শ্রীমঙ্গলে মজার স্কুল ছাত্রদের মাঝে শীতবস্ত্র-শিক্ষাসামগ্রী বিতরণ  

    0
    316

    সাদিক আহমেদ,নিজস্ব প্রতিনিধিঃ আজ ১৩ জানুয়ারী রোববার বিকাল ৪ টায় শ্রীমঙ্গল চারুকলা প্রাঙ্গনে ছিন্নপাতা সমাজকল্যান সংস্থার পরিচালিত মজার স্কুলের শিক্ষার্থীদের মাঝে শীতবস্ত্র ও শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করা হয়।
    উক্ত অনুষ্ঠানে অতিথিবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শ্রীমঙ্গল টি হ্যাভেন রিসোর্টের সত্যাধিকারী আবু সিদ্দীক মোহাম্মদ মুসা,দ্বারীকাপাল মহিলা কলেজের প্রভাষক জলি পাল,ডাক্তার পুষ্পিতা খাস্তগীর,ডাক্তার রাহাত,শিক্ষক অবিনাস আচার্য্য,দেওয়ান শামসুল ইসলাম সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা রহিমা বেগম,শ্রীমঙ্গল অনলাইন প্রেসক্লাবের সভাপতি ও আমার সিলেট সম্পাদক মুহাম্মদ আনিসুল ইসলাম আশরাফী ও শ্রীমঙ্গল প্রেসক্লাবের  সহ-সভাপতি ইসমাইল মাহমুদসহ স্থানীয় অন্যান্য সাংবাদিকবৃন্দ।
    এসময় মজার স্কুল পরিচালনা কমিটির সদস্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন এডভোকেট পঙ্কজ সরকার,রিয়াজ খান,সানাই খান,পল্লবী পাল,কেয়া পাল,প্রিয়াঙ্কা গোস্বামী,বাবলু পাল,পঙ্কজ ভট্টাচার্য প্রমুখ।
    অনুষ্ঠানটির সঞ্চালনা ও পরিচালনা করেন মজার স্কুল প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক তাপস দাস।
    এসময় ৩০ জন শিক্ষার্থীদের হাতে শীতবস্ত্র ও শিক্ষা উপকরণ তুলে দেয়া হয়।এসময় মজার স্কুলের সিনিয়র দুইজন শিক্ষার্থী নূরজাহান ও নুরুন্নাহারের সম্পূর্ণ দায়িত্ব নেন ডাক্তার পুষ্পিতা খাস্তগীর।নূরজাহান ও নুরুন্নাহারের সাথে কথা বললে তারা আমার সিলেটকে জানায়,তারা সম্পর্কে দুই বোন।শ্রীমঙ্গল মিশন রোডের বাসিন্দা তারা।দরিদ্র পরিবারে দারিদ্র্যতার সাথে যুদ্ধ করে বেড়ে উঠছে তারা।নিজেদেরকে সমাজে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য মজার স্কুলে ভর্তি হয়।দুই বোন বলেন “পুষ্পিতা ম্যাডাম আমাদের দায়িত্ব নেয়ায় আমরা অনেক খুশি।আমরা খুব ভালোভাবে লেখাপড়া করবো।পুষ্পিতা ম্যাডামের অবদান আমরা কোনোদিনও ভুলব না”।
    এদিকে শীতবস্ত্র ও শিক্ষা উপকরণ পেয়ে বেশ উচ্ছ্বাসিত ক্ষুদে শিক্ষার্থীরা।মজার স্কুলের ক্ষুদে শিক্ষার্থী সাদিয়া আক্তার শারমীন বলেন ”শীতের কাপড় ও খাতা পেয়ে আমার খুব ভালো লাগছে।ম্যামরা খুব মায়া করেন আমাদের।আমি বড় হয়ে ডাক্তার হতে চাই”।আরেক শিক্ষার্থী রাশেদ মিয়া বলেন”মজার স্কুলে আসতে খুব ভালো লাগে।আমি পড়বো,আমি বড় হয়ে সাইন্টিস্ট হবো”।এসময় শিক্ষার্থীদের অভিবাবকরাও উপস্থিত ছিলেন।
    উল্লেখ্য ছিন্নপাতা সমাজকল্যাণ সংস্থার পরিচালনায় মজার স্কুল থেকে ইতমধ্যে ১২ জন শিক্ষার্থীকে স্কুলে ভর্তি করানো হয়েছে।