শ্রীমঙ্গলে সংবাদকর্মীর উপর সন্ত্রাসী হামলায় থানায় অভিযোগ

    0
    245

    নিজস্ব প্রতিবেদক,শ্রীমঙ্গলঃ  মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে সাজন আহমেদ রানা নামে এক সংবাদকর্মীর উপর সন্ত্রাসী হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

    রোববার ১৭ মে দুপুরে শ্রীমঙ্গল উপজেলার কাকিয়া বাজারের  রাজাপুর এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। হামলার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে সাজন আহমেদ রানাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসে। এসময় সন্ত্রাসী কাজে ব্যবহারকৃত একটি ধারালো দা ও উদ্ধার করে শ্রীমঙ্গল থানা পুলিশ। হামলার স্বীকার সংবাদকর্মী উপজেলা প্রেসক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক,দৈনিক জনতার মৌলভীবাজার জেলা প্রতিনিধি ও শ্রীমঙ্গল বিজয়ী থিয়েটারের সাধারণ সম্পাদক।

    পুলিশের উপস্থিতিতে সন্ত্রাসীরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় সাজন আহমেদ রানা শ্রীমঙ্গল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।

    এ প্রতিনিধিকে আহত সাজন আহমেদ রানা জানান, “তার বাড়ির পাশে রাস্তায় নিজ গাড়ির পার্কিং সমস্যা দেখা দেওয়ায় রাস্তার একপাশে গাড়িটি দাঁড়ানো অবস্থায় ছিলো যার পাশ দিয়ে অন্যান্য গাড়ির যাওয়ার যতেষ্ট রাস্তাও ছিলো কিন্তু রাস্তা থেকে গাড়ি সড়ানো নিয়ে একই এলাকার মাছুম এবং জুনেদের সাথে বাকবিতণ্ডা হয়, এ সময় আমার মা এবং বোন খবর পেয়ে বাড়ি থেকে ঘটনা স্থলে ছুটে আসলে এক পর্যায়ে জুনেদ দেশীয় অস্ত্র দিয়ে উত্তেজিত হয়ে হামলা করে । আমি হামলা থেকে আমার মা-বোন কে বাঁচতে এগিয়ে আসলে আমার ঘাড়েও কোপ লাগে এতে আমি মারাত্মক আহত হই।”

    সাজন আরোও বলেন, “জুনেদ, জসিম এলাকার বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজের সাথে জড়িত তারা এলাকার বিএনপির সন্ত্রাসী হিসেবে পরিচিত। তারা সব সময় আমাকে মারার জন্য সাথে অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে চলা ফেরা করে।তারা মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত বলে ও সাজন আহমেদ দাবী করেন।”

    অপরদিকে অভিযোগের ব্যাপারে বিবাদীদের একজন জসিম মিয়ার সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করলে তিনি আমার সিলেটকে জানান “বিষয়টি মূলত পারিবারিক, রাস্তা নিয়ে পূর্ব থেকেই চলে আসছে। যা উপজেলার গণ্যমান্য মুরুব্বীরা বিশেষ করে আওয়ামী লীগ নেতা ইউছুফ আলী,চেয়ারম্যান বানু লাল রায়সহ অনেক নেতৃবৃন্দ উপস্থিতিতে মীমাংসা হয়।”

    তিনি আরও বলেন, “ঘটনার দিন রোববারে রাস্তায় গাড়ি রাখাকে কেন্দ্র করে তর্কবিতর্কের সৃষ্টি হয় এতে সাজন  আহমেদ রানা এবং আমি নিজেও জড়িত ছিলাম না।মহিলাদের অপ্রাসঙ্গিক কথাবার্তা থেকে সৃষ্ট ঘটনায় পারিবারিকভাবে সমস্যা সমাধানের জন্য আমাদের সকল আত্মীয়-স্বজন চেষ্টা করেছে। এখন শুনতেছি তারা থানায় মামলা করেছে যা সত্যি দুঃখজনক। আমাদেরকে বিভিন্ন অবৈধ ব্যবসার সাথে জড়িত বলে যে অভিযোগ করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা । আমি  আওয়ামীলীগ করি না বিএনপি করি তা স্থানীয় এমপিসহ এলাকার সবাই জানে।”

    এ ব্যাপারে শ্রীমঙ্গল থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুস ছালেক বলেন, খবর পেয়ে সাথে সাথেই আমরা ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠাই এবং তাকে উদ্ধার করে নিয়ে আসি এসময় ঘটনাস্থল থেকে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায় এ বিষয়ে অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা যথাযথ আইনানুগ ব্যাবস্থা গ্রহণ করবো।