শ্রীমঙ্গলে বিষাক্ত পর্দাথ মিশিয়ে গৃহবধুকে ঝলসে দেয়ার অভিযোগ

    0
    238

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,১৫জানুয়ারী,জহিরুল ইসলাম সোহেল: মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে গরম পানির সাথে জলাতংঙ্ক তরল পদার্থ মিশিয়ে গৃহবধু মনোয়ারার শরীরের বিভিন্ন অংশ পুড়িয়ে দিয়েছে তার স্বামী। ঘটনাটি ঘটেছে জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলার ভুনবীর ইউনিয়নের পাত্রীকুল গ্রামে। ঘটনার একদিন পর গুরুতর আহতবস্থায় মনোয়ারার ভাই তাকে ভর্তি করেছেন শ্রীমঙ্গল ৫০ শয্যা হাসপাতালে।

    খবর পেয়ে সাংবাদিকরা মনোয়ারা কে সরেজমিনে দেখতে যায় হাসপাতালে, হাসপাতালের বেডে চিকিৎসাধীন মনোয়ারা জানান, ১৫ দিন আগে মনোয়ারার স্বামী মো: হাবিব মিয়া তার শশুর বাড়িতে গিয়ে মনোয়ারার ভাই এর স্ত্রীর কাছ থেকে আট আনা ওজনের একটি স্বর্ণের চেইন নিয়ে আসে মনোয়ার কথা বলে। কয়েকদিন পর তার ভাইয়ের বউ মনোয়ারার কাছে চেইন ফেরত চাইলে মনোয়ারা অবাক হয়ে যায়। আর এ বিষয়টি জানতে চাইলে শুরু হয় তার উপর স্বামীর নির্যাতন।

    তাকে মেরে ফেলার জন্য হাবিব বুধবার রাতে ভাড়া করা লোকও এনে রাখে ঘরের বাহিরে। ঘরের বাহিরে লোকজন হাটাচলা করছে দেখে মনোয়ারা সারা রাত ঘর থেকে বের হয়নি। প্রকৃতির ডাকে সারা দিলে ঘরের ভিতরেই তা সারে। সকাল বেলা হাবিব নতুন ফন্দি করে। স্ত্রীকে চায়ের গরম পানির ডেগ নিয়ে আসতে বলে। গরমপানির ডেগে এক ধরনের তরল পর্দাথ ঢেলে দেয়।

    বিষয়টি মনোয়ার চোখে পড়তেই সে জানতে চায় ডেগে কি ঢেলেছে । আবারও তার উপর ক্ষেপে যায় হাবিব। এসময় সে তরল পর্দাথসহ পানির ডেগ মনোয়ারারা উপর ঢেলে দিলে পুড়ে যায় মনোয়ার বুকের স্পর্সকাতর জায়গাসহ পেট,হাত ও কোমর থেকে ডান পায়ের উরো পর্যন্ত। মারাত্মক যন্ত্রনায় মনোয়ারা চিৎকার করলেও তাকে নিয়ে আসা হয়নি হাসপাতালে।

    ঘটনাক্রমে ঐ দিন বিকেলে তার বড় ভাই মনোয়ার বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে বোনের এই অবস্থা দেখে তাকে নিয়ে আসেন হাসপাতালে।

    শ্রীমঙ্গল সদর হাপাতালের মেডিক্যাল অফিসার আহমদ শিবলী মহিউদ্দিন জানালেন, দ্রুত আরোগ্যের জন্য তাকে প্রতিদিন ডেসার করতে হবে। তবে উন্নত ডেসারের জন্য সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে ভালো হবে।

    এ ঘটনায় ন্যায় বিচার পাবে মনোয়ারা এমনটাই চান তার পরিবারের লোকজন ।