসলিমগন বিশেষ করে যারা বিত্তবান তারা আল্লাহর রাস্তায় অকাতরে দান করে থাকেন। ব্যতিক্রম (?)ও বিদ্যমান,কথায় বলে “আজানে শয়তান পালায়-মিলাদে নবীর দুশমন”। আসুন দেখি ইসলামে এর ঐতিহাসিক পটভূমি কি।

    ধর্মিয় দলিলে-মিলাদুন্নবীর(দঃ) খুশী যেমন স্রষ্টার-তেমনি সৃষ্টির  

    রাহমাতুল্লিল আ’লামিন এর মিলাদ( জন্ম) এর খুশী স্বয়ং আল্লাহ্‌ রব্বুল আ’লামিন উদযাপন করেছেন। আল্লাহ্‌ সোবহানাহু ওয়া তাআলা সেই রূহের জগত থেকে শুরু করে দুনিয়াতে পদার্পণ পর্যন্ত এবং ৪০ বছর পর ওহী নাযিলের সময়ও তাঁর হাবীব সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম এর আগমনের সংবাদ তার সৃষ্টি জগত কে অসংখ্যবার অভিহিত করেছেন।

    কোনো সময় আম্বিয়া আলাইহিমুস সালাম দের সঙ্গে রূহের জগতে,(১) বিভিন্ন সময় জিবরাঈল আলাইহিস সালাম মারফত প্রতি জমানায় আম্বিয়া আলাইহিমুস সালাম গণকে ওহীর মাধ্যমে, পূর্বোক্ত উম্মতগণকে তাদের নবী ও নবীদের উপর নাযিল কৃত কিতাবের মাধ্যমে,(২) আর উম্মতে মোহাম্মদি সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম কে কোরআন এ পাক এর মাধ্যমে।(৩) আবার মকসুদে কায়েনাত সাইয়্যেদিনা মোহাম্মদ মোস্তফা সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম এর আগমনের মুহূর্তে সাইয়্যেদা আমেনা রাদিয়াল্লাহু আনহা কে নূরানি ফেরেশতা এবং হযরত আসিয়া ও মারয়াম আলাইহিমাস সালাম ও জান্নাতের হুর দিয়ে অভ্যর্থনা জ্ঞাপন এর মাধ্যমে।

    (৪) স্বয়ং আল্লাহ্‌ পাক তাঁর হাবীব কে দুনিয়াতে প্রেরণ করে নিজেই খুশী উদযাপন করেছেন। মিলাদের বরকতময় মুহূর্তে জান্নাতের দরজা সমূহ খুলে দিয়েছেন, ফেরশতাদের অর্পণ করে সমগ্র সৃষ্টি কে মিলাদুন্নবীর খোশ খবর জানিয়ে দিয়েছেন, মা আমেনার ঘরের চারদিক আসমানের তারকাসমূহকে অধিক উজ্জ্বল করে ও নূরের ফেরেশতা দ্বারা আলোকিত করেছেন।(৫) এবং আল্লাহ্‌ পাক তাঁর সৃষ্টির কামাল ও আজিম রাহমাতুল্লিল আ’লামিন এর আগমনের খুশী দুনিয়ার মানুষের সাথেও ভাগাভাগি করার জন্য গোটা বছর সমস্ত মায়ের শেখমকে পুত্রসন্তান প্রসবের হুকুম দেন।

    (যেহেতু সেই যুগের মানুষ পুত্র সন্তান লাভে অধিক আনন্দ লাভ করতো এবং আরবের লোকেরা কন্যা সন্তান কে জীবন্ত পুঁতে ফেলত) আর সেই বছর আরবে অত্যধিক ফল ফসলাদি দান করেন। আরবিগণ তাই এ বছরকে সমৃদ্ধির বছর বলে অভিহিত করতো।(৫) আল্লাহ্‌ পাক তাঁর হাবীব কে প্রেরণ করে যদি নিজেই খুশী হন, তাঁর কুদরতি খাজানা খুলে দেন, তাঁর সমগ্র সৃষ্টি জগতকে সেই খুশীতে নিজের সাথে সামিল করেন, তবে যাদের জন্য এই রহমেতর নবীর আগমন সেই আমরা কেন আমাদের পেয়ারা নবী কে পেয়ে খুশী উদযাপন করবোনা! এই যোক্তিক কারনেই পূর্বোক্ত বুজুর্গানে কেরাম বলতেন, যে মিলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম এর প্রতি সম্মান প্রদর্শন করলো সে মূলত ইসলামেরই প্রতি সম্মান প্রদর্শন করলো।

    সুত্রঃ- (১) সূরা আল-ইমরান, ৩:৮১ (২) 1. সূরা আল-ইমরান, ৩:৭১ 2. সূরা আল-সাফফ, ৬১:৬ (৩) 1. সূরা আল-ইমরান, ৩:১৬৪ 2. সূরা নিসা, ৪:১৭৫ 3. সূরা মায়িদাহ, ৫:১৫ 4. সূরা তাওবা, ৯:৩৩,১২৮ 5. সূরা জুমুআহ, ৬২:২ (৪) 1. ইবনে সা’দ, আততাবাকাত, ১:৯৮ 2. ইবনে জোওজি, সিফাতুস সাফওয়া, ১:৫১ 3. হালাবি, সিরাতে হালাবিয়্যাহ, ১:৭৫, ১০৪ 4. বায়হাকী, শোআ’বুল ঈমান, হাদিসঃ১৩৮৮ 5. ইবনে ইসহাক, সিরাত, ১:২২ 6. তাবারী, তারিখ, ১:৪৫৪ 7. আসক্বালানী, আল-ইসাবা, ৫:১৩২ 8. ক্বুস্তুলানী, আল-মাওাহেব, ১ 9. সুয়ুতী, আল-খাসায়েস, ১:৭৯ (৫) 1. সুয়ুতী, আল-খাসায়েস, ১:৮০ 2. আবু নোয়ে’ম, দালায়েলুন নবুও্যাহ, ১:৯৪ 3. ইবনে কাছীর, আল-বিদায়াহ ওয়ান নিহায়াহ, ৬:২৯৮ 4. নাবহানী, আনওয়ারুল মোহাম্মদিয়্যাহ :২২-২৫

     হাদিছে প্রিয় নবীর শুভাগমনে খুশী হওয়ার পুরস্কার

    হযরত অরওয়া ইবনে জুবায়ের (রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু) বলেন,সুহাইবাহ আবু লাহাবের দাসী ছিল। আবু লাহাব (রাসুল সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম) এর বেলাদাতের সুসংবাদ দেওয়ার কারনে (আনন্দিত হয়ে)সুহাইবাহ কে আযাদ করে দিয়েছিল।যখন আবু লাহাব মৃত্যুবরণ করেছিল তখন (এক বছর পর) তার ঘনিষ্ঠদের কেউ {হযরত আব্বাস (রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু)} তাকে স্বপ্নে শোচনীয় অবস্থায় দেখে তার উদ্দেশে বলেন, “তোমার অবস্থা কেমন?” আবু লাহাব উত্তরে বলল, “তোমাদের নিকট থেকে আসার পর আমি কোন প্রকার শান্তি পাইনি,কেবল যে (রাসুলুল্লাহ (দ.) জন্ম হওয়ার খুশিতে) সুহাইবাকে (তর্জনী ও মধ্যমা দু’টি আঙ্গুলের ইশারায়) আযাদ করে দিয়েছিলাম, ঐ কারনে (প্রতি সোমবার আঙ্গুল দুটির মধ্যে কিছু পানি জমে) আমি ঐ পানি চুষে থাকি ও প্রতি সোমবার আযাবকে হাল্কাবোধ করে থাকি।” (বুখারী,২য় খণ্ড)
    বুখারী শরীফে উক্ত হাদীসের পৃষ্ঠায় শেষের দিকে এ হাদীসের পাদটীকায় বর্ণিত আছে,সুহাইবাহ আবু লাহাবকে রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লাম) এর জন্মের সুসংবাদ দেয়ার কারনে আবু লাহাব তাকে আযাদ করে দিয়েছিল। অতঃপর এ আযাদ করাটা (পরকালে) আবু লাহাবের উপকারে এসেছে। এ কাজ তার উপকারে আসার অর্থ হল তার এ করম প্রিয়নবী (সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লাম) এর বরকতে অবশিষ্ট ছিল। অন্যান্য কাজের নেয় বিনষ্ট হয়ে যায়নি।
    এই হাদীসের প্রেক্ষাপটে ইবনে জাওজী বলেন, “যখন ঐ আবু লাহাব কাফির,যার তিরস্কারে কোরআনে সূরা নাজিল হয়েছে। মিলদুন্নাবী (দঃ) এ আনন্দ প্রকাশের কারনে জাহান্নামে পুরস্কৃত হয়েছে। এখন উম্মতে মুহাম্মাদী (সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম) এর ঐ একত্ববাদী মুসলমানের কি অবস্থা? যে নবী কারীম (সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম) এর বেলাদাতে খুশি হয় এবং রাসুল (দঃ) এর ভালবাসায় তার সাধ্যনুযায়ী খরচ করে (তিনি জবাবে বলেমন। ওলামায়ে হাক্কানিগণ বলে থাকেন যারা সত্যিকারের প্রেম দিয়ে প্রিয় নবীর জন্ম দিনে আনন্দ প্রকাশ করে তারা বিনা বিচারে মানুষ হত্যা করতে পারেনা,অন্যের প্রতি জুলুম করতে পারেনা,এক কথায় মিলাদুন্নবী (দঃ) পালন কারীরা ইসলামের নামে জঙ্গিপনা পছন্দ করে না। আল্লাহ আমাদের সহায় হোন,আমিন।