সংবাদ প্রকাশের জেরে জৈন্তাপুরে প্রশাসনের মতবিনিময়

    0
    303

     

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,২৪এপ্রিল,রেজওয়ান করিম সাব্বির,জৈন্তাপুর সিলেট প্রতিনিধিঃসম্প্রতি জৈন্তাপুর উপজেলা ন্যাশনাল সার্ভিসের প্রশিক্ষণ ভাতা বিতরনে অনিয়ম, দূর্নীতি নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদর পর স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মী, সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাদের নিয়ে মত বিনিময় করেন জৈন্তাপুর উপজেলা প্রশাসন।

    ২৩ এপ্রিল সোমবার সকাল ১০টায় জৈন্তাপুর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে জৈন্তাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মৌরীন করীম এর সভাপতিত্বে এবং সিলেট সদর উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা আজহারুল কবিরের সঞ্চালনায় মত বিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের সিলেটের উপ-পরিচালক মোঃ আলা উদ্দিন, জৈন্তাপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন, ভাইস চেয়ারম্যান বশির উদ্দিন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান জয় মতি রানী, জৈন্তাপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি কামাল আহমদ, জৈন্তাপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি শাহেদ আহমদ, নিজপাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মঞ্জুর এলাহী স¤্রাট, জৈন্তাপুর প্রেসক্লাবের সহ সভাপতি আব্দুল হালিম, জৈন্তাপুর অনলাইন প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ রেজওয়ান করিম সাব্বির, জৈন্তাপুর প্রেসক্লাবের সদস্য গোলাম সারওয়ার বেলাল, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ খালেদুজ্জামান, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা এ.কে.এম আজাদ ভূইয়া, ন্যাশনাল সার্ভিস প্রেভাইডার জাকারিয়া মাসুদ।

    এছাড়া উপস্থিত ছিলেন পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা আনোয়ারুল হক, সহকারী মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আজিজুর রহমান খোকন, জৈন্তাপুর অনলাইন প্রেসক্লাবের সভাপতি ময়নুল মুরসালিন রুহেল, জৈন্তাপুর প্রেসক্লাবের অর্থ সম্পাদক মীর শোয়েব আহমদ, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শাহজাহান কবির খাঁন, সাংবাদিক ইলিয়াছ আকরাম, ন্যাশনাল সার্ভিস প্রোভাইডার মাহবুবুর রহমান সবুজ, পাপলু দে, জাকির হোসেন, বদরুল করিম, সাহেদুর রহমান, আবুল খায়ের প্রমুখ।

    বক্তরা বলেন- গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কল্যাণে আমরা জানতে পারি জৈন্তাপুর উপজেলা ন্যাশনাল সার্ভিসের প্রশিক্ষনার্থীদের প্রশিক্ষনের ভাতা বিতরনে অনিয়ম, সার্ভিস প্রভাইডার নিয়োগে অনিয়ম, সরকারের অন্যান্য প্রজেক্টের কর্মচারি এবং এনজিও সংস্থার শিক্ষক নিয়োগ হয়েছে। প্রশিক্ষনার্থীদের নিকট হতে ব্লাংক শিটে স্বাক্ষর নিয়ে প্রশিক্ষন কালীন সময় পূর্ণ উপস্থিতি দেখিয়ে জৈন্তাপুর যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা জাফর ইকবাল চৌধুরী সরকারী তহবিল হতে অগ্রিম টাকা উত্তোলন করেন। কিন্তু ভাতার টাকা উত্তোলনের পর প্রশিক্ষণার্থীদের মধ্যে হাজিরার চেয়ে কম উপস্থিতি দেখিয়ে এবং ভয়-ভীতি পূর্বক ভাতা বিতরন করা হয়েছে মর্মে অভিযোগ উঠে।

    বিষয় সমুহ উত্তাপনের পর মতবিনিময় সভার যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের সিলেটের উপ-পরিচালক মোঃ আলা উদ্দিন বলেন, ডিসেম্বর হতে ফেব্রুয়ারী মাস পর্যন্ত ৭১কর্মদিবসে ৯১৬জনকে ১০টি সেন্টারে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। এর মধ্যে অনুউপস্থিতে কারনে ৪৫জনকে বাদ দেওয়া হয়েছে এবং ৮৭১জনকে উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরে সংযুক্ত করা হয়েছে। ন্যাশনাল সার্ভিসের প্রশিক্ষণারার্থীরা সাধারনত তাদের প্রশিক্ষনে উপস্থিতির ভিত্তিত্বে ভাতা পান। এক্ষেত্রে প্রশিক্ষনে সটিক ভাবে উপস্থিত হয়েছেন এবং উপস্থিতি অনুযায়ী ভাতা কম পেয়ে থাকেন তাহলে আমরা তদন্ত পূর্বক প্রশিক্ষণার্থীদের প্রাপ্ত ভাতার টাকা বুঝিয়ে দেব ও কেউ বেশি পেয়ে থাকলে তা ফেরত নিয়ে আসব। প্রশিক্ষনের নামে অগ্রিম বিলে অতিরিক্ত টাকা উত্তোলন করা হলে পরবর্তীতে সরকারী কোষাগারে সটিক বিল ভাউচারের মাধ্যমে জমা প্রধান করা হবে।

    বিগত ফেব্রুয়ারী মাসে ঢাকা হতে প্রকাশিত দৈনিক মুক্তছায়া পত্রিকায় একটি প্রতিবেদন আমাদের দৃষ্টি গোচর হলে ফেব্রয়ারী মাসে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর মহা পরিচালকের কার্যালয় ঢাকা হতে ১সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয় এবং তদন্ত কমিটি কাজ দ্রুত শুরু করা হয়। তদন্ত কালে ৩৬টি অভিযোগ মধ্যে ১৯টি প্রমানিত হওয়ায় আমরা তাদেরকে বাদ দিয়েছি।

    সম্প্রতি প্রশিক্ষণ ভাতা বিতরনে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া পর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাকে প্রধান করে ৩সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করে দেওয়া হয়। দুটি তদন্ত কমিটি বিষয়টি গুরুত্বের সাথে বিবেচনায় নিয়ে কাজ করছেন। এক্ষেত্রে অনিয়মের সত্যতা পাওয়া গেলে জৈন্তাপুর যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা জাফর ইকবাল চৌধুরীর বিরুদ্ধে আইননানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য মহা-পরিচালক বরাবরে প্রতিবেদন প্রেরণ করা হবে। অপরদিকে জাফর ইকবাল চৌধুরী বিরদ্ধে আভিযোগ আসলে থাকে জৈন্তাপুর উপজেলার যুব উন্নয়ন অফিসের সকল কার্যক্রম থেকে বিরত রাখা হয়েছে।