শ্রীমঙ্গলে বেতন-ভাতা বৃদ্ধির দাবিতে সড়ক অবরোধ ও স্মারকলিপি প্রদান

    0
    427

    মিনহাজ তানভীর: মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলে চা বাগান শ্রমিকদের মজুরী বৃদ্ধি ও হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের আসন্ন দুর্গাপূজার পুর্বে বেতন ভাতা পরিশোধ এর দাবিতে আজ বৃহস্পতিবার (৮ অক্টোবর) সকাল সাড়ে দশটায় ভাড়াউড়া চা বাগানসহ উপজেলা শহরের আশপাশের ৮/১০ টি চা বাগানের নারী-পুরুষের একটি বিশাল মিছিল শ্রীমঙ্গল শহরের চৌমুহনা চত্বরে এসে বিক্ষোভ সমাবেশ ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন।

    এসময় যান চলাচল বন্ধ করে প্রায় আধাঘন্টা সময় হাজারো শ্রমিক অবস্থান কর্মসুচিতে অংশগ্রহণ করেন এবং চা শ্রমিকদের বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ এ সময় বক্তব্য রাখেন।দাবি আদায়ে ও বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন চা শ্রমিক নেতা বিজয় হাজরা সাংগঠনিক সম্পাদক বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়ন কেন্দ্রীয় কমিটি, পংকজ কন্দ সহ-সভাপতি বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়ন কেন্দ্রীয় কমিটি, পরেশ কালেন্দী অর্থ সম্পাদক বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়ন কেন্দ্রীয় কমিটির অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

    বক্তারা আবারো আল্টিমেটাম দিয়ে বলেন, আসছে আগামী রবিবারের মধ্যে যদি বাগান মালিকরা শ্রমিকদের মজুরী বৃদ্ধি সহ দুর্গাপূজার পুর্বে বেতন ভাতা পরিশোধ না করে তাহলে আগামী সোমবারে প্রতিটি বাগানের শ্রমিকদের নিয়ে মিটিং করে কেন্দ্রীয় কর্মসূচি দেওয়া হবে।

    শ্রীমঙ্গল উপজেলা কর্মকর্তার কাছে স্মারকলিপি প্রদানের সময় চা শ্রমিকদের উপস্থিতির একাংশ।

    প্রয়োজনে লাগাতার কর্মবিরতির আল্টিমেটামও দেওয়া হয় এ সময়। পরবর্তীতে শ্রীমঙ্গল থানা পুলিশ সহ উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রেম সাগর হাজরা ও চা শ্রমিক ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় নেতারা শ্রীমঙ্গল উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে গিয়ে শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করেন।
    চা বাগান শ্রমিক নেতৃবৃন্দের সূত্রে জানা যায়, কমপক্ষে ৮/১০টি চা বাগানের শ্রমিকেরা এই অবস্থান কর্মসুচী ও স্মারকলিপিতে অংশগ্রহণ করেছেন।
    স্মারকলিপি গ্রহণ করলেন শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ নজরুল ইসলাম বলেন আমি আপনাদের স্মারকলিপি গ্রহণ করলাম এবং যথাযথ নিয়মে ডিসি মহোদয় এর মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর পৌঁছাতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করব। তিনি আরো বলেন আপনাদের প্রয়োজনীয় ন্যায্য দাবি আদায়ের পক্ষে সরকার সবসময় কাজ করে যাচ্ছে।আমি আপনাদের অনুরোধ করবো করুণা কালীন সময়ে ঝুঁকি নিয়ে এভাবে একসাথে আন্দোলন করার প্রয়োজন নেই এতে আপনাদের শারীরিক ঝুঁকি বেড়ে যেতে পারে।
    প্রসঙ্গত করোনা কালীন সময়ে এভাবে হঠাৎ করে শহরে এত মানুষের স্বাস্থ্য বিধি না মেনে সমাগম নিয়ে সচেতন মহলের অনেকেই শঙ্কা প্রকাশ করেছেন এবং তাদের ন্যায্য দাবি আদায়ের ব্যাপারে বাগান মালিকদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ জরুরি বলে মনে করেন।