নিজস্ব প্রতিনিধিঃ মৌলভীবাজার শ্রীমঙ্গল উপজেলার কালাপুর ইউনিয়নের অন্তর্গত ভৈরবগঞ্জ বাজার থেকে খাদ্য অধিদপ্তরের সিলযুক্ত দরিদ্রদের মাঝে ১০ টাকা কেজি দরে বিক্রয় যোগ্য সরকারি চাউল উদ্ধার ও সন্দেহমূলক একজনকে আটক করেছে স্থানিয় পুলিশ।অভিযোগ উঠেছে উদ্ধারকৃত চাউল চুরি হয়ে যাওয়া।
শ্রীমঙ্গল থানার পুলিশ পরিদর্শক অপারেশন নয়ন কারকুন এর নেতৃত্বে দিনব্যাপী অভিযান চালিয়ে কালাপুর ইউনিয়নের মাজদিহি পাহাড়,বস্তি ও ভৈরবগঞ্জ বাজার থেকে ৫ বস্তা চাউল উদ্ধার করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, এস আই আসাদুর রহমান, আলমগীর হোসেন ও এ এস আই সরোয়ারসহ পুলিশের একটি দল।
জানা যায়,বুধবার ভোররাতে উপজেলার নয়নশ্রী গ্রামের মৃত আস্বদ মিয়ার ছেলে আশিক মিয়াকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সন্দেহমূলক আটক করে পুলিশ।
পরে সংবাদের সূত্র ধরে সরকারি চাউল উদ্ধার অভিযানে নেমে পরে পুলিশের একটি টিম। অভিযানে ভৈরবগঞ্জ বাজারের কলা ব্যবসায়ি হেকিম খা, সিএনজি চালক শান্ত রঞ্জন দাশ ও আটক আশিক মিয়ার বাসা থেকে ৫ বস্তা চাউল উদ্ধার করেছে বলে স্থানীয় সুত্রে জানা যায়।
স্থানীয় সূত্র থেকে আরও জানা যায়। হেকিম নামের একজন পুলিশের সাথে স্বীকার করেছেন “আটক আশিক মিয়ার কাছ থেকে গত মঙ্গলবার দুপুরে ১৫শ টাকায় দুই বস্তা ৩০ কেজি করে মোট ৬০ কেজি চাল ক্রয় করেছেন তিনি।
অপর দিকে চাউল নিয়ে নানা গল্পের ব্যাপারে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান মুজুল আমার সিলেটকে জানান, “আমার অফিস থেকে চাউল চুরির কোন সুযোগ নেই,ডিলারদের চাউলের বিষয়ে আমি কিছু জানি না।আমার অফিস থেকে ভিজিডির চাউল চুরি হলে এর দ্বায় আমার।যে কোন বিচার মাথা পেতে নিব আমি। তবে কোন ডিলারের চাউলের ব্যাপারে আমি বলতে পারবোনা। তিনি আরও বলেন, কালাপুর ইউনিয়নবাসীর প্রতি অনুরোধ আপনারা গুজবে কান দিবেন না। যারা আমাকে জড়িয়ে মিথ্যা প্রচারণা চালাচ্ছে আমি তাদের ব্যাপারে আইনের আশ্রয় নিব।”
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (শ্রীমঙ্গল-কমলগঞ্জ) সার্কেল আজ সন্ধ্যায় আমার সিলেটকে বলেন,”বিষয় টি এখনো তদন্তনাধিন।যদি অপরাধ প্রমাণ হয় আমরা আপনাদের জানাবো এবং প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।এতে কোন প্রকার ছাড় দেওয়া হবে না।” পরবর্তি সংবাদ দেখুন।