শ্রীমঙ্গলে ভাড়াটিয়া কর্তৃক চেতনানাশক জুস খেয়ে আহত-১১

    0
    345

    বাড়িওয়ালাদের ২টি স্বর্ণের চেইন,মোবাইল ফোন ২টি ও ১টি সিএনজি নিয়ে গেছে

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,২৬সেপ্টেম্বর: মৌলভীবাজার  জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলার উত্তর ভাড়াউড়া গ্রামে একই পরিবারের নারী পুরুষ ও শিশুসহ ১১ জনকে  চেতনানাশক ঔষধ সেজান জুসের সাথে মিশিয়ে পান করিয়ে  স্বর্ণ, মোবাইল ফোন ২ টি ও সিএনজি( মৌলভীবাজার-থ-১১-৬৪৮৪) নিয়ে পালিয়েছে প্রতারক চক্র।আহতদের  ৯জনকে মৌলভীবাজার হাসপাতালে  ভর্তি করা হয়েছে।
    স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, উত্তর ভাড়াউড়া  গ্রামের সাবেক মেম্বার বিরেন্দ্র দেব এর বাড়িতে ১৭দিন আগে স্বামী-স্ত্রী সেজে ঘর ভাড়া নিয়ে তাদের পরিবারের সাথে  সখ্যতা তৈরি করে ওই  প্রতারক চক্র।

    ঘটনার বিবরনে স্থানীয় সূত্রে আরও জানা যায়, উত্তর ভাড়াউড়া বাসিন্দা শ্রীমঙ্গল ইউপির সাবেক মেম্বার বিরেন্দ্র দেব এর বাড়িতে স্বামী-স্ত্রী  হিসেবে ঘর ভাড়া নিয়ে বিরেন্দ্র দেব এর পরিবারের সাথে মিশে যায়  এই ভাড়াটিয়া প্রতারক চক্র।এরই মধ্যে গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০ টায় পরিবারের সবাইকে চেতনানাশক দ্রব্য জুসের সাথে  মিশিয়ে পান করান। ওই জুস  খেয়ে  পরিবারের ১১ জন  অজ্ঞান  হয়ে পড়ে, অপর ২ জন কিছুটা অজ্ঞান মুক্ত থেকে যায়। এ সুযোগে স্বর্নের  চেইন ২টি ,মোবাইল ফোন ২ টি  ও একটি সিএনজি নিয়ে পালিয়ে যায়।তবে যাবার সময় কৌশল করে  সিএনজি দিয়ে বিরেন্দ্র দেব এর পরিবারের আহতদের ৩ জনকে হাসপাতালে পৌছে দিয়ে  বাকিদের আরেক টিপ নিয়ে আসার জন্য উত্তর ভাড়াউড়া গ্রামে না গিয়ে ওই সিএনজি নিয়েই পালিয়ে যায়।

    আহতদের প্রথমে শ্রীমঙ্গল পরে মৌলভীবাজার হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। আহতরা হলেন বিরেন্দ্র দেব (৮৫), বিজন দেব (৫৫), অনিতা দেব (৫০), তুলি দেব (২১), শিবানী দেব  (৪২), রুপা দেব (২১)  পার্থ দেব  (২২), প্রিয়াঙ্কা তালুকদার তন্নি (২৪),বিশ্বজিত দেব (২৮),প্রসেঞ্জিত দেব উৎস (৯),বৃষ্টি দেব (১১) খবর পেয়ে পুলিশ রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।  প্রিয়াঙ্কা দেব (১৪) এ সকল তথ্য জানান, তিনি আরও জানায়-ওই চক্রের পুরুষ সদস্য নিজেকে ইমন দেবনাথ ও নারী সদস্য নিজেকে রুপা দেবনাথ  হিসেবে পরিচয় দিয়ে ঘর ভাড়া নেন-তাদের বাড়ি বি-বাড়িয়া জেলায় বলে জানিয়েছেন তার ফোন নং ০১৮৭১৮৩৯৬২১।

    বাড়িওয়ালাদের সূত্রে আরও জানা যায়- ঘটনার সংবাদ পেয়ে ওই দিন রাতেই  শ্রীমঙ্গল থানার  এস আই রফিকের নেতৃত্বে পুলিশের একটি টীম ও স্থানীয় চেয়ারম্যান ভানু লাল রায়  এসে পরিদর্শন করেছে।