সংঘাতের রাজনীতিতে বলির পাঠা হচ্ছে নিরীহ জনগণ : মাওলানা এম, এ মতিন

    0
    256

    দুই বড় জোটের সংঘাতের রাজনীতি চলতে থাকলে দেশে অসাংবিধানিক শক্তি আবারও মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারে,হবিগঞ্জ ইসলামী ফ্রন্ট এর কর্মী সম্মেলনে কেন্দ্রীয় মহাসচিব মাওলানা এম, এ মতিন

    হবিগঞ্জ,১৭ আগস্ট : বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট হবিগঞ্জ জেলার উদ্দোগে এক বিশাল কর্মী সম্মেলন গত ১৬/৮/১৩ ইং শুক্রবার স্থানীয় হবিগঞ্জ প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে জেলা ইসলামী ফ্রন্টের সভাপতি মাওলানা শহীদুল ইসলাম। সম্মেলনের উদ্ভোধক ছিলেন কেন্দ্রীয় প্রেসিডিয়াম সদস্য হযরতুল আল্লামা শেখ আব্দুল করিম সিরাজনগরী, প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মহাসচিব মাওলানা এম,এ, মতিন ।
    প্রধান অতিথি মাওলানা এম, এ, মতিন বলেন দেশের মানুষ আজ বিবদমান দুই বড় জোটের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে। ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য ক্ষমতাসীন জোটের বহুমুখী চেষ্টা এবং ক্ষমতায় আরোহনের জন্য বিরোধী জোটের মরিয়া তৎপরতায় দেশবাসী আজ অবরুদ্ধ ও দিশেহারা। হরতাল, অবরোধ,জ্বালাও পোড়াও, সহিংসতা এবং বিভেদ সংঘাতের রাজনীতি প্রতিকারবিহীনভাবে চলতে থাকলে দেশে অসাংবিধানিক তৃতীয় শক্তির আবার ও উত্থান ঘটতে পারে।

    তখন দুই বড় জোট ও দুই নেত্রীকেই চড়া মুল্য দিতে হবে। তিনি বলেন দেশে সুশাসন ও নাগরিক শান্তি প্রতিষ্টার কথা বলে মহাজোট ক্ষমতায় বসলেও জনগনকে দেওয়া কোনো প্রতিশ্রুতির দিকে তাদের নজর নাই। আগামীতে কিভাবে ক্ষমতায় আসা যায় তা নিয়েই শক্তির মহড়া দেখাতে ব্যস্ত ক্ষমতাসীনরা। অন্যদিকে সরকারকে ঘায়েল করে এবং দেশের অর্থনীতি ধ্বংস করে মানুষকে সীমাহীন দুর্ভোগে ঠেলে দিয়ে গন স্বার্থ বিরোধী একের পর এক কর্মসূচী দিয়ে ক্ষমতায় ফিরতে মরিয়া বিরোধী জোট। বড় দুই জোটের সংঘাতের রাজনীতিতে বলির পাঠা হচ্ছে নিরীহ জনগণ।

    তাই দেশপ্রেমিক শুভবোধ সম্পন্ন মানুষকে দুই জোটের সংঘাতমূখর রাজনীতির বিরুদ্ধে গর্জে উঠতে হবে। সৎ, নীতিবান , আদর্শে অবিচল রাজনীতিকদের রাজনৈতিক অঙ্গনে জায়গা করে দিতে হবে। ইসলামী ফ্রন্ট রাজনীতিকে কলুষমুক্ত করতে গঠনমূলক সরব ভূমিকা রাখছে বলে তিন্ত উল্লেখ করেন। আগামী জাতীয় নির্বাচন সকল নিবন্ধিত দলের অংশগ্রহণে সুষ্টু ও নিরপেক্ষ পরিবেশে যাতে সম্পন্ন করা যায় সে লক্ষে সংলাপের মাধ্যমে সমঝোতায় আসতে দুই জোট নেতাদের আন্তরিক পদক্ষেপ কামনা করেন ইসলামী ফ্রন্ট মহাসচিব।
    বরগুনায় কয়েকদিন আগে আটক জঙ্গীদেরকে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের কর্মী হিসেবে মহল বিশেষের উদ্দেশ্যমূলক প্রচারণার ব্যাপারে দেশবাসীকে সজাগ থাজার আহবান জানিয়ে তিনি বলেন কওমীরাই জঙ্গী বাদী তৎপরতার সাথে যুক্ত। আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআতের সাথে জঙ্গী সম্পৃক্ততা আবিষ্কার বিদ্ধেষ্প্রসূত উদ্ভট প্রচারণা ছাড়া আর কিছুই নয়। উদ্ভোধক পীরে তরীকত আল্লামা আব্দুল করিম সিরাজনগরী বলেন, সুন্নীরাই দেশে দেশে ইসলামের শান্তি ও সম্প্রীতির বন্ধনকে জারি রেখেছে। সুন্নী আলেম, সংগঠক, ছাত্র ও পীর মাশায়েখগণ মুক্তিযুদ্ধের চেতনাপুষ্ট হয়ে লেখনী, বক্তব্য ও সংগঠনের মাধ্যমে সুন্নীয়তের শাশ্বত দর্শন প্রচারে নিবেদিত রয়েছে।
    আউলিয়া কেরামের অনুসৃত ইসলামের নির্যাস সূফিতাত্তিক আদর্শ চর্চার মধ্য দিয়ে দেশে শান্তি ফিরিয়ে আনা ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্টায় বুদ্ধিবৃত্তিক ও সাংগঠনিক তৎপরতা জোরদারে হক্কানী দেশপ্রেমিক , উলামা, মাশায়েখদেরকে এগিয়ে আসার আহবান জানান তিনি।
    উক্ত কর্মী সম্মেলনে বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট কেন্দ্রীয় পরিষদের যুগ্ম সাংগঠনিক সচিব মাওলানা আলী মোহাম্মদ চৌধুরী, শিল্প ও বানিজ্য সচিব মাওলানা শাহ জালাল আখঞ্জি , সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সচিব মাওলানা সোলায়মান খান রাব্বানী , জেলা ও উপজেলা নেতৃবৃন্দ, পৌর , শ্রমিক ফ্রন্ট, জেলা ইসলামী ছাত্রসেনার জেলা ও সাবেক নেতৃবৃন্দ বক্তব্য দেন। প্রেস বিজ্ঞপ্তি