শ্রীমঙ্গলে যুবতীকে পালাক্রমে গণধর্ষণ’র অভিযোগে আরও দুই জনসহ ৪ জন গ্রেপ্তার

0
260

নিজস্ব প্রতিনিধি,আমার সিলেট রিপোর্টঃ মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে ২৩ বছরের এক যুবতীকে পালাক্রমে গণধর্ষণের অভিযোগে শ্রীমঙ্গল থানায় শনিবার (১৫ এপ্রিল) সকালে গণধর্ষণ আইনে একটি মামলায় শেষ পর্যন্ত আজ রোববারে আরও দুইজনসহ মোট চার জনকে গ্রেপ্তার করেছে শ্রীমঙ্গল থানা পুলিশ।

এর আগে গ্রেপ্তারকৃতরা আদালতে নিজেদের স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দিয়েছে মর্মে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।

জানা য়ায়,মামলা রুজুর পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে দুই জনকে গ্রেপ্তার করে বাকিরা পালিয়ে যায়।
পরে অভিযান চালিয়ে মামলার প্রধান ও ১ নং আসামী শ্রীমঙ্গলের মাজদিহি এলাকার মৃত রাজ্জাক মিয়ার পুত্র শহীদকে রাজনগরের জালালপুর এলাকা হতে ও সোমবার ভোরে ২ নং আসামী একই এলাকার ফয়রাজ মিয়ার পুত্র ফয়েজ মিয়াকে শ্রীমঙ্গল পৌরসভার চৌমুহনা থেকে গ্রেফতার করেন।এর আগে ঘটনার মুল হোতা সিএনজি চালক সেলিম,পিতা মতলেব মিয়া,গ্রাম-মতিরগাও,ওসমানী নগর,সিলেট ও অপর সহযোগী শ্রীমঙ্গল উপজেলার মাঝদিহি পাহারের (চা-বাগানের) ৬ নং সেকশনের রাম গোবিন্দ নুনিয়ার পুত্র হৃদয় নুনিয়াকে আটক করে ১৫ এপ্রিল শনিবারে পুলিশ স্কট এর মাধ্যমে আদালতে প্রেরণ করা হয় ।
বিজ্ঞ আদালতে হৃদয় নুনিয়া এ ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে ফৌঃ কাঃ বিঃ আইনের ১৬৪ ধারা মোতাবেক স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি প্রদান করেছেন মর্মে পুলিশ সুত্রে জানা যায়।পরে আদালত তাদেরকে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে।

মামলা ও পুলিশের সুত্রে আরও জানা যায়,গত শুক্রবার (১৪ এপ্রিল) বিকালে কুলাউরা উপজেলার এক যুবতীর ছদ্মনাম হাসি (২৩) তিনি সিলেটের ওসমানী নগর থানার গোয়ালাবাজারে হবু স্বামীর সাথে দেখা করতে গিয়ে পুনরায় কুলাউড়া ফিরে আসার সময় সিএনজি চালকের খপ্পরে পরলে কুলাউড়ার গাড়িতে তুলে দিবে বলে ওই মেয়েকে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে ভৈরবগন্জ বাজারে নিয়ে আসে।ভৈরবগন্জ বাজারে আসলে মাঝদিহি চা বাগানের একটি গ্রপসহ মোট আরও ৫ জন মিলে ভিকটিমকে চা বাগানে নিয়ে গিয়ে আটকে রেখে পালাক্রমে প্রায় দেড় ঘণ্টাব্যাপী পালাক্রমে ধর্ষণ করে বলে মামলায় অভিযোগ করে। অভিযোগকারী নারী নিজেই।এঘটনায় শ্রীমঙ্গল থানার মামলা নং-২১ তারিখ ১৫ এপ্রিল ২০২৩।
এব্যাপারে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজনের সূত্রে জানা যায়, মাজদিহি পাহাড়ে বেশ কয়েকটি গ্রুপ তৈরি হয়েছে যারা বিভিন্ন জায়গা থেকে নারীদের নিয়ে আসে আমোদ ফুর্তি করে যাচ্ছে।এখানে নারী মদ জুয়া এগুলি এভেলেবেল,এদেরকে অনেক ভদ্রলোকেরা ও সহযোগিতা করে থাকে।এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, নাম প্রকাশ করলে এলাকায় থাকা রিস্ক হয়ে যাবে।
একদিকে পাহাড়ি এলাকা যোগাযোগের অবস্থা ভালো হওয়ায় কমলগঞ্জ, মৌলভীবাজার ও শ্রীমঙ্গল থেকে বিভিন্ন রাস্তায় প্রবেশ করা যায়। এই সুবিধাটা নিয়ে অপরাধীরা এখানে আস্তে আস্তে আস্তানা করছে।শুধু নারী নয় মাদক ব্যবসায়ীরাও এই এলাকাটিকে ট্রানজিট পয়েন্ট হিসেবে ব্যবহার করছে এখানে কারা পর্যটক আর অনৈতিক বা মাদক ব্যবসায়ী বোঝা মুশকিল। ফলে ৩ উপজেলার মাদক কারবারি ও জুয়ারীরা এখানে বেশ তৎপর।

গণধর্ষণ মামলার সর্বশেষ বক্তব্যে শ্রীমঙ্গল থানার অফিসার ইনচার্জ জাহাঙ্গীর হোসেন সরদার জানান,ঘটনার সংবাদ আমাদের কাছে আসার সাথে সাথেই দুইজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে প্রেরণ করা হয়।তারা বিজ্ঞ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। ইতিমধ্যে আরও দুই জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। আরও যারা পলাতক তাদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।