শ্রীমঙ্গল সরকারী কলেজের ৫০ বর্ষপূর্তি ও দু’টি কথা

    0
    248

    “বর্তমান ছাত্রদের কাছ হতে রেজিস্ট্রেশন ফি সহ দেশ-বিদেশের অনেকের ডোনেশন, বিভিন্ন সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে অনুদান গ্রহণ করা হয়েছে। তাই সকল রিউমার এড়াতে দিন শেষে উপস্থিত সকলের সামনে অনুষ্ঠানের খরচ বিবরণী পেশ করা উচিৎ।”

     

    এম এ রহিম,সাপ্তাহিক শ্রীভূমি পত্রিকা’র প্রকাশক ও সম্পাদক । তিনি ১৯৭১-এর বীর মুক্তিযোদ্ধা, সাবেক ছাত্র লীগ নেতা, শ্রীমঙ্গল পৌরসভার সাবেক চেয়ারম্যান, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক সম্পাদক এর ফেসবুক থেকে সংগৃহীত নিচের স্ট্যাটাসটি পাঠকদের সুবিধার্থে হুবহু তুলে ধরা হল।

    “আজ একটি আমন্ত্রণ পত্র পেলাম শ্রীমঙ্গল সরকারী কলেজের ৫০বর্ষ পূর্তির।আনন্দ লাগলো এমন একটি মিলন মেলার কথা শুনে। এটি অনেক বড়সড় ব্যাপার। বেশ দখল যাচ্ছে আয়োজকদের বুঝাই যায়। আমি অনুষ্ঠানের সার্থকতা কামনা করছি।কিন্তু দু’টি কথা বলতে চাইছি। আমন্ত্রণ পত্রে দেখলাম দাওয়াতক্রমে সদস্য সচিব কিন্তু আহবায়ক হলে সুন্দর হতো। উদ্বোধক এবং উদ্বোধন দু’টি কথায় খটকা লেগেছে, অর্থটাও বেশ দুরূহ। বর্তমান কলেজ কর্তৃপক্ষ কাউকেই রাখা হয়নি আমন্ত্রণপত্রে উল্লেখিত অনুষ্ঠানসূচিতে। মনে হয় আহবায়ক কমিটিতেও রাখা হয়নি কোন শিক্ষককে। হয়তো রাখা হয়েছে, আমার ধারনাটি ভূল হলেই আমি খুশি হব।
    আমাকে সাপ্তাহিক শ্রীভুমি সম্পাদক হিসাবে দাওয়াত করা হয়েছে। যদিও বা পত্রিকাটির মালিক আমি। তাছাড়া আমি শ্রীমঙ্গল পৌরসভার সাবেক চেয়ারম্যান, রহস্যজনকভাবে যা এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে।

    শ্রীমঙ্গল কলেজ ‘৬৯-এর গণ অভ্যুত্থানের সময় প্রতিষ্ঠিত হয়। এ নিয়ে স্বর্গীয় অজিত চৌধুরীর বাসায় ঘনঘন সভা হতো এতে মরহুম ইলিয়াস, স্বর্গীয় এসকে রায়, ভুবেনশ্বর ঘোষসহ শহরের বহু গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ থাকতেন (যাদের নাম এখন মনে পড়ছে না)। এছাড়াও তরুণ সংগঠক হিসাবে অন্যান্য কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র, অধ্যক্ষ সৈয়দ মূয়ীজুর রহমান,
    অধ্যাপক সাইয়্যিদ মুজিবুর রহমান এবং আমিসহ আরো অনেকই থাকতাম। এই কলেজের প্রতিষ্ঠালগ্নে অন্যদের সঙ্গে আমি নিজেও অর্থ সংগ্রহসহ নানা কাজে অংশ নেই।
    তৎকালীন টাউন কমিটির টাউন হলে (বর্তমান পৌরসভা অডিটোরিয়ামে) ক্লাস শুরু হয় এবং অফিস ও কলেজের দাপ্তরিক কাজ হতো পেছনের একটি কক্ষে। পরে বর্তমান স্থানে, কলেজটি স্থায়ীভাবে যাত্রা শুরু করে।
    ১৯৭২ সালে আমরা এই কলেজের নাম করণ করি “শহীদ মঈন উদ্দিন কলেজ” পরে এমপিওভুক্ত করার জন্য রহস্যজনকভাবে নামটি বাদ দিয়ে দেয়া হয়।
    আমি নব নির্মিত কলেজে শহীদ মিনার নির্মাণ, ফ্যান, আলমিরাসহ নানা ছোট খাট অনুদানে অংশগ্রহণ করি। বর্তমানে শহীদ মিনারের পেছনের রাস্থা নির্মাণের জন্য ঝামেলা মিমাংসাতেও সক্রিয় অংশ নেই।
    যাইহোক, আমি অত্যন্ত খুশি এই কলেজের ৫০ বছর পূর্তি অনুষ্ঠান হচ্ছে দেখে।
    শোনা যাচ্ছে কলেজের প্রাক্তন ও বর্তমান ছাত্রদের কাছ হতে রেজিস্ট্রেশন ফি সহ দেশ-বিদেশের অনেকের ডোনেশন, বিভিন্ন সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে অনুদান গ্রহণ করা হয়েছে। তাই সকল রিউমার এড়াতে দিন শেষে উপস্থিত সকলের সামনে অনুষ্ঠানের খরচ বিবরণী পেশ করা উচিৎ। কিছু কিছু ত্রুটি এড়াতে পারলে অনুষ্ঠান আয়োজন আরো সুন্দর হতো।
    এই অনুষ্ঠানের সর্বাঙ্গিন সফলতা কামনা করছি।”