সংরক্ষিত আসনঃপ্রার্থী বাছাইয়ে সায়রা মহসিনসহ যারা এগিয়ে

    0
    267

    একাদশ জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনে প্রার্থী বাছাই প্রক্রিয়ায় মৌলভীবাজার জেলার সায়রা মহসিনসহ যারা এগিয়ে রয়েছেন তারা বিভিন্ন পেশার পরিচিত মুখ, দলে অবদান রাখা প্রয়াত নেতাদের সহধর্মিণী-সন্তান এবং সমাজে বিশেষ অবদান রাখা নারী নেতৃত্ব  যাদের নাম আছে এ খসড়া তালিকায়।

    সংরক্ষিত নারী আসনে মনোনয়ন প্রসঙ্গে জানা যায়, যেসব জেলা থেকে দশম জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত আসনে মনোনয়ন দেয়া হয়নি, সেসব জেলা এবার অগ্রাধিকার পাবে। এর বাইরেও দলে ও সমাজে বিশেষ অবদান রাখা, সামাজিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে সম্পৃক্ত ও শিক্ষাগত যোগ্যতাসহ  দেখা হবে প্রার্থীদের নানা যোগ্যতা।

    সূত্র অনুযায়ী, “জেলা  ও বিশেষ কোটায়” মনোনয়ন পেতে পারেন- এমন বেশ কিছু নারীর নাম উঠে এসেছে আ’লীগের খসড়া মনোনয়ন তালিকায়। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল- আওয়ামী লীগের কৃষি ও সমবায় সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী।

    ২০০৮ সালের ৯ম সংসদে তিনি সংরক্ষিত আসনে এমপি ছিলেন। ঢাকা উত্তরের প্রয়াত মেয়র আনিসুলের স্ত্রী রুবানা হক, প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী প্রয়াত মাহবুবুল হক শাকিলের স্ত্রী নীলুফার আনজুম পপি,সাবেক সমাজ কল্যাণ মন্ত্রী সৈয়দ মহসিন আলীর পত্নী সায়রা মহসিন।

    ২০০১ সালের ভোটে বিএনপি-জামায়াত জোটের জয়ের পর গণধর্ষণের শিকার পূর্ণিমা রানী শীল। যুব মহিলা লীগ নেত্রী অর্পিতা খানম, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) কেন্দ্রীয় সদস্য ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক পূরবী রানী দেবনাথ, আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য উপকমিটির সদস্য ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ডা. সাঈদা শওকত জেনি, আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক ড. শাম্মী আহমেদ, কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য মারুফা আক্তার পপি, মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদা ক্রিক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শিরীন রোসানা, মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রী কাজী কানিজ সুলতানা হেলেন, যুব মহিলা লীগের সভাপতি নাজমা আক্তার, দুই সহসভাপতি- পারভীন খায়ের ও গাজী লিপি।

    যশোরের নুরুন্নাহার, বরিশালের বেগম জেবুন্নেছা আফরোজ, ময়মনসিংহের মনিরা সুলতানা ও বাংলাদেশ সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী ও আওয়ামী লীগের আইন ও বিধি কমিটির সদস্য চাঁদপুরের ড. নুরুন নাহার নূপুর। বিশিষ্ট চলচ্চিত্রাভিনেত্রী সারাহ বেগম কবরী, অরুণা বিশ্বাস ও সৈয়দা শাহনূর।

    নাট্যাভিনেত্রী শমী কায়সার, জ্যোতিকা জ্যোতি ও রোকেয়া প্রাচী। মহিলা আওয়ামী লীগ ধানমণ্ডি থানা শাখার সভাপতি শেখ মিলি, আরিফা আকতার রুমা, অ্যাডভোকেট তুরিন আফরোজ,আসমা জেরিন ঝুমু।

    কুষ্টিয়ার সুলতানা তরুণ, চট্টগ্রামের চেমন আরা তৈয়ব, যুব মহিলা লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সালমা ভূঁইয়া চায়না ও কেন্দ্রীয় সদস্য সরকার ফারাহানা আক্তার সুমি, সাবেক ছাত্রলীগ নেত্রী সুমনা আক্তার লিলি ও জেনিফার ফেরদৌস।

    এছাড়া দশম জাতীয় সংসদে সরব উপস্থিতি ও বিশেষ ভূমিকা রাখায় পুরনোদের মধ্যে যারা ফের মনোনয়ন পেতে পারেন তারা হলেন- বিদায়ী সরকারের তথ্য প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম, মাহজাবিন খালেদ, সাবিনা আক্তার তুহিন, সানজিদা খানম, নিলুফার জাফর উল্লাহ, অ্যাডভোকেট নাভানা আক্তার ও ফজিলাতুন্নেছা বাপ্পি প্রমুখ।

    প্রসঙ্গত, সংরক্ষিত নারী আসনে ৫০ জন জনপ্রতিনিধি নির্বাচনের তফসিল আগামী কাল ১৭ ফেব্রুয়ারি ঘোষণা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সোমবার কমিশন সভা শেষে এ সিদ্ধান্তের কথা জানান ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ।

    তিনি বলেছেন, সংরক্ষিত ৫০ আসনের প্রার্থী মনোনয়নের বিষয়ে সংসদে প্রতিনিধিত্বকারী দল ও স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যদের দল ও জোটগত অবস্থান জানাতে চিঠি দেয়া হবে।

    ৩০ জানুয়ারির মধ্যে এ বিষয়ে কমিশনকে অবহিত করতে হবে। আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি এ নির্বাচনের ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে। বিস্তারিত তফসিলে মনোনয়নপত্র দাখিল, মনোনয়নপত্র বাছাই ও প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় জানা যাবে।

    উল্লেখ্য, আইন অনুযায়ী, সংসদের সাধারণ আসনে শপথগ্রহণকারী ব্যক্তিরাই সংরক্ষিত আসনের নির্বাচনে ভোটার হবেন। ৩০ ডিসেম্বর একাদশ সংসদ নির্বাচনের পর ২৯৮ আসনে নির্বাচিতদের নাম-ঠিকানাসহ গেজেট প্রকাশিত হয়েছে গত ১ জানুয়ারি ২০১৯।

    ২৯৮ আসনের মধ্যে আওয়ামী লীগ ২৫৭টি, জাতীয় পার্টি ২২টি, বিএনপি ৬টি, ওয়ার্কার্স পার্টি ৩টি, জাসদ ২টি, গণফোরাম ২টি, বিকল্পধারা ২টি, তরিকত ফেডারেশন ১টি, জেপি ১টি ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ৩টি আসনে জয় লাভ করেছেন।