শ্রীমঙ্গল সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে উৎসব মুখর পরিবেশে পাঠদান শুরু

0
509
শ্রীমঙ্গল সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে উৎসব মুখর পরিবেশে পাঠদান শুরু

নূর মোহাম্মদ সাগর,শ্রীমঙ্গল (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধিঃ সারা দেশের ন্যায় মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে উৎসব মুখর পরিবেশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে পাঠদান শুরু হয়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে নানা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মূল ফটকের সামনে সচেতনতামূলক ব্যানার টানানো, শিক্ষার্থীদের মাস্ক পরিধাণ নিশ্চিত করে প্রতিষ্ঠানে প্রবেশ, সকলের হাত ধোয়া নিশ্চিত করাসহ শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে শ্রেণিকক্ষে বসার উপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করেছেন প্রতিষ্ঠানের প্রধানরা।
রোববার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২১ ইং তারিখ সকালে শ্রীমঙ্গল শহর ও শহরতলীর বিভিন্ন বিদ্যালয় ঘুরে দেখা গেছে, মাস্ক পরিধান করে শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে আসছেন। প্রতিটি স্কুলের প্রবেশমুখে শিক্ষার্থীদের শরীরের তাপমাত্রা মেপে স্কুলে ঢুকানো হয়েছে। স্কুলের গেইটে হ্যান্ড সেনেটাইজার কিংবা হাত ধুয়ার ব্যবস্থা রাখা ছিলো। সকাল ১১টার দিকে শহরের উদয়ন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা গেছে, ৬ষ্ঠ শ্রেনীর শিক্ষার্থীদের কয়েকটি ভাগে ভাগ করে পাঠদান করা হচ্ছে।
প্রায় সব স্কুলের গেইটের বাইরে অবিভাবকদের দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। অবিভাবকরাও মাস্ক পরে বের হয়েছেন। স্কুলের গেইটের বাহিরে ভ্রাম্যমাণ দোকান তুলনামূলকভাবে কম। স্কুল থেকে খানিক দূরেই সবাইকে দেখা গেছে। স্কুলের দপ্তরি থেকে শিক্ষক সবাই মাস্ক পরা ছিলো। সব স্কুলেই আইসোলেশন সেন্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
এদিকে স্কুল খোলা উপলক্ষে বিভিন্ন স্কুলে বেলুন, ফুল রং ইত্যাদি দিয়ে সাজিয়ে শিক্ষার্থীদের স্বাগতম জানিয়েছে বেশীরভাগ স্কুল, প্রতিটি স্কুলে উৎসব মুখর পরিবেশ ছিলো
চন্দ্রনাথ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী ইসরাত জাহান বলেছেন,”অনেক দিন পর স্কুলে আসলাম। করোনার কারনে স্কুল বন্ধ থাকায় বাসা থেকে বের হতে পারতাম না। এখন স্কুল খোলায় বেশ আনন্দ হচ্ছে। বন্ধুদের সাথে দেখা হয়ে ভালো লাগলো।”
ভিক্টোরিয়া উচ্চ বিদ্যালয় এর ষষ্ঠ শ্রেনীর ছাত্র প্রশান্ত সরকার বলেন, “জুম ক্লাশ থেকে সরাসরি ক্লাসে এসে বেশ ভালো লাগছে। আজ স্কুলের প্রথম দিনে স্যার ও সহপাঠীদের সাথে বেশ আনন্দ করে কাটাচ্ছি। স্কুলে এসে সবার সাথে পরিচিত হচ্ছি। অনেকের সাথে আগে পরিচয় ছিলো না।”
উদয়ন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এর প্রধান শিক্ষক কবিতা রানী দাশ বলেন, “আমরা শিক্ষার্থীদের জন্য আলাদা আলাদা কক্ষে ভাগ করে ক্লাস নিচ্ছি। বিভিন্ন সিফটে ভাগ করা হয়েছে। একেক দিন একেক ক্লাশ। ভার্চুয়াল মাধ্যমে এতদিন ক্লাস নিলেও, আজ সরাসরি ক্লাসে এসে আমাদেরও ভালো লাগছে। উপস্থিতি প্রথম দিনে ভালই ছিলো।”