শ্রীমঙ্গলে বিদ্যুৎ সংযোগে বাধাঃঅন্ধকারে ৬ পরিবার

    0
    194

    আমার সিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,১৪মার্চ,তোফায়েল আহমদঃ  ‘শেখ হাসিনার উদ্যোগ, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ’ ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌছানোর জন্য বাংলাদেশ সরকার নিচ্ছেন নানা উদ্যোগ। কিন্তু ঘরে ঘরে বিদ্যুতের আলোর ছোঁয়া থেকে বাধাগ্রস্থের স্বীকার হলো শ্রীমঙ্গলের ৬টি পরিবার। মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার ভূনবীর ইউনিয়নের পশ্চিম আলিশারকুল গ্রামে প্রতিপক্ষের নিকট ৬ টি পরিবার বিদ্যুৎ সংযোগ থেকে বাধাগ্রস্থের সম্মুখীন।

    বিদ্যুৎ সংযোগ প্রদানের জন্য মৌলভীবাজার পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে আবেদন করার পরিপ্রেক্ষিতে পল্লী বিদ্যুৎ ৬টি পরিবারকে তাদের ঘরে ওয়্যারিং করার অনুমতি দেয়। আবেদনকারীরা হলেন ১) শফিক মিয়া, ২) ফরিদ মিয়া, ৩) আহাদ মিয়া, ৪) জালাল মিয়া, ৫) ফুল বানু, ৬) আইয়ুব আলী।
    অনুমতি পেয়ে এই ৬ পরিবার যথারিতি ওয়্যারিং করার পর গত ৭ই মার্চ পল্লী বিদ্যুৎ থেকে লাইনম্যান আকাশ ঐ এলাকায় নতুন সংযোগ দিতে গেলে ঐ এলাকার বাসিন্দা প্রতিপক্ষ: সোলেমান (পিতা: মৃত: সুরুজ মিয়া)  ও তার পুত্র সুফিয়ান এবং সুনা মিয়ার ছেলে আব্দুল জলিল বিদ্যুৎ সংযোগে  বাধা দেয় এবং দশ হাজার (১০,০০০) টাকার দাবী করে। পরে লাইনম্যান সংযোগ না দিয়েই চলে যায়।
    পর দিন ৮ই মার্চ ঐ ৬ পরিবারের পক্ষে ফরিদ মিয়া শ্রীমঙ্গল থানাকে অবগত করলে এস আই রাব্বি ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রতিপক্ষকে বাধা না দিতে বলেন।
    গত ১২ই মার্চ ২য় দিন পুনরায় লাইনম্যান আকাশ ঐ এলাকায় এ ৬টি পরিবারকে বিদ্যুৎ সংযোগ দিতে গেলে তখনও প্রতিপক্ষ সংযোগে বাধা দেয়।
    এ ব্যাপারে পল্লী বিদ্যুৎ লাইনম্যান আসানুর রহমান আকাশ বলেন, বাংলাদেশ সরকারের উদ্যোগ  ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ। আগামী ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশের প্রতিটি ঘরে বিদ্যুতের আলো জ্বালাতে কাজ করে যাচ্ছে সরকার।’ আমরা সে লক্ষে প্রত্যেকটি এলাকার বিদ্যুৎ বিহীন ঘরে নতুন সংযোগ প্রদানে চেষ্টা করছি। গত ৭ই মার্চ  শ্রীমঙ্গল উপজেলার ভূনবীর ইউনিয়নের পশ্চিম আলিশারকুল গ্রামে ৬ টি পরিবারকে নতুন সংযোগ দিতে গেলে পাশ্ববর্তী বসবাসকারী সুফিয়ান ও তার বাবা বাধা সৃষ্টি করে। পরে আমরা বিদ্যুৎ সংযোগ না দিতে পেরে  ফিরে আসি। ২য় দিন পুনরায় বিদ্যুৎ সংযোগ দিতে গেলে আবারও বাধা দেয়। বিষয়টি আমরা মৌলভীবাজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অবগত করি।

    প্রতিপক্ষ সোলেমান বলেন, দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে আমাদের নিজস্ব খুটি থেকে বিদ্যুৎ  ব্যবহার করছি। আমিও অনেক টাকা পয়সা খরচ করে বৈদ্যুতিক খুটি কিনে এনেছি। আমরা নতুন বিদ্যুৎ সংযোগকারীদের বলেছি যে আমাদের সাথে সামান্য কিছু টাকা পয়সা দিয়ে সহযোগী থাকার জন্য।
    নতুন বিদ্যুৎ সংযোগকারী ৬ পরিবারের পক্ষে ফরিদ মিয়া বলেন আমরা দরিদ্র পরিবার  অনেক প্রতিক্ষায় আমরা নতুন বিদ্যুৎ পাওয়ার জন্য আবেদন করে সংযোগের অনুমতি পেয়েছি। আমাদের সন্তানেরা স্কুল কলেজে লেখাপড়া করে। বিদ্যুৎ এলে আরও ভালো করে রাতের বেলা লেখাপড়া করতে পারবে। পল্লী বিদ্যুৎ এর লোকেরা সংযোগ দিতে এলে আমাদের পাশ্ববর্তী বসবাসকারী লোক সোলেমান ও তার পুত্র সুফিয়ান এবং সুনা মিয়ার ছেলে আব্দুল জলিল বিদ্যুৎ সংযোগে  বাধা দেয় এবং দশ হাজার (১০,০০০) টাকার দাবী করে। পরে তারা চলে যায়। পর পর ৪ দিন সংযোগে বাধা দেয়। বিদ্যুৎ সংযোগ না দেয়ায় আমরা অন্ধকারে আছি। পাশের ঘরে বিদ্যুতের আলো দেখা যায় কিন্তু আমাদের ঘরে বিদ্যুতের আলো নেই। কর্তৃপক্ষের নিকট আমাদের দাবী বিষয়টি আমলে নিয়ে অতি শ্রীঘ্রই যেন আমাদের ৬টি দরিদ্র পরিবারে  বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া হয়।