শ্রীমঙ্গলে সরকারি বই বিক্রির অভিযোগ

0
559
শ্রীমঙ্গলে সরকারি বই বিক্রির অভিযোগ

নূর মাহাম্মদ সাগর,শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধিঃ মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে মাধ্যমিক শ্রেণির সরকারি বই কেজি হিসেবে মেপে বিক্রি করার অভিযাগ উঠেছে। বইগুলা শ্রীমঙ্গল উপজলার ভূনবীর দশরথ হাইস্কুল অ্যান্ড কলজের বলে জানা গেছে।

জানা যায়, ভূনবীর দশরথ হাই স্কুল অ্যান্ড কলজ থেকে মাধ্যমিক স্তরের জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড প্রণীত যষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণীর বইগুলো ভাঙ্গারি ক্রেতা ফরিওয়ালার কাছ বিক্রি করে দেন ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি ঝলক চক্রবর্তী।

ভাঙ্গারি ক্রেতা ফেরিওয়ালা বইগুলো শ্রীমঙ্গল শহরের হবিগঞ্জ রোডস্থ চিত্রালী সিনমা হল সংলগ্ন ইউসুফ আয়রন মার্ট নামে একটি ভাঙ্গারি দোকান ওজনের হিসেবে দাম দরে বিক্রি করা হয়।

শ্রীমঙ্গলে সরকারি বই বিক্রির অভিযোগ

বৃহস্পতিবার ৯ সেপ্টেম্বর ২০২১ ইং তারিখ দুপুরে ওই দোকানে গিয়ে শ্রমিকদের বইগুলোর ওজন মেপে  গুদামজাত করতে দেখা যায়।

বইগুলোর মধ্য রয়েছে মাধ্যমিক স্তরের বাংলা, ইংরজি, গণিত, সাধারণ বিজ্ঞান, ইসলাম ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা, হিদু ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা, গার্হস্থ্য বিজ্ঞান, কৃষি শিক্ষা, পৌর্বনীতিসহ বিভিন্ন বিষয়ের বই। বইগুলো পরীক্ষা করে দেখা গেছে এর মধ্য ২০২০ শিক্ষা বর্ষের নতুন বই ও ২০১৯ শিক্ষা বর্ষের পুরাতন কিছু বই যা উইপোকায় নষ্ট করেছে। 

ইউসুফ আয়রন মটর এর মালিক ইউসুফ বলেন, তিনি ফেরিওয়ালার কাছ থক ৮শ’ কেজি বই ১২ টাকা দরে কিনেছেন।

বিদ্যালয়ে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ওই বিদ্যালয়ের প্রহরী রাম গোপাল দাশ এই বইগুলো ফেরিওয়ালার কাছে বিক্রি করেছে। তবে তিনি বলেন, প্রধান শিক্ষকের নির্দেশে বইগুলো বিক্রি করেছেন।

রামগোপাল দাশ জানান, প্রধান শিক্ষক পুরাতন বইগুলা বিক্রয় করে কক্ষপরিষ্কার করার জন্য বলায় তিনি এসব বই বিক্রি করে দেন।

এ ব্যাপার ভূনবীর দশরথ হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রধান শিক্ষক ও মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি ঝলক চক্রবর্তী বলেন, স্কুলের দফতরিকে বলেছিলাম স্কুলের কিছু পুরাতন বই উইপাকায় কেটে ফেলেছে। সেসব নষ্ট বই ও কিছু ব্যবহৃত কাগজপত্র বিক্রি করে দেয়ার জন্য। দফতরি সেই বইগুলোর সঙ্গে ভুলক্রমে ২০২০ সালের বই বিক্রি করে দেন।

এ ব্যাপার উপজলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা দীলিপ বর্ধন জানান, কোন বিদ্যালয় থেকে সরকারি বই এভাবে কেজি দরে বিক্রি করার নিয়ম নেই। যে বইগুলো থাকে সে বইগুলো উপজলা মাধ্যমিক বই বিতরণ, গুদামজাতকরণ ও সংরক্ষণ কমিটির কাছ জমা দিত হয়। পরে এগুলা দরপত্র আহান করে বিক্রি করার নিয়ম রয়েছে।

শ্রীমঙ্গলর উপজলা নির্বাহী অফিসার মা. নজরুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি শুনছি। তবে, সরকারি বই কেজি দরে বিক্রি করার নিয়ম নই। কোন স্কুলের প্রধান শিক্ষক এভাব বই বিক্রি করত পারন না। তদন্ত সাপেক্ষ এই ব্যাপারে ব্যবস্থা নয়া হবে বলে তিনি জানান।