শ্রীমঙ্গলে বিরল প্রজাতির সবুজ বোড়া সাপ উদ্ধার

    0
    360
    হৃদয় দাশ শুভঃ শ্রীমঙ্গলের ভাড়াউড়া চা বাগান এর বাংলো সংলগ্ন ঝোপ থেকে বিরল প্রজাতির একটি সবুজ বোড়া সাপ উদ্ধার করা হয়েছে ৷
    সাপটি  সোমবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকালে বাংলোর বাসিন্দা সুকন্যা দে এর নজরে প্রথমে পরে ৷ তিনি তাৎক্ষনিকভাবে সাপের ছবিটি তুলে ফেইসবুকে পোস্ট করলে অনেক বন্যপ্রাণী প্রেমীর নজরে  আসে ৷ পরবর্তীতে শ্রীমঙ্গল বন্যপ্রাণী ফাউন্ডেশনের পরিচালক সজল দেব এসে সাপটি উদ্ধার করে  শ্রীমঙ্গল বন্যপ্রাণী সেবাশ্রমে নিয়ে যান ৷
    এ ব্যাপারে সুকন্যা দে এর সাথে কথা বললে তিনি আমার সিলেটকে জানান “সোমবার সকাল ১১ টার দিকে আমি প্রথমে আমাদের বাংলোর পাশের লেবুগাছের নীচে সাপটিকে দেখি ৷ পরে আমরা বন্যপ্রাণী সেবাশ্রমের সজল দেবকে ফোন দিলে উনি এসে সাপটিকে উদ্ধার করে নিয়ে যান” ।
    এ সাপের গোত্রে আরও  রয়েছে vipreinae ও crotalinae নামে দুইটি উপ-গোত্র। crotalinae উপ-গোত্রে রয়েছে পিট ভাইপার। বাংলায় এ সাপকে বলা হয় সবুজ বোড়া।
    বিশেষজ্ঞরা জানান, বাংলাদেশে  সিলেট বিভাগ এবং পার্বত্য চট্রগ্রাম অঞ্চলের বনাঞ্চলে সবুজ বোড়া সাপের দেখা পাওয়া যায় । সুন্দরবনেও এ সাপটির দেখা পাওয়া যায়। সবুজ বোড়া সাপের রয়েছে দুই তিনটি প্রজাতি। তবে সব প্রজাতিই দেখতে সবুজ এবং প্রায় একই রকম। এরা দুই ফুটের মতো লম্বা হয়। এই সাপের মাথা চ্যাপ্টা, আকারে বড় এবং দেখতে ত্রিকোণের মতো।
    চলাফেরা করে খুব আস্তে আস্তে। সবুজ বোড়া সাপ, ব্যাঙ, পাখি, ইঁদুর খেয়ে জীবন ধারণ করে থাকে। সাধারণত এরা লুকিয়ে বসে থাকে আর শিকার এলেই ছোবল দিয়ে খায়।
    এই সাপের উপরের চোয়ালে এক জোড়া লম্বা বিষ দাঁত থাকে। ওই দাঁত দুটি তারা মুখের তালুর সঙ্গে ভাঁজ করে রাখে। প্রয়োজন মতো পেশির সংকোচনে মুখ খুলে গেলে বিষদাঁত দুটি মুখের তালু থেকে বেরিয়ে আসে। শিকারকে ছোবল দিয়ে তার শরীরে বিষ ঢুকিয়ে দিয়ে আবার আগের মতো ভাঁজ হয়ে যায়। বন্যপ্রাণী গবেষক তানিয়া খান বলেন, সবুজ বোড়া বিষধর সাপ।
    এ সাপের বিষ আছে কিন্তু দংশনে মানুষ মারা যায় না। খুবই কম রেকর্ড আছে মানুষ মারা যাবার। সাধারণত চা বাগানেই এই সাপটা বেশি দেখা যায়। এরা চা বাগানের গাছের সঙ্গে ঝুলে থাকে।ছবি সৌজন্যে “খোকন থৌনাউজাম”